Select Page

আপাতত সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই চলবে শিল্পী সমিতি , জায়েদকে ‘বয়কট’

আপাতত সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই চলবে শিল্পী সমিতি , জায়েদকে ‘বয়কট’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। অন্যদিকে জায়েদ খানকে বয়কট করেছে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন, এমন খবর রটেছে।

নির্মাণাধীন ‘সোনার চর’ ছবিতে জায়েদ

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এর ফলে আপাতত আর কেউ ওই পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। একইসঙ্গে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

জায়েদ খানের রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন জানান নিপুণ আক্তার।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। এফডিসিতে ডাকা এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনি আচরণবিধি না মানায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়েছে। ফলে তার পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এ পদে জয়ী দেখানো হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এফডিসিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে বসে আপিল বোর্ড। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান, অভিযোগকারী নিপুণ।

এইদিকে অভিনেতা ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কট করেছে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন, এমনটা শোনা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রগ্রাহক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মজনু এবং শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য অভিনেতা আলমগীর, নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী নিপুণ, সাইমন সাদিকসহ চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।

তবে বৈঠকে জায়েদকে বয়কটের সিদ্ধান্ত ফাঁস হলেও সংশ্লিষ্ট কেউ তখন স্বীকার করেনি।

আজ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেতারা। বিকেলে আদালতের নির্দেশনা আসার পর এফডিসিতে ফের বৈঠকে বসে ১৮ সংগঠনের নেতারা। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের কাছে জায়েদ খানকে বয়কটের কথা জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘জায়েদ আমাদের কোনো সংগঠনকে মানেন না। সিনিয়রদেরকেও সমীহ করেন না। যেহেতু তিনি নিজের মেজাজ-মর্জি অনুসারে চলেন তাই সংগঠনগুলোরও তাকে আর দরকার নেই। আমরা কেউই জায়েদের সঙ্গে কাজ করব না। যদি কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য জায়েদের সঙ্গে কাজ করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন সেই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দরকার পড়লে সদস্যপদও বাতিল করা হবে।’

তবে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেছেন, বয়কটের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।


মন্তব্য করুন