![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
চার হল থেকে ৭০ লাখ টাকা
# ঢাকার প্রধান চার হল থেকে আসবে ৭০ লাখ টাকা
# সরকারি অনুদানের কোনো ছবি এত ব্যবসা করেনি
# পরিবেশক বলছেন, সিনেমাটি সুপারহিট ব্যবসা করেছে
# সিনেমাটি বাজেট প্রকাশ করেনি জয়া আহসান
# কিছুদিনের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব জানাবেন
সরকারি অনুদানের প্রথম ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে ‘দেবী’কে। পাশাপাশি পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে শুধু ঢাকার প্রধান চার হল থেকেই সিনেমাটি আয় করে নেবে।
প্রতিবছর সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মিত হলেও ব্যবসাসফল তকমা জোটে না। তবে ‘দেবী’র ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো। ১৮ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ছবিটি এর মধ্যেই ব্যবসাসফল বলে দাবি করেছেন প্রযোজক ও অভিনেত্রী জয়া আহসান।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি জয়ার কাছে ছবির বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইনি কখনো। তবে একটি ছবি দেখে মোটামুটি আঁচ করতে পারি কত টাকা ব্যয় হয়েছে। ‘দেবী’র ব্যয় সম্পর্কে যা ধারণা করেছি সে অনুযায়ী ছবিটি সুপারহিট ব্যবসা করছে। সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার, মধুমিতা, বলাকা আর শ্যামলী হল থেকেই অন্তত ৭০ লাখ টাকা আয় হবে ছবিটির। আর সারা দেশে তো চলছেই। আমার জানা মতে, আগের সরকারি অনুদানের কোনো ছবি এত ব্যবসা করেনি।’
জয়া বলেন, “এর আগে ‘গেরিলা’ অনেক মানুষ দেখেছিল। কিন্তু সেটা ব্যবসাসফল কি না বলতে পারবেন পরিচালক। ‘দেবী’ মুক্তির পর থেকে দর্শক সমাদৃত হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে হল বাড়ছে। সরকার আমার ওপর যে বিশ্বাস রেখে অনুদান দিয়েছিল সে বিশ্বাসের মর্যাদা আমি রাখতে পেরেছি। সময়মতো ছবিটি মুক্তি দিতে পেরেছি। দর্শককে হলমুখী করতে পেরেছি। এটাই তো অনেক পাওয়া। এর মধ্যে বাড়তি যোগ হলো ব্যবসা। ছবির বাজেটটা এখনো ঠিক করে বলা মুশকিল। কারণ প্রতি সপ্তাহে পাবলিসিটি করছি, হলে পোস্টার ব্যানার যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে। ছবিতে কত লাভ করলাম বা সঠিক হিসাব জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রযোজক হিসেবে আমি খুশি।’
‘দেবী’ ছবিটি যখন অনুদান পায় সেই অনুদান কমিটির বাছাই পর্ব ও মূল কমিটিতে ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন, “দেবীর এমন সাফল্যের কথা শুনে খুব ভালো লাগছে। সরকার ভালো গল্পের ছবিকেই অনুদান দেয়। চেষ্টা করে ছবিটি যেন সাধারণ দর্শকের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু সব সময় সেটা হয়ে ওঠে না। এর আগে ‘গেরিলা’ ও ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবি দুটি দর্শকরা গ্রহণ করেছিল। প্রযোজক লাভবান হয়েছিলেন কি না জানি না। তবে এবার ‘দেবী’র প্রযোজক নিজেই ছবিকে ব্যবসাসফল বলে দাবি করেছেন। এমন সত্য তুলে ধরার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
সরকারি অনুদানের ছবি ব্যবসাসফল হলে সরকার কোনো অর্থ পাবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘সরকার কোনো টাকাই পাবে না। কারণ অনুদানটা এককালীন দেওয়া হয়। তবে সরকারের কোনো প্রয়োজনে হয়তো ছবিটি প্রদর্শনের জন্য প্রযোজকের কাছে চাইতে পারে। অবশ্য পরে প্রযোজক ফেরত পাবেন।’
সূত্র : কালের কণ্ঠ