Select Page

আজকালে সাক্ষাতকার, ফারুকীর সংশোধনী

আজকালে সাক্ষাতকার, ফারুকীর সংশোধনী

Farooki (2)ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিস অব ইন্ডিয়া প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করেছে। ৩ আগস্ট চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র পিঁপড়াবিদ্যা প্রদর্শিত হয়। এ উপলক্ষ্যে কলকাতার দৈনিক আজকাল পত্রিকায় ৮ অগাস্ট শনিবার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাতকারে ফারুকী তার চলচ্চিত্র এবং বাংলাদেশী চলচ্চিত্র সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেন। তবে সাক্ষাতকার প্রকাশের পর ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিছু বিষয়ে সংশোধনীও দেন।

দক্ষিণি ছবির রিমেক, সমস্যায় বাংলাদেশও শিরোনামে প্রকাশিত সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেন সম্রাট মুখোপাধ্যায়। ফারুকীকে বাংলাদেশী সিনেমার তুর্কি তরুণ হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্রাট লিখেন – ‘সিনেমার মত বক্তব্যেও সোজাসাপটা ফারুখি’। সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হওয়ার পর ফারুকী কিছু তথ্য এদিক ওদিক হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সংশোধনী দেন।

আজকাল পত্রিকা এবং সম্রাট মুখার্জিকে ধন্যবাদ দিয়ে ফারুকী তার স্ট্যাটাসের শুরুতে লিখেন, ‘আজকাল পত্রিকা এবং সম্রাট ‘দা কে ধন্যবাদ পত্রিকার গোটা এক পাতা আমার ইন্টারভিউ আর ছবির রিভিউকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। আমি সব সময়ই বলি- বাঙলাভাষী এই দুই অঞ্চলের মানুষদের আরো কাছে আনতে পারে গণমাধ্যম এবং শিল্প সংস্কৃতি। আশা করি আজকাল এবং কোলকাতার অন্যান্য পত্রিকায় বাংলাদেশ এরকম জায়গা পেতে থাকবে। যেরকম বাংলাদেশের পত্রিকায় থাকে কোলকাতার সরব উপস্থিতি । মনে রাখতে হবে- পরিবর্তিত দুনিয়ায় আমাদের কাছাকাছি আর ভালোবাসায় থাকাটা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনকও হবে।’

সাক্ষাতকারে প্রকাশিত তিনটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করেন ফারুকী। ‘এই ইন্টারভিউর মূল কারিগর সম্রাট দা সিনেমার পোকা এবং তাঁর সাথে আড্ডা সত্যিই উপভোগ করেছি । এরকম একটা এনগেজিং ইন্টারভিউর জন্য তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। যেহেতু আমি অনেক কথা বলি এবং বলেছি, রেকর্ডার না থাকাতে কিছু তথ্য একটু এদিক সেদিক হয়ে গেছে’ – তিনি বলেন।

প্রকাশিত সাক্ষাতকারে ফারুকীর বক্তব্যে জানা যায়, দুবছর আগেও তিনি তরুণ টিভি নির্মাতাদের নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু তারা চলচ্চিত্র নির্মানের পর দেখতে পান সেগুলো ভয়ঙ্কর প্রচলিত ভাবনার এবং তামিল-তেলেগু মুভির হুবহু কপি। এই সকল তরুণ নির্মাতাদের নিয়েই ফারুকী ছবিয়াল নামের চলচ্চিত্র আন্দোলন গড়েছিলেন যা সফল হয় নি।

এই বক্তব্যে সংশোধনী দিয়ে ফারুকী লিখেন, ‘এক: শুধু যে ছবিয়ালের ভাই বেরাদরদের দিকে তাকিয়ে আমি আশাবাদী ছিলাম তা না । এবং শুধু মাত্র তাদের ছবিকেই আমার আত্মসমর্পণ মনে হয়েছে তাও না । আমার ধারণা ছবিয়াল এবং অছবিয়াল মিলিয়ে এক দল প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকারের দিকে আমি আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম । কিন্তু ছবি বানাতে গিয়ে তারাও যখন তামিল-তেলেগু- বোম্বের পুরনো ফর্মুলায় ছবি বানাতে থাকলো তখন তো একটু হতাশা আসবেই। ভারতের প্রতিভাবানরা যখন লাঞ্চবক্স, গ্যাংস অব ওয়াসেপুর, কাহানি, পিকু ইত্যাদি বানায়,তখন আমাদের প্রতিভাবানরা যদি ভারতের তৃতীয় শ্রেণীর ছবির ফর্মুলায় নিজের ক্রিয়েটিভ লাইফ সঁপে দেয়, আমার তো একটু হতাশা আসবেই।’

এছাড়া, ফারুকীর পরবর্তী চলচ্চিত্র নো ল্যান্ডস ম্যান ছবি নির্মান প্রসঙ্গে ফারুকীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায় ইতোমধ্যেই তিনটি উৎসব থেকে চলচ্চিত্রটির ডাক এসে গেছে। এ প্রসঙ্গে ফারুকী লিখেন, নো ল্যান্ডস ম্যান তিনটি ফেস্টিভাল থেকে ডাক পাবে কিভাবে যেখানে ছবি বানানোই হয় নাই। আসলে দুইটা ফেস্টিভালের কো প্রোডাকশন মার্কেট এবং একটা স্ক্রিপ্ট ফান্ডে পুরস্কৃত হয়েছে।’

সর্বশেষে, প্রকাশিত সাক্ষাতকারে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে ‘মোস্তাফা সারওয়ার ফারুখি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে ফারুকী লিখেন, ‘লাস্ট বাট নট লিস্ট, আমি ফারুখি নহি, আমার নাম ফারুকী । আশা করি কোলকাতার প্রুফ রিডার বন্ধুরা বাংলাদেশী মুসলমানদের নাম গুলো নির্ভুল ভাবে লিখবেন। একটা দুইটা ভুল হলে চোখে লাগে না । কিন্তু প্রায়ই আমরা এটা ঘটতে দেখি। একটু সচেতন হলে বা জিগ্যেস করে নিলে এই সমস্যাটা আর হয়না। সামান্য বানানের জন্য আমাদের মধ্যে সন্দেহ আর অবিশ্বাস যেন তৈরি না হয়।’

 


Leave a reply