Select Page

তিন অভিনেত্রীর নামে সিনেমা, যার একটি অসমাপ্ত

তিন অভিনেত্রীর নামে সিনেমা, যার একটি অসমাপ্ত

যদি অসম্পূর্ণ না হয়ে পূর্ণতা পেতো তাহলে হয়তো আমাদের অভিনেত্রীদের নামে এটিই হতে পারতো প্রথম কোন চলচ্চিত্র। বলছি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ হতে যাওয়া অনন্যা সুন্দরী ববিতাকে নিয়ে ‘ববিতা’ নামের চলচ্চিত্রটির কথা। অনুরাগ কথাচিত্রের ব্যানারে পরিচালক ও সংগীতকার নিজাম-উল হক কাজ শুরু করেছিলেন। নায়ক ছিলেন জাফর ইকবাল।

তবে কোন এক কারণে ‘ববিতা’ আর সম্পূর্ণ হয়নি। অবশ্য পরিচালক নিজাম-উল হক আরেকটি চলচ্চিত্র ‘যৌতুক’ নিয়ে ব্যস্ত হওয়া এটি অসম্পূর্ণ থাকার কারণ হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে, ‘ববিতা’ ছবিটিই হয়তো তিনি পরে ‘যৌতুক’ নামে করেছিলেন। যেখানে দুটো ছবির পাত্র-পাত্রী একই ছিল!

এর প্রায় এক যুগ পর পরিচালক আখতারুজ্জামান খান ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করেন অভিনেত্রী মরহুমা টিনা খানের নামে ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ চলচ্চিত্রটি। অবশ্য অভিনেত্রী হিসেবে টিনা খান তেমন আলোচিত না থাকলেও একজন নায়িকার নামে নামকরণ হওয়াতে তখনকার সময়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। সঙ্গে ছবির একটি গানও ছিল অল-টাইম হিটের তকমায়, অ্যান্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে ‘আমি চিরকাল প্রেমরেও কাঙাল’ গানটি তখনকার সময়ে রেডিওতে শোনেনি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু সে সময়েই নয় এখনো গানটি সমানভাবে জনপ্রিয়।

যাই হোক… আরও দশ বছর পর ১৯৯৩ সালে আরেক অভিনেত্রী মৌসুমীর নামে ‘মৌসুমী’ নির্মাণ করেন নাজমূল হুদা মিন্টু। মৌসুমী তখন সদ্য মুক্তি পাওয়া বাম্পার হিট ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এর সুবাদে দারুণ জনপ্রিয়, সঙ্গে তার মনকাড়া স্নিগ্ধ রূপের মাধুর্যে সে সময়ের দর্শকেরা একেবারে মাতোয়ারা। আর মৌসুমীর এই জনপ্রিয়তাকে সঠিক সময়ে কাজে লাগিয়েছিলেন গুণী পরিচালক নাজমুল হুদা মিন্টু এবং বেশ সফলও হয়েছিলেন। শুধু যে ছবিটি অভিনেত্রী নামে ছিল তা নয়, ছবির একটি গান ছিল খালিদ হাসান মিলুর দরাজ কণ্ঠে ‘সেই মেয়েটি, আমাকে ভালোবাসে কিনা জানিনা… ও মৌসুমী … মৌসুমী …’। ছবির সঙ্গে গানটিও হয়েছিল দারুণভাবে সফল।

সব মিলিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রে মাত্র তিন অভিনেত্রীর নামে হয়েছিল চলচ্চিত্র, যার একটি ছিল অসমাপ্ত।


মন্তব্য করুন