Select Page

স্টার সিনেপ্লেক্সের মহাখালী শাখায় টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া

স্টার সিনেপ্লেক্সের মহাখালী শাখায় টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া

স্টার সিনেপ্লেক্সের তৃতীয় আউটলেট চালু হতে যাচ্ছে রাজধানীর মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে। ১৯ অক্টোবর উদ্বোধন হলেও সাধারণ দর্শক পরদিন থেকে টিকিট থেকে সিনেমা দেখতে পাবেন।

এই নিয়ে অনেকের উচ্ছ্বাস অন্ত ছিলো না। কিন্তু নতুন হলের টিকিটের দাম জেনে কেউ কেউ দমে গেছেন। বসন্ধুরা সিটি ও সীমান্ত সম্ভারের চেয়ে এখানে দাম বেশি। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। যদিও স্টারের এই শাখায় হাল নাগাদ প্রযুক্তিতে পর্দা, শব্দ, আসন ও সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে- সে দিক থেকে দাম বেশি হওয়ার কথা।

কিন্তু অনেকেই বলছেন মধ্যবিত্তের নিয়মিত সিনেমা দেখার সুযোগ থাকছে না এই হলে। আবার কেউ বলছেন মহাখালী, গুলশান, বনানীর মতো উচ্চবিত্ত দর্শকদের বিবেচনা করেই টিকিটের এই দাম। উত্তর ঢাকা থেকে যারা একটু কম দামে দেখতে যান তাদের হয়তো জ্যাম বসে অনেকটা পথ পেরিয়ে বসুন্ধরা সিটিতে আসতে হবে।

এখানে টিকিটের দাম তিন ভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

হল এক: শুক্রবার ও শনিবার (ছুটির ও সপ্তাহান্তের বিকেল থেকে) রেগুলার আসন ৪৫০ টাকা, লাউঞ্জার ৫৫০ টাকা ও সেমি রিক্লিনার ৬৫০ টাকা। ছুটির দিন ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার আগে দাম যথাক্রমে ৩৫০ টাকা, ৪৫০ টাকা ও ৫৫০ টাকা।

হল দুই/অ্যাটমস : শুক্রবার ও শনিবার (ছুটির ও সপ্তাহান্তের বিকেল) রেগুলার আসন ৭০০ টাকা, লাউঞ্জার ৮০০ টাকা ও সেমি রিক্লিনার ৯০০ টাকা। ছুটির দিন ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার আগে দাম যথাক্রমে ৬০০ টাকা, ৭০০ টাকা ও ৮০০ টাকা।

হল তিন/ভিআইপি: শুক্রবার ও শনিবার (ছুটির ও সপ্তাহেন্তর বিকেল) ১৫০০ টাকা। ছুটির দিন ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার আগে দাম ১২০০ টাকা।

অনেকে এটাও বলছেন বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে টিকিটের দাম খানিকটা কমানো যায়।

এছাড়া রাজধানীর অন্য দুই পুরোনো হল বলাকা-মধুমিতায়ও মানের তুলনায় টিকিটের দাম চড়া বলছেন নিয়মিত দর্শকরা। এই কথা শ্যামিলী সিনেমা নিয়েও বলা হয়।

স্টার সিনেপ্লেক্সের টিকিটের দামে বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে

এদিকে নতুন শাখা নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমরা ঢাকায় আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল চালু করতে যাচ্ছি। আশা করি মহাখালী ও এর আশে-পাশের দর্শকদের জন্য এটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আসলে দর্শকদের ভালোবাসা-ই আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা শুরু থেকেই দেশের দর্শকদের সিনেমা দেখার নতুন পরিবেশ উপহার দিতে চেয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে আমাদের এই প্রয়াস। দর্শকদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করে আমরা আরও অনেক দূর যেতে চাই। পর্যায়ক্রমে ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, পূর্বাচলসহ বিভিন্ন স্থানে আরও ২০ টি মাল্টিপ্লেক্স এবং দেশব্যাপী ১০০ টি মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’

স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটির শাখা চালু হয় ২০০৪ সালে। এরপর দর্শক চাহিদার কারণে গত কয়েক বছরে পর্দা দ্বিগুণ হয়েছে। আর ২০১৮ সালে উদ্বোধন হয় ধানমণ্ডির সীমান্ত সম্ভার শাখা। বর্তমানে চালুর অপেক্ষায় আছে মিরপুরের সনি সিনেমা হলে নির্মিতব্য মাল্টিপ্লেক্স।


মন্তব্য করুন