Select Page

‘আয়নাবাজি’তে মারুফের ৯ প্রশ্ন

‘আয়নাবাজি’তে মারুফের ৯ প্রশ্ন

kazi-maruf

অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি শুরু থেকেই আলোচিত। সিনেমাটি নিয়ে সম্প্রতি ৯টি প্রশ্ন করেন অভিনেতা কাজী মারুফ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিতর্ক।

মারুফের প্রশ্ন :

এক. সিনেমার হিরো চঞ্চল চৌধুরী প্রথম এন্ট্রিতে বাজারের লোককে ঠকিয়ে মাছ নিয়ে আসেন। তাহলে কি আমরা মানুষকে ঠকিয়ে খাব?

দুই. মামলার ধরণ শুনে ভাড়ায় জেল খাটেন হিরো। প্রথম যে মামলার আসামীর পরিবর্তে নায়ক জেলে গিয়েছেনে সেটা হলো নারী নির্যাতন মামলা। নায়কের কি নারী নির্যাতন মামলা ভালো লেগেছে যে তিনি সেটাতে রাজী হয়েছেন?

তিন. জেলের ভেতর কোন ধরণের গান-বাজনা হয়? বাংলাদেশের কোনো সিনেমায় জেলের ভেতরে গান-বাজনা দেখানো হয় না। আর হলেও স্যাড গান হয়। অথবা কল্পনায় গান গাওয়া হয়।

চার. জেলের কয়েদির গাড়ি কি কখনো কোথাও থামে?

পাঁচ. আয়নাবাজির মতো সিনেমা আমরা নির্মাণ করলে সেন্সর ছাড়পত্র পেত না। আমরা ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ নির্মাণ করেছি। সেন্সর বোর্ড বলেছে, ‘ইয়াবা খাওয়ানো দেখানো যাবে না।’ আমরা যা টুকটাক দেখিয়েছি তাতে আমরা লিখে দিয়েছি ‘মাদক স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর’। কিন্তু এ সিনেমায় প্রকাশ্যে মদ পান করছেন কিন্তু কোথাও লেখা ছিল না ‘মাদক স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর’। তাহলে দর্শক কী শিখবে? মদ খাওয়া সাস্থের জন্য ভালো?

ছয়. সাংবাদিকদের সমাজের বিবেক বলা হয়। এখানে সাংবাদিককে মদ পান করতে দেখানো হয়েছে। এছাড়া সঠিক খবর প্রকাশ করতে পারেনি সে। এখানে সাংবাদিকদের নীতিগতভাবে ছোট করা হয়েছে।

সাত. আমাদের বস্তাপচা বাংলা সিনেমায় ভিলেনের কোনো রেহাই নেই। কিন্তু যদি হিরো অন্যায় করেন তাকেও শেষে মেরে ফেলা হয়। তারও মৃত্যু ঘটে। তারও জেল হয়। জেল হওয়ার পরও বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এ সিনেমার হিরো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্যায় করে গেছেন। ক্রাইম করেছেন। এই ক্রাইমের কী সাজা হয়েছে? বরং অন্যায় করেও পার পেয়ে হাসছেন। তার মানে তিনি আবারও এ অন্যায় করবেন। তার মানে কী আমরা ক্রিমিনালকে উৎসাহ দিচ্ছি?

2

আট. আয়নাবাজিতে পুলিশকে বোকা বানানো হয়েছে। পুরো সিনেমায় পুলিশ বোকা। বাংলাদেশের পুলিশ কি এতটাই বোকা! সাধারণ মানুষ এখান থেকে পুলিশ সম্পর্কে কী ধারণা পাবে? যেখানে জঙ্গিবাদ একটা বড় ইস্যু সেখানে পুলিশকে বোকা বানানো কতটা যুক্তিসঙ্গত?

নয়. সিনেমার হিরোর মা যাত্রা দলে অভিনয় করতে পছন্দ করেন। তাই নায়কও অভিনয় করেন বিভিন্ন বেশে। মা অসুস্থ ছিল বলে ভাড়ায় জেল খেটে টাকা রোজগার করে সে। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে যখন সে দেখে মা মারা গেছে। তাহলে তো তার আর অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন নেই। যেহেতু তার আরেকটি স্কুলের চাকরি আছে। সুতরাং তার আর এ কাজ করাই উচিত না। একদম শেষ দিকে যখন সে ফাঁসির প্রহর গুণছে তখনও প্রেমিকার সঙ্গে সে অভিনয় করেই যাচ্ছে-এটা কতটা বাস্তবসম্মত? অর্থাৎ অভিনেতা অন্যায় করেই যাচ্ছেন। তার মানে অভিনেতারা এভাবে অন্যায় করেন? এখানে অভিনেতাদেরও অসন্মান করা হয়েছে। শুরু থেকে অন্যায় করেই যাচ্ছে কিন্তু আয়নার কোনো অনুশোচনা হয়নি।

সূত্র : রাইজিং বিডি


মন্তব্য করুন