
যে গান বদলে দেয় কুমার বিশ্বজিৎকে
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। চট্টগ্রামে থাকতেন তিনি। ১৯৮২ সালে মাত্র আঠারো বছর বয়সেই একটি গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। সেই গান তার জীবনের টার্ণিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়। সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো‘র আলম বিশ্বাসের সাথে সেই গান নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। বিএমডিবি-র পাঠকদের জন্য সেই কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হল।১৯৮১ সাল। তখন তাঁর বয়স ১৮। থাকেন চট্টগ্রামে। পড়াশোনা করছেন উচ্চমাধ্যমিকে। ওই সময় এক গান গেয়েই মাত করে দিলেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। গানটি ছিল ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’।
কুমার বিশ্বজিৎ জানালেন, তখন তিনি চট্টগ্রামে থাকতেন। বন্ধুদের অনেকেই ছিলেন ঢাকায়। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আর গানের টানে ঢাকায় আসা ছিল তাঁর নিয়মিত ঘটনা।
বললেন, ‘তখন গান রেকর্ডিং করতে হলে ঢাকায় আসতেই হতো। একদিন বন্ধু হ্যাপী আখান্দ্কে বললাম, কয়েকটা গান করতে চাই। পাশে ছিলেন তাঁর ভাই লাকী আখান্দ্। একসঙ্গে চারটি গানের কাজ করি আমরা। তার মধ্যে একটি ছিল “তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে” গান। অন্য তিনটি গান হলো “এ কেমন স্বপ্ন আমার”, “সংসার সুখের হয়” আর “চতুর্দোলা”।’
‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানের গীতিকার আবদুলাহ আল মামুন, সুর করেন নকীব খান। তখন অভিনেতা আল মনসুর ছিলেন বিটিভির অনুষ্ঠান প্রযোজক। তাঁকে শোনানো হলো গানটি। পছন্দ করলেন। প্রচারিত হলো বিটিভিতে। কুমার বিশ্বজিৎ নামটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছর গানটি স্থান পায় অডিও অ্যালবামে। শ্রোতারা দারুণ পছন্দ করেন।
গোড়াতে নাকি ঘটেছিল অন্য ঘটনা। কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, ‘অ্যালবামটি প্রযোজনা করেন ইজাজ খান স্বপন। প্রথমবার অডিও অ্যালবামে গানটি যুক্ত করার সময় সমস্যা হয়েছিল। আমি অ্যালবামটি শুনতে চাই। কিন্তু স্বপন আমাকে শুনতে দেয়নি। শুধু জানাল, এটা এভাবেই যাক। পরে ঠিক করে দেওয়া হবে।’
কুমার বিশ্বজিৎ ওই কথায় কান দেননি। তিনি নিজের খরচে নতুন করে অ্যালবামের মাস্টার কপি তৈরি করেন। পরে তা থেকেই তৈরি হয় অ্যালবামের হাজার হাজার কপি।
কুমার বিশ্বজিৎ জানালেন, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে আর ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ দিয়েছে দর্শক-শ্রোতার কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা।