![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
কলকাতাও দেখছে না যৌথ প্রযোজনার ছবি
কয়েকবছর ধরে ঢালিউডে আলোচনায় আছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ও ভারতীয় সিনেমার আমদানি। দুটোকে বাংলাদেশি সিনেমার উন্নয়নে সহায়ক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে বরাবরই। অথচ ওইসব সিনেমা খোদ পশ্চিমবঙ্গে দর্শক পাচ্ছে না। বাংলাদেশে মুক্তিতে তাদের লোকসানের পরিমাণ খানিকটা কমছে। আবার জিতের মতো তারকা ছাড়া ছবিও বাংলাদেশের দর্শক নিচ্ছে না।
সম্প্রতি ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন কলকাতার প্রযোজকদের সংগঠন ইম্পা।
সে রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায় চলতি বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে ব্যবসা করা সিনেমা জিতের ‘বাদশা দ্য ডন’ সেমিহিট বা লগ্নি তুলে এনেছে। কলকাতায় লাভের অঙ্কে কিছু যোগ করতে না পারা সিনেমাটি বাংলাদেশে আয় করেছে ৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে শাকিব খানের ‘শিকারি’ বাংলাদেশে আয় করেছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। সিনেমাটি কলকাতায় ফ্লপের কথায় নাম লিখিয়েছে। যদিও ওই দেশি চিত্রনাট্যকার ও বাংলাদেশের অনেকেই বলছিলেন কলকাতায় রেকর্ড গড়েছে ‘শিকারি’। কিন্তু হিন্দুস্তান টাইমসসহ অন্যান্য পত্রিকার রিপোর্ট বলছে সিনেমাটি ফ্লপ।
একইভাবে ফ্লপ করেছে প্রেম কি বুঝিনি, হিরো ৪২০ ও অঙ্গার। এছাড়া ‘নিয়তি’র নামগন্ধই নেই প্রথম বিশ সিনেমার তালিকায়। যদি প্রচার হয়েছিল সিনেমাটি কলকাতায় ভালো করেছে। ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘রক্ত’ও ভালো করেনি কলকাতায়।
তবে কলকাতায় হিটের (ব্রেক ইভেন) খেতাব পেয়েছে ‘শঙ্খচিল’। গৌতম ঘোষের সিনেমাটি বাংলাদেশে খুব একটা ভালো করেনি, পাশাপাশি সমালোচিত হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তির আগেই জিতে নেয় ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সিনেমাটির বাংলাদেশি প্রযোজক ছিল ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও আশীর্বাদ চলচ্চিত্র।
এছাড়া আমদানি করা ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ হিটের তকমা পেয়েছে। যদিও বাংলাদেশে ভালো করেনি। অন্যদিকে ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে জিতের ‘অভিমান’। এ সিনেমাটিও কলকাতায় ফ্লপ করেছে।
সব মিলিয়ে চলতি বছরে টলিউড লোকসান দিয়েছে ১০০ কোটি রুপি।
তবুও লাভ তো কলকাতার প্রযোজকদেরই হচ্ছে…