জবাব দিলেন ‘মুসাফির’ পরিচালক
বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদে লেখা হয়েছে আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘মুসাফির’ সিনেমার ভবিষ্যত অনিশ্চিত। কারণ হিসেবে জানানো হয় পরিচালক দেশে নেই। পড়াশুনার জন্য বিদেশে গেছেন। এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই জবাব দিলেন আশিক। সেখানে ‘মুসাফির’র কাজ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে— তার ধারণা দেন। আরো জানান, শিগগির শুরু হবে ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিক্যুয়ালের কাজ।
ফেসবুক থেকে আশিকের স্ট্যাটাস নিচে তুলে দেওয়া হল—
“সকালে ঘুম থেকে উঠে অদ্ভুত একটা নিউজ দেখলাম কে শেষ করবে মুসাফির? উত্তর হল ডেফিনিটলি আমি শেষ করব। বাংলাদেশ থেকে আসার আগে মুসাফিরের শুটিং, এডিটিং কমপ্লিট ক্লিয়ার করে এসেছি। কারণ আমি মুসাফিরের শুধু ডিরেক্টরই না, একজন সহ-প্রযোজক ও।
এমনকি ঈদের দিন শুধু নামাজ পড়ে, কোন আত্মীয়র সাথে দেখা না করে, সারাদিন-রাত কাজ করেছি, শুধু এই টাইপ এর একটা নিউজ হবে সেটা কে প্রটেস্ট করার জন্য। মুসাফিরের অল্প কিছু কাজ আমি সিডনী থেকেই সম্পন্ন করব। এবার যদি জিজ্ঞেস করেন কীভাবে?
then the ans will be “C’MON MAN”
আজ হল ২০১৫-র আগস্ট। আজকের দিনে শারীরিকভাবেই কোথাও না থেকেও কাজ করা যায়। যেভাবে আমরা সিডনী-বাংলাদেশ ১৪-১৫ ঘণ্টা এখন কাজ করছি। এই শনিবার থেকে ডাবিং এর কাজ শুরু হবে। সিডনীতে রিয়েল টাইম আমি প্যানেল কন্ট্রোল করছি, সরাসরি প্যানেলের সাউন্ড শুনছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা যদি কীভাবে কাজ হচ্ছে এটা দেখতে চান, ইনবক্স মি, আমি ঠিকানা দিচ্ছি বাংলাদেশের প্যানেলে যেয়ে দেখে আসেন, আমাদের বাংলাদেশ বাদে সারা পৃথিবী কতখানি এগিয়ে গেছে।
যত দূর মনে পড়ে কিস্তিমাতের সময়েও অনেক নোংরা একটা নিউজের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু সেই নিউজটা শেষমেষ যে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছিল সেটা সবাই জানেন।
এবার আসল কথায় আসি। আপনাদের এই টাইপ নিউজ এ আমাদের খুব কষ্ট হয়। আমরা ভদ্র পরিবারের সন্তান। সামাজিকভাবে সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। নিজের উপর রাগ লাগে কেন এখানে কাজ করতে আসলাম? রাত-দিন কষ্ট করার পর ও আপনারা এভাবে নিউজ লেখেন। বুয়েটের ৮৫% স্টুডেন্ট বাইরে চলে যায়, কেন জানেন? এই কষ্ট থেকে, বাংলাদেশের জন্য কাজ করলে নিঃস্বার্থভাবে, শুধু কষ্টই প্রতিদানে মেলে। আর অন্য কোন দেশে মেধার প্রয়োগে অন্তত ভাল সম্মান পাওয়া যায়। খুব খুব খারাপ লাগে, আর কাজই করতে ইচ্ছা করে না। পরিচালনার মত অসম্ভব অনিশ্চিত পেশাকে আরো বেশী কঠিন করে তুলেন আপনারা। সাংবাদিকের কলমের অনেক দায়িত্ব, এভাবে লাগামহীনভাবে লেখাটা আপনাদের মানায় না। আপনাদের এভাবে লেখালেখিতে অনেকের অনেক সৎ ইচ্ছা বদলে যেতে পারে।
পরিশেশে বলতে চাই, মুসাফির সময়মতই শেষ হবে।বাণিজ্যিক দিক চিন্তা করে সময় মত মুক্তি দেয়া হবে খুব জলদি। আমি খুব দ্রুত বাংলাদেশে আসব, অক্টোববের শেষ দিকে, চার মাসের জন্য। মুসাফির মুক্তির সময় দরকার হলে ৮-১০ দিনের জন্য যেকোন সময়ে বাংলাদেশ আসব। দেশে এসে ‘মাডাম ফুলি’র কাজ ধরব। ‘গ্যাংস্টার রিটার্ন’ ডিসেম্বরের ৪ তারিখে মুক্তি পাবে ইনশাল্লাহ। প্রযোজকরা চাইলে ‘মিশন আমেরিকা’র কাজ ধরব। আরো অনেক নতুন তথ্য আছে, সময় মত জানাব। কিন্তু এভাবে মন খুশি মতো রিপোর্ট করলে কাজ করার স্পৃহা পরিপূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলব। ধন্যবাদ।”