৩১ মার্চ ‘হঠাৎ দেখা’
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার নির্যাস থেকে নির্মিত একই নামের সিনেমা মুক্তি পাবে ৩১ মার্চ।
এর চিত্রনাট্য করেছেন অলোক মুখোপাধ্যায় (ভারত)। পরিচালনা করেছেন রেশমী মিত্র (ভারত) এবং সাহাদাত হোসেন (বাংলাদেশ)। অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন, সুমাইয়া জান্নাতুল হিমি, মুনিরা ইউসুফ মেমী, ওয়াসেক ইমাদ, মনি তালুকদার ও মোহাম্মদ রাজিউল ইসলাম খান এবং ভারতের শিল্পীদের মধ্যে অভিনয় করেছেন দেবশ্রী রায়, দ্বীপ ভট্টাচার্য, কার্ত্তিক দাস বাউল, শঙ্কর চক্রবর্তী, তুলিকা বসু ও সাধন বাগচি।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, জীবন সায়াহ্নে এসে এক সময়ের দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর পুনরায় নিজেদের আবিষ্কার করা রেলগাড়ির কামরায়। বাল্য কৈশোরের প্রথম দেখা, প্রথম স্পর্শ, প্রথম ভালোবাসা সবই ফিরে দেখা অমিত আর মানসীর, মানসী আজ অন্যের পরিণীতা আর অমিত বিশ্ববিখ্যাত, সম্ভ্রান্তবংশীয় বিদ্বজ্জন। অনেক লুকোচুরির পর দু’জনেই ধরা দেয় দুজনের কাছে। মাঝে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেক বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও দুজনের হিয়ার মাঝে ভেসে ওঠে অনেক মান-অভিমান, অনেক না বলা কথা। ট্রেন এগিয়ে চলে তার পথে। মানসীর গন্তব্য এসে যায় আগে।
মানসীর বিস্ময় ভরা আকুল প্রশ্ন, ‘আমাদের যেদিন গেছে, সে কি একেবারেই গেছে’? অমিতের জবাব, ‘রাতের সব তারা থাকে দিনের আলোর গভীরে’। চিরকালীন চিরসত্য প্রেমের আঘ্রাণ এসে লাগে দু’জনের মনে, ভিজে যায় চোখ। রেলগাড়ি এগিয়ে যায় এক নীরব প্রেমের সাক্ষী হয়ে।