Select Page

উত্তর বঙ্গের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স বগুড়ার মধুবন

উত্তর বঙ্গের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স বগুড়ার মধুবন

উত্তরবঙ্গের অন্যতম জেলা বগুড়ার মধুবন ভেঙে নতুন করে আধুনিক হল নির্মাণ করা হচ্ছে। দর্শক বিবেচনায় সামনে বাড়তে পারে পর্দা সংখ্যা, পরিণত হতে পারে মাল্টিপ্লেক্সে। শহরের পৌরসভা এলাকার চেলোপাড়া নামক স্থানে নির্মাণাধীন এই হলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’। ঈদুল ফিতরে শাকিব খানের ‘পাসওয়ার্ড’ দিয়ে হবে শুভ উদ্বোধন।

এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে চ্যানেল আই অনলাইনে। সেখানে মধুবনের স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস (রুবেল)  জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ প্রদর্শনের পর ‘মধুবন সিনেমা হল’ বন্ধ করে দেন। তারপর থেকে আধুনিক মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তরের কাজ শুরু করেন। গতবছর টানা কাজ হয়েছে। একটি স্ক্রিনে বানানো সিনেপ্লেক্স। যেটি আসন্ন ঈদে চালুর লক্ষ্যে বর্তমানে টানা কাজ চলছে। এখানে আসন সংখ্যা থাকবে ৩৫০ টির বেশি।

সাধারণ শ্রেণির জন্য ৮০-১০০ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ টাকা এবং একেবারে উন্নতমানের আসনে ৩০০ টাকার টিকেট নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মধুবন সিনেপ্লেক্সে থাকবে নিজস্ব মেশিন ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে একযোগে হলিউডের ছবিও প্রদর্শন করতে চান রোকনুজ্জামান। তার মতে, বগুড়ায় প্রচুর হলিউডের ছবির দর্শক আছে। দেশের ছবির পাশাপাশি হলিউডের ছবিও আমরা চালানোর পরিকল্পনা করছি।

১৯৬৯ সালে রোকনুজ্জামান ইউনূসের বাবা প্রয়াত অব. লে. কর্ণেল এ এম ইউনুস ‘মধুবন সিনেমা হল’-এর ভিত্তি স্থাপন করেন।  ১৯৭৪ সালে চালু করেন ‘মধুবন সিনেমা হল’। বাবার মৃত্যুর রোকনুজ্জামান হলটির দায়িত্ব নেন।

এরপর ২০১৫ সালে শাকিব খানের ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবি প্রদর্শনের সময় রোকনুজ্জামান ইউনূস প্রথম টের পান সিনেমা হলের দর্শক এখনও আছে। তা না হলে ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার কামড়, গরমের মধ্যেও দর্শক কেন আসছে হলে? পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের সময় রোকনুজ্জামান ইউনূস নিজে নিজে লজ্জিত হন। কারণ নোংরা পরিবেশ, ভাঙা চেয়ার, গরমের মধ্যেও যে পরিমাণে দর্শক হলে আসছে তিনি কল্পনাও করেননি। বিশেষ করে শিক্ষিত শ্রেণির দর্শক তিনি বেশি দেখতে পান।

আয়নাবাজি, শিকারি, নবাব সিনেমাগুলোও ভালো ব্যবসা করে। রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চালানোর পর আমি সবার কাছে মাফ চেয়েছি সিনেমা হলের পরিবেশের কারণে। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করবো। আমি আমার কথা রেখেছি।

ইতোমধ্যে হলে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যদি ব্যবসা ভালো হয় তবে পাশে জায়গা খালি আছে আরও দুটো সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করবো, সমস্যা হবে না।

মধুবন সিনেপ্লেক্সের নিচতলায় থাকছে ফুডকোর্ট এবং উপর তলায় আধুনিক সিনে থিয়েটার। আর বাইরে থাকবে যানবাহন পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা।


মন্তব্য করুন