২০২১: সেরা ১০ এশিয়ান ছবির চারটি বাংলাদেশের
ভারতীয় গণমাধ্যম মিড-ডের সাংবাদিক মীনাক্ষী শেড্ডি চলতি বছরের সেরা দশ এশিয়ান ছবির একটি তালিকা তৈরি করেছেন। সে তালিকায় তার নিজ দেশের চলচ্চিত্র না থাকলেও প্রতিবেশী বাংলাদেশের চারটি ছবি ঠাঁই পেয়েছে, বাকি ছয়টি ছবি দক্ষিণ এশিয়ারই। চ্যানেল আই অনলাইন অবলম্বনে জেনে নিন সেই তালিকা—
রেহানা মরিয়ম নূর (বাংলাদেশ): কান ফেস্টিভ্যালের ৭৪তম আসরে সম্মানজনক জায়গা পায় আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে অফিসিয়াল সিলেকশন বিভাগ ‘আঁ সার্তে রিগা’-তে স্থান পেয়ে সিনেমাটি। গল্প আবর্তিত হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপককে ঘিরে। যিনি পরিবার ও কর্মস্থল সামলাতে গিয়ে বেশ জটিল জীবনযাপন করেন। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন।
নো ল্যান্ড’স ম্যান (বাংলাদেশ): মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এ অভিনয় করেছেন ভারতের নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী, অস্ট্রেলিয়ার মেগান মিশেল, বাংলাদেশের তাহসান খানসহ ভারতের বেশকিছু শিল্পী। তৃতীয় বিশ্বের একজন মানুষের অস্তিত্বহীনতার বেদনাই ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর প্রধান অনুষঙ্গ। বুসান ও কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে এই ছবিটি।
পায়ের তলায় মাটি নাই (বাংলাদেশ): পায়ের তলায় মাটি নাই (নো গ্রাউন্ড বেনিথ দ্য ফিট) ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ রাব্বি মৃধা। অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার, প্রিয়াম অর্চি, দীপান্বিতা মার্টিন প্রমুখ। এই গল্পের মূল নায়ক ‘সাইফুল’ নামের এক সাধারণ মানুষ, যাকে তার দুই স্ত্রী, পরিবার, কাজ, নৈতিকতা ও সামাজিকতার নানা দ্বন্দ্বের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এবছর বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে এই ছবি।
আলবোরাডা, দ্য ডনিং অব দ্য ডে (শ্রীলংকা): নোবেলজয়ী চিলির কবি পাবলো নেরুদার একটি অস্বস্তিকর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এবং পরবর্তীতে স্থানীয় এক নিম্নবর্ণের নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা দেখানো হয়েছে ছবিতে। লুইস জে রোমেরো এবং রিথিকা কোডিথুওয়াক্কু অভিনীত এই ছবিটি টোকিও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছিল।
মুলাকাত (পাকিস্তান): মাত্র ২০ মিনিটের এই শর্ট ফিল্মটি নির্মাণ করেছেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নির্মাতা সীমাব গুল। ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবির প্রিমিয়ার হয়েছে। পরিযায়ী ফাতিমা ও হামজা মুস্তাক অভিনীত এই ছবিটি এক কমবয়সী মেয়েকে ঘিরে। মেয়েটির প্রেমিক তার সংবেদনশীল নাচের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
দাগ দাগ উজালা (পাকিস্তান): ‘দাগ দাগ উজালা’ ডকুমেন্টারিটি পরিচালনা করেছেন আনাম আব্বাস। করাচির নারীবাদীরা পাকিস্তানের চরম ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য সাহসিকতার সাথে একটি ‘আওরাত মার্চ’ (নারী মার্চ) করে। কড়া নজরদারি এবং সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও বিপ্লবের আশায় তারা পিছু হটে না। এই ৮৯ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিটি ইয়ামাগাটা এবং শেফিল্ড ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছিল।
অন্যদিন (বাংলাদেশ): কামার আহমাদ সাইমনের ছবি ‘অন্যদিন’। বিশ্বের বৃহত্তম নন–ফিকশন উৎসব ইডফার মূল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো কোনো বাংলা ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ছবিটি। এই হাইব্রিড ডকুমেন্টারিটিতে একাধিক গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
আসু (শ্রীলংকা): নীলম গর্ভবতী, আনন্দের সীমা নেই। এর মাঝেই ধরা পরে তার ক্যানসার। সন্তান জন্মের পরে নীলমের মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। ছবিটি টোকিও ফিল্ম ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে।
ভাই (পাকিস্তান): দুই ভাই বিরিয়ানি খেতে একটি রেস্টুরেন্টে যায়। তাদের মাঝে ছোট ভাই অটিজমে আক্রান্ত। ছবিটি তাদের ঘিরেই। টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে হামজা বানগাস পরিচালিত এই ছবি।
হোয়াই ইস দ্য স্কাই ডার্ক অ্যাট নাইট? (ভুটান): থিম্পুর একটি কসাইয়ের দোকানে মাংস কাটার কাজ করে এমন এক কমবয়সী মেয়েকে ঘিরে ছবির গল্প।২৩ মিনিটের এই ছবি ছিল বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।