Select Page

রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ নাজমুস সাকিবের

রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ নাজমুস সাকিবের

সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘পদ্মাপুরাণ’ ছবির পরিচালক রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ করলেন অভিনেতা, সমালোচক ও শিক্ষক সৈয়দ নাজমুস সাকিব

টাকার বিনিময়ে রিভিউ লেখেন সাকিব— কিছুদিন আগে এমন অভিযোগ তোলেন পলাশ। প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে জাগো নিউজের কাছে দাবি করেন, তার কাছে আড়াই লাখ টাকা চেয়েছেন সাকিব। তার জের ধরেই এ অভিযোগ। অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাশিদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন সাকিব। তার কোনো উত্তর দেননি নির্মাতা।

রাশিদ পলাশ ও সৈয়দ নাজমুস সাকিব

গত ১৯ অক্টোবর রাশিদ পলাশ ফেসবুকে লেখেন, ‘তার মানে শুধু টাকা দিতে পারিনি বলে সিনেমার রিভিউ করলেন না সিনেমা প্রেমিক সৈয়দ নাজমুস সাকিব।

আপনাদের বাংলা সিনেমার প্রতি এই দরদটা মনে থাকবে ভাই। কি মনে হয়, আপনারা না লিখলে সিনেমা চলবে না? কিংবা টাকা না দিলে পোলাপান দিয়ে নেগেটিভ রিভিউ করাবেন?

দিন বদলে গেছে ভাই। আটকাতে পারবেন না। পদ্মাপুরান ঢাকার বাইরে যাচ্ছে, বাংলা সিনেমায় সুদিন ফিরছে,ইন্ডিয়ান সিনেমা বাজী হল থেকে নেমে যাচ্ছে, উঠছে পদ্মাপুরান, বাংলা সিনেমা, বাংলাদেশের সিনেমা।’

https://www.facebook.com/rashid.polash/posts/4804417802915977

ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে সৈয়দ নাজমুস সাকিব আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘আপনি কোন যুক্তিতে এই আলাপ করলেন? একটা প্রমাণ দেখাতে পারবেন যে আমি টাকা চাইসি আপনার কাছে বা কারো কাছে লেখার জন্য? আপনার সিনেমার ইংরেজি সাবটাইটেল করার জন্য আমাকে দিলেন, নিজের ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য আমি সেটা করতে পারিনি, এরপরেও আমি আমার এক ছোট ভাইকে দিয়ে করালাম। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আপনার সিনেমাটা আমার ভাল্লাগে নাই। সেজন্য আমি কিছুই বলিনি। বললে শেষে আপনারাই বলেন- আপনাদের মত লেখকদের জন্য আমাদের সিনেমার উন্নতি হয় না। এত ভুল ধরেন কেন? আর সব ঠ্যাকা আমাকেই কেন নিতে হবে? সব কেন আমাকেই লিখতে হবে? আমার জীবন নাই? আপনার সিনেমা ভাল হলে আমি না লিখলে খারাপ হয়ে যাবে? এও সম্ভব? কনফিডেন্স নাই আপনার নিজের সিনেমার উপরে? লাস্ট অনেকদিন আমি দেশি কন্টেন্ট নিয়ে একদম লিখি না আপনাদের এরকম আচরণের জন্য। চন্দ্রাবতী কথা ভাল লেগেছিল, তাই নিজের তাগিদেই লিখেছি। ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসা করে দেইখেন কোন টাকা নিয়েছি কিনা। শুধু টাকার জন্য কাজ করলে, সিনেমার জন্য প্যাশন না করলে নিজের প্ল্যাটফর্ম সিনেগল্প থেকে আলাদা করে কন্টেন্ট বানাতাম না আপনার সিনেমার প্রসূন আজাদ আর সুমিত সেনগুপ্তকে নিয়ে। এখনও পেজে আছে সেটা। নিজের পেজ থেকে আপনার সিনেমার পোস্টার আর ট্রেলার শেয়ার দিতাম না যদি শুধু টাকার কথা ভাবতাম। চমৎকার প্রতিদান দিলেন ভালোবাসার।’

এরপর ১৯ অক্টোবর জাগো নিউজের একটি সংবাদে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘একটি গ্রুপের সদস্য সৈয়দ নাজমুস সাকিব নামের একজন। তিনি বলেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার ছবিটি নিয়ে লেখালেখি করবেন। পজিটিভ রিভিউ দেবেন। আমি রাজি হইনি। পরে তিনি আর আমার সিনেমাটি নিয়ে একটি অক্ষরও লিখেননি। এমনকি জানতে পেরেছি ওই গ্রুপে অনেকেই আমার ছবিটি নিয়ে লিখতে চেয়েছেন কিন্তু সেইসব লেখা গ্রুপে এপ্রুভ করা হয়নি।’

একই দিন ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন সাকিব। যার একটি অংশে লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য পরিচালক রাশিদ পলাশকে আমি সবচেয়ে চমৎকার একটা শাস্তি দেব। আনফ্রেন্ডও করব না, ব্লকও করব না। তবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ফিরিয়ে না নিলে, অকাট্য তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত না করলে, অথবা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে আমি লিগ্যাল একশন নেব।’

https://www.facebook.com/iamsakib.01/posts/4506397782782504

এর চারদিন পর জানালেন রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ করেছেন তিনি।

শনিবার দুপুরে এক পোস্টে সাকিব লেখেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার চারদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও পরিচালক রাশিদ পলাশ তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেন নি।

এমতাবস্থায় আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ করলাম। পরিচালক সমিতির প্রতি আমার আস্থা রয়েছে, আশা করি তারা সঠিক ব্যবস্থা নেবেন।

যদি পরিচালক আমার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার না করেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করেন, তাহলে এরপরে যা আইনি পদক্ষেপ আছে- তা নিতে বাধ্য হব।

আমার যতটুকুই আজকে পরিচিতি বা জায়গা, তা অনেক কষ্টে অর্জন করা। সেই জায়গা নিয়ে প্রমাণ ছাড়া যে কেউ, যাচ্ছেতাই মন্তব্য করে পার পেয়ে যাবেন- তা আমি হতে দেব না।’

https://www.facebook.com/iamsakib.01/posts/4517738391648443

এখন দেখার বিষয় তর্ক-বিতর্ক মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।


Leave a reply