Select Page

‘চাঁদনী’তে নাঈমের চেয়ে পাঁচগুণ পারিশ্রমিক পান শাবনাজ

‘চাঁদনী’তে নাঈমের চেয়ে পাঁচগুণ পারিশ্রমিক পান শাবনাজ


এহতেশাম পরিচালিত শাবনাজ ও নাঈম অভিনীত ‘চাঁদনী’ মুক্তি পায় ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর। ঝড় তোলা এ ছবিতে অভিনয় করেন আনকোরা দুই মুখ শাবনাজ ও নাঈম। আর নায়কের চেয়ে দপাঁচগুণ বেশি পারিশ্রমিক পান। এমন তথ্য দিয়েছে প্রথম আলো।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০ লাখ টাকা বাজেটের ‘চাঁদনী’র আয় ছিল কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা।

চাঁদনী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নাঈম সম্মানী হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার টাকা এবং সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার একটি বিমান টিকিট। এই সিনেমার জন্য যত কস্টিউম—সবকিছু নাঈম নিজের টাকায় কিনেছেন। এহতেশাম পরিচালিত এই সিনেমার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে শুটিং ও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পর্যন্ত দেড় বছরের বেশি সময় লেগে যায় বলে জানান নাঈম।


নাঈম বলেন, সবাই মিলেমিশে অনেক কষ্ট ও ভালোবাসা দিয়েই চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করেন তাঁরা। শুধু কী তাই, সিনেমা মুক্তির আগে নাঈম নিজে ঢাকার রাস্তায় পোস্টার লাগানোর কাজও করেছেন। কিন্তু সিনেমা মুক্তির সময় ভীষণ হতাশ হন। সে সময় সারা দেশে হাজারখানেক প্রেক্ষাগৃহ থাকলেও সে সময় সিনেমাটি মাত্র ২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।

এ দিকে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই জীবনের প্রথম সিনেমায় কাজ শুরু করেন শাবনাজ। প্রথম ছবি ‘চাঁদনী’ তাঁকে চলচ্চিত্রের ব্যস্ত তারকা বানিয়ে দেয়। প্রথম ছবিতে সম্মানী পেয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। জনপ্রিয়তার কারণে দ্বিতীয় ছবিতেই সম্মানী বাড়িয়ে দেন ছয় গুণ। এদিকে প্রথম ছবির জনপ্রিয়তায় পরের বছরের পুরো সময়টা বুকিং করে নেন প্রযোজক-পরিচালকেরা।


নাঈম বলেন, ‘আমরা দুজনই চলচ্চিত্রে নবাগত ছিলাম বলে “চাঁদনী” তখন কোনো হলমালিক চালাতে চাননি। তবে সাংবাদিকেরা তখন আমাদের নিয়ে এত লেখালেখি করেছিলেন যে সাধারণ মানুষের একটা আগ্রহ তৈরি হয়। ঢাকায় একমাত্র বলাকা ও মধুমিতা হলের মালিক সানন্দে আমাদের ছবিটি মুক্তি দেন। প্রথম দিনের প্রথম শোতে হাউসফুল। পুরো দিনটাই ওভাবেই কেটে যায়। পরদিন তো হলমালিকেরা বেঞ্চ ও আলাদা চেয়ার, এমনকি সিঁড়িতে বসিয়েও লোকজনকে ছবিটি দেখান। পরের সপ্তাহে সারা দেশে ছবিটি চালাতে বাধ্য হন সে সময়ের হলমালিকেরা। টানা পাঁচ মাস ছবিটি চলেছে, এমন কথাও শুনেছি।’

‘চাঁদনী’ বাম্পার হিট হলেও ব্যবসায়িকভাবে কত টাকা আয় করেছিল, তা জানতে পারেননি নাঈম ও শাবনাজ। পাঁচ বছর আগে ঢাকার গুলশানে ‘চাঁদনী’ সিনেমার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান করা হয়। সেদিন সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় অজন্তা কথাচিত্রের তৎকালীন ম্যানেজার ইসলামকেও। সেদিন চুপিচুপি নাঈম তাঁর কাছে জানতে চান, কত টাকা আয় করেছিল ‘চাঁদনী’। উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘১৫ কোটি টাকার হিসাব আমরা জানতে পেরেছি। এরপর আরও ব্যবসা করেছিল, যা আমার জানা ছিল না।



মন্তব্য করুন