Select Page

কতটুকু নিষিদ্ধ?

কতটুকু নিষিদ্ধ?

তরুণ নির্মাতা রুবেল আনুশ পরিচালিত ছবি ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। ছবির টাইটেলে ব্যবহৃত হয়েছে ‘নিষিদ্ধ প্রেম’ কথাটি কিন্তু ছবির গল্প ও থিম অনুযায়ী প্রশ্ন রাখা যেতে পারে কতটুকু নিষিদ্ধ এ গল্প। সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য বলে সার্টিফাই করেছিল সেটি তাদের বিবেচনা কিন্তু তারপরেও কথা থাকে। সব দর্শকের বা মোটাদাগের দর্শকের কাছে একটি ছবি আদৌ দেখার অযোগ্য কিনা সেটা তারা দেখে বলতে পারবে। ম্যান টু ম্যান ভেরি করার একটা বিষয় তো থাকেই। সেদিক থেকে বললে এ ছবির গল্প সমাজের চেনা গল্পই। আমাদের চারপাশে অনেক গল্পই এ ধরনের থাকে আর চলচ্চিত্রের মতো জায়গায় সেটি আসতেই পারে।

ছবিতে প্যারালালি তিনটি গল্প আছে। তিনটি সমান দৈর্ঘ্যসম্পন্ন বলেই মনে হয়েছে। একটার সাথে আরেকটির সংযোগ আছে এবং কোথায় আছে তা ছবির ক্লাইমেক্সে কিনা সে পর্যন্ত দর্শককে অপেক্ষা করিয়েছেন নির্মাতা।

তিনটি গল্পই ভালোবাসার, নির্মাতার ভাষায় নিষিদ্ধ প্রেমের। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে বললে তিনটি গল্পের তিন ধরনের ফ্লেবার ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আধুনিক। বয়ঃসন্ধি, মোহ, ঘোর লাগা বা কেটে যাওয়া এটা ছিল গল্পের সবচেয়ে স্ট্রং পার্ট। পরিণতি পর্যন্ত যেতে যেতে গল্পগুলো মন খারাপের হতে পারে দর্শকের জন্য।

অভিনয়ের কথা বললে সিমলা অনেকদিন বাদে কোনো ছবিতে এলো এবং তার অভিনয় ন্যাচারাল, সহজাত আগের মতোই। ভালো অভিনেত্রী তো বটেই। শিশুশিল্পী মামুন যেভাবে ‘ঘেটুপুত্র কমলা, ওপারে আকাশ’ ছবিগুলো করে এসেছে সেই ইমেজ থেকে এ ছবিতে কিছু দর্শক হয়তো নিতে পারবে না তাকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না এটা অভিনয় এবং সমাজে ঘটে চলা চরিত্র। সে তার অভিনয় ভালোমতোই করেছে। ‘জানোয়ার’ ওয়েব ফিল্মের মুনমুন মেয়েটি এখানেও ন্যাচারাল পারফর্ম করেছে। অন্য জুটিটি মোটামুটি ছিল। সোহেল খান, মনিরা মিঠু তাদের স্বাভাবিক ভালো অভিনয়ই করেছে। শিমুল খানের জন্য ঠিকঠাক চরিত্র।

ছবির কারিগরি দিকটিতে ক্যামেরার কাজ, স্টোরি টেলিং মন্থর গতির। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরক্তি আসতে পারে দর্শকের। পার্শ্ব অভিনেতাদের অভিনয় দুর্বল ছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মোটামুটি মানের এবং নির্মাতার আরো যত্নশীল হবার দরকার ছিল। পার্শ্ব অভিনেতাদের অভিনয় ছবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই এটা দুর্বল হলো কিনা খেয়াল রাখতে হবে পরের ছবিগুলোতে। সেন্সরের কাটা পড়া অংশ সম্ভবত ছবির দৈর্ঘ্য অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে তাই খাপছাড়া ভাব আছে।

রুবেল আনুশ চেষ্টা করেছেন ভালো ছবি বানাতে কিন্তু সীমাবদ্ধতা থেকে গেছে। এটাও ভালো কারণ শিখতে পারবেন তিনি পরের কাজগুলো কীভাবে আরো ভালো করতে হবে। আর দর্শককে সেই প্রশ্নটি আবারো জীবনের গল্পে প্রেম ‘নিষিদ্ধ কতটুকু?’

রেটিং – ৬/১০


মন্তব্য করুন