Select Page

উত্তর আমেরিকায় তিনদিনের হিসেবে চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়ের বাংলাদেশি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’

উত্তর আমেরিকায় তিনদিনের হিসেবে চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়ের বাংলাদেশি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’

উত্তর আমেরিকার বাজারে প্রথম সপ্তাহান্তে (শুকবার-রোববার) হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ ছবির আয় প্রকাশ হয়েছে। পরিবেশক স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো জানান, হলিউড সিনেমার মহোৎসবের মাঝেও প্রথম ৩ দিনে ‘প্রিয়তমা’র আয় ৪৪ হাজার ডলার!

হলিউড সিনেমার সুপার পিক মৌসুম হবার কারণে ৭ জুলাই ‘প্রিয়তমা’ মাত্র ৪২টি থিয়েটারে কানাডা ও আমেরিকায় মুক্তি পাবার সুযোগ পেয়েছে। এর আগের সপ্তাহ থেকে চলে আসা ইন্ডিয়ানা জোন্স, একই দিনে মুক্তি পাওয়া জয় রাইড, মাঝ সপ্তাহে (১২ জুলাই, বুধবার) মুক্তি পাওয়া মিশন ইম্পসিবল এর কারণে কানাডা আমেরিকার চেইনগুলো এ মুহূর্তে একদমই আউটস্ট্যান্ডিং সম্ভাবনার কোন সিনেমা না হলে পর্যাপ্ত থিয়েটার দিচ্ছেনা বা দিতে পারছেনা। নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির সিউরশট ব্লকবাস্টার সিনেমা যেগুলার উপর তাদের ইয়ারলি ব্যবসারও প্রায় সবটা নির্ভর করে সেগুলো রেখে অন্য ইন্ডাস্ট্রির অনিশ্চিত সম্ভাবনার সিনেমার উপর তারা বাজি ধরবে এটা আশা করাও অন্যায়। তাই ‘প্রিয়তমা’ বেশ কিছু কি লোকেশন ছাড়াই মুক্তি পেয়েছে।

কানাডার অটোয়া, মন্ট্রিয়ল, এডমন্টন, সাস্কাটুন, রেজিনা এবং আমেরিকার ভার্জিনিয়া, সাউথ ফ্লোরিডা, পেন্সিলভেনিয়ার আপার ডার্বি ও ল্যান্সডেল, নিউইয়র্কের বাফেলো, ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল লস এঞ্জেলেস, কানেক্টিকাট, ম্যাসাচুসেটস এর কোনো থিয়েটারে জায়গা বের করা যায়নি ‘প্রিয়তমা’র জন্য। এ প্রত্যেকটি লোকেশন আমাদের সিনেমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশ বড় অংকের একটা বক্স অফিস কন্ট্রিবিউশন আসে এসব মার্কেট থেকে।

তারপরও প্রথম ৩ দিনে ‘প্রিয়তমা’ ৪৪ হাজার ডলার গ্রস করে ফেলেছে এবং, এটি উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে বাংলাদেশি সিনেমার ইতিহাসে (এখন পর্যন্ত) ৪র্থ সর্বোচ্চ ওপেনিং। খুব আশা জাগানিয়া বিষয় হল, ৪২টি থিয়েটারের মধ্যে যে কয়টি কি মার্কেটে রিলিজ হতে পেরেছে তার সবগুলোতেই দারুন পারফর্ম করছে সিনেমাটি।

নিউইয়র্কে তো রীতিমত ‘প্রিয়তমা’ ঝড় বইছে। দর্শকের চাপে এ কঠিন সময়েও নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স তাদের সবচেয়ে বড় হলটা প্রিয়তমাকে দিতে বাধ্য হয়েছে। ৪টির জায়গায় ৭টি শো চালিয়েছে একদিন। মিশিগানের এএমসি জন আর ১৫ এ তো প্রথম দিন থেকেই শো সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। কানাডার টরন্টোতেও চলছে ‘প্রিয়তমা’ দেখার উৎসব। এখানে ‘প্রিয়তমা’র এমন দূর্দান্ত সাফল্য একটা বড় ঘটনা। এছাড়া নর্থ ইস্ট ফিলাডেলফিয়ার বেনসালেমের এএমসি নেশামিনি ও গ্রেটার লস এঞ্জেলেস এর এএমসি ফুলারটনে দারুণ যাচ্ছে সিনেমাটি।

সবচেয়ে ভাল খবর হচ্ছে, এ সবগুলো হলেই দ্বিতীয় সপ্তাহে পদার্পণ করেছে ‘প্রিয়তমা’। এখানে আবারো মনে করিয়ে দেই, এ পিক সামার মৌসুমে হলিউড সিনেমার প্রবল দাপটের মাঝে একমাত্র আউটস্ট্যান্ডিং সম্ভাবনা থাকলে বা আউটস্ট্যান্ডিং পারফর্মেন্স করলেই জায়গা পাওয়া বা ধরে রাখা যাবে থিয়েটারগুলিতে। ‘প্রিয়তমা’ উপরের থিয়েটারগুলিতে সেটা করতে না পারলে ২য় সপ্তাহে যাবার প্রশ্নই উঠতোনা।

এখন দেখা যাক, ‘প্রিয়তমা’ তার লাইফটাইম বিজনেস দিয়ে উত্তর আমেরিকার বাজারে এক লাখ ডলাবের বেশি আয় করা সিনেমা হতে পারে কিনা! এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টি বাংলাদেশি সিনেমা এ মাইলফলক ছুঁতে পেরেছে।


মন্তব্য করুন