Select Page

সরকারি অনুদান পেল রেকর্ড ২৫টি চলচ্চিত্র

সরকারি অনুদান পেল রেকর্ড ২৫টি চলচ্চিত্র


করোনাকালে রেকর্ড পরিমাণ অনুদান পেলো চলচ্চিত্র। ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য মোট ২৫টি চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে।

সংখ্যার বিচারের পাশাপাশি বাজেটের বিচারেও এবারের অনুদান সর্বোচ্চ। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ হয়েছে।

এবার পূর্ণদৈর্ঘ্যে ১টি শিশুতোষ, ৩টি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিকসহ ১৬টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যে ৩টি প্রামাণ্যচিত্র, ১টি শিশুতোষসহ ৯টি ছবি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় রেকর্ড। এ সংখ্যা অন্যান্য বছর ছিলো অনধিক ১০।

করোনাভাইরাসের কারণে চলচ্চিত্র শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী বিশেষ বিবেচনায় এবার অধিক সংখ্যক ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অনুদানের তালিকার প্রজ্ঞাপনটি জারি হয় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন)।

পূর্ণদৈর্ঘ্যে নির্বাচিত ছবিগুলো সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে পাবে। অন্যদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্যে নির্বাচিত ছবিগুলো পাবে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

তালিকা অনুযায়ী পূর্ণদৈর্ঘ্যের সাধারণ শাখায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ ছবির জন্য ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন প্রদীপ ঘোষ। ইস্পাহানি আরিফ জাহান ‘হৃদিতা’র জন্য পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। ‘গাঙকুমারী’র জন্য ৬০ লাখ টাকা পাচ্ছেন ফজলুল কবীর তুহিন।

বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর মোঃ মুশফিকুর রহমান গুলজার বানাবেন ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’। তিনি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘কাজল রেখা’। সে ছবির জন্য তিনি পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা। অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনায় সন্তোষ কুমার বিশ্বাস নির্মাণ করবেন ‘ছায়াবৃক্ষ’। ছবিটি পাচ্ছে ৫০ লাখ টাকা।

নায়িকা রোজিনা ‘ফিরে দেখা’ ছবির জন্য পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা। বদরুল আনাম সৌদ ৫৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন ‘শ্যামা কাব্য’র জন্য। তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনায় ‘আশির্বাদ’ পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। পরিচালনা করবেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ‘লেখক’র জন্য ইফতেখারুল আলম (ইফতেখার শুভ) পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা। আব্দুল মমিন খানের প্রযোজনায় ‘বিলডাকিনী’ পাচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। পরিচালনা করবেন মনজরুল ইসলাম।

পূর্ণদৈর্ঘ্যের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শাখায় ‘ফুটবল ৭১’র জন্য অনম বিশ্বাস পাচ্ছেন ৫১ লাখ টাকা। পংকজ পালিত ‘একটি না বলা গল্প’র জন্য পাচ্ছেন ৫৮ লাখ টাকা। এস এ হক অলিক ‘যোদ্ধা’র জন্য পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা।

পূর্ণদৈর্ঘ্যের শিশুতোষ শাখায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ছবির জন্য আমিনুল হাসান লিটু পাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকা। পরিচালনা করবেন আউয়াল রেজা। ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ ছবির জন্য নূরে আলম পাচ্ছেন ৬০ লাখ টাকা।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের সাধারণ শাখায় ‘আগন্তুক’র জন্য প্রবীর কুমার সরকার (বিপ্লব সরকার) পাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’র জন্য শরীফ রেজা মাহমুদ ওরফে স্বজন মাঝি পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। মোঃ সোহেল আহমদ সিদ্দীকী ১৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন ‘ধূসর দিগন্ত’র জন্য। ‘দূরে’র জন্য মিতালি রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা পাচ্ছেন। চৈতালি সমাদ্দার ‘মরিয়ম’র জন্য পাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র শাখায় এবিএম নাজমুল হুদা ১৮ লাখ টাকা পাচ্ছেন ‘প্রথম রূপকথার বই’র জন্য। মোঃ সাজেদুল ইসলাম ‘পটুয়া’র জন্য পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। ফাখরুল আরেফীন খান ‘অবিনশ্বর’র জন্য পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের শিশুতোষ শাখায় ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’র জন্য দেবাশিষ দাশ পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা।

……………………………..

এক নজরে

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালনা ও প্রযোজনায় ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, এম এন ইস্পাহানীর প্রযোজনা ও ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনা ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘আশীর্বাদ’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র: পংকজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’, অনম বিশ্বাসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফুটবল ৭১’ ও এসএ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’।

শিশুতোষ চলচ্চিত্র: আমিনুল হাসান লিটুর প্রযোজনা ও আউয়াল রেজার পরিচালনায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নুরে আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: প্রবীর কুমার সরকারের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘আগন্তুক’, শরীফ রেজা মাহমুদের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’, এবিএম নাজমুল হুদার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রথম রূপকথার বই’, দেবাশীষ দাশের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’ (শিশুতোষ), সাজেদুল ইসলামের প্রযোজনা ও পরিচালনায় প্রামাণ্যচিত্র ‘পটুয়া’, ফাখরুল আরেফীন খানের প্রামাণ্যচিত্র ‘অবিনশ্বর’, সোহেল আহমেদ সিদ্দিকীর ‘ধূসর দিগন্ত’, মিতালি রায়ের ‘দূরে’ ও চৈতালি সমাদ্দারের ‘মরিয়ম’।

………………………………

অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্যের এবং ৬ মাসের মধ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ করতে হবে। তিন কিস্তিতে অর্থ দেওয়া হবে। সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত ছবিগুলোর শিল্পী, কলাকুশলী, গল্প, চিত্রনাট্যের কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।

পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ২ ঘণ্টা হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্যে ৩৫-৫৫ মিনিট হতে হবে। তবে অনুমতি নিয়ে দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করা যাবে।


Leave a reply