Select Page

ডলি জহুরের আজীবন সম্মাননাকে ‘হাস্যকর’ বলছেন অঞ্জনা

ডলি জহুরের আজীবন সম্মাননাকে ‘হাস্যকর’ বলছেন অঞ্জনা

সুনির্দিষ্ট কোনো সূত্র উল্লেখ না করেই একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’ এর তালিকা। সে অনুসারে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন ডলি জহুর। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জুরি বোর্ডের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অঞ্জনা সুলতানা

ফেসবুকে এ অভিনেত্রী অঞ্জনা, ‘এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০২১) কয়েকটা ক্যাটাগরিতে সত্যিকার অর্থে হাস্যকর লেগেছে, কিছুই বলার নেই।’

আশি ও নব্বইয়ের দশকের এই হিট নায়িকা বলেন, ‘ডলি জহুর আপাকে কেন আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে, এটা আমার বোধগম্য হয় না। নিঃসন্দেহে তিনি ভালো অভিনেত্রী, কিন্তু ওনার চেয়ে স্বনামধন্য দাপুটে অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা নূতন, সুচরিতা, চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদ ভাই, যারা স্বাধীনতার আগে থেকে এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রশিল্পে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের না দিয়ে কেন ডলি আপাকে দিল—এটা আসলেই হাস্যকর।’

প্রায় ৩০টির মতো যৌথ ও বিদেশী প্রযোজনায় নির্মিত ছবির নায়িকা অঞ্জনা বলেন, ‘ডলি আপা মূলত টেলিভিশন নাট্যশিল্পী। চলচ্চিত্রে তিনি এসেছেন আশির দশকের মাঝামাঝি সময়। কিন্তু এর অনেক আগেই জাভেদ ভাই, সুচরিতা ও নূতন চলচ্চিত্রশিল্পে সুপ্রতিষ্ঠিত। জুরিবোর্ডে এবার যারা ছিলেন, তারা বাংলা চলচ্চিত্রের সঠিক ইতিহাস ভুলে গেছেন কি না, আমি জানি না।’

পরে ওই পোস্ট প্রসঙ্গে অঞ্জনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে বয়স ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন দেখি তা মানা হয় না; যা সত্যিই একজন শিল্পী হিসেবে আমাকে কষ্ট দেয়। দেখুন, ডলি জহুর একজন অসম্ভব গুণী অভিনেত্রী। আমি নিজেও তার অভিনয়ের ভক্ত। ব্যক্তিগতভাবে তার পুরস্কারে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমার ক্ষোভ এই সিস্টেমের প্রতি।’

প্রতিবছর ২৮টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। ফাঁস হওয়া তালিকা অনুসারে, এ বছর ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেওয়া হবে। কারণ, ‘শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক’ ক্যাটাগরিতে কোনো প্রার্থী যোগ্য বিবেচিত হয়নি।


মন্তব্য করুন