Select Page

ফেসবুকে চলচ্চিত্র বাঁচাতে আন্দোলন

ফেসবুকে চলচ্চিত্র বাঁচাতে আন্দোলন

দেimageশীয় চলচ্চিত্র বাঁচাতে বদলে গেছে ফেসবুকের চলচ্চিত্র বিষয়ক বেশীরভাগ বাংলাদেশি গ্রুপের ব্যানার। তাদের বক্তব্যও একই। যা সাধারণ জনমত থেকে পরিণত হয়েছে একটি আন্দোলনে। এর শ্লোগান হলো “বাঁচাও বাংলাদেশী চলচ্চিত্র”।

ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি বিষয়ে মোটামুটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই বিপক্ষে রায় দিয়েছে। তা সত্ত্বেও গুটিকয়েক তারকা, প্রদর্শক ও সরকারি মহলে আমদানি নিয়ে এক ধরণের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। এই নিয়ে তারা হঠাৎ হঠাৎ দিয়ে চলেছেন নানান যুক্তি। এরমধ্যে দফায় দফায় ভারতীয় প্রতিনিধি দল এসে গোপন বৈঠক করে গেছে। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে চলচ্চিত্র পরিবার ও দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ করা গেছে। যা ফেসবুক ব্যবহারকারি বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের মন্তব্য ও সর্বশেষ এই প্রতিবাদে স্পষ্ট।

এরমধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের নামে বাংলাদেশি পুরানো কিছু ছবি কলকাতায় পাঠানোও হয়েছে। এটি যে লোক দেখানো উদ্যোগ তা সবার জানা। অন্যদিকে, ঢাকার হযরত শাহজালাল (র:) বিমানবন্দরের ছাড় পাওয়ার অপেক্ষায় আছে কয়েকটি ভারতীয় চলচ্চিত্র। সেগুলো ছাড় পেয়ে মুক্তি পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। সেই সময়েই বাংলা চলচ্চিত্র বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ এই কর্মসূচিতে গেছে চলচ্চিত্র গ্রুপগুলো।

গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে একটি আবেদনপত্রও ফেসবুক আপলোড করা হয়েছে। পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-

“বাঁচাও বাংলাদেশী চলচ্চিত্র”

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশের সিনেমা হলে প্রদর্শন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কারন শত সমালোচনা উপেক্ষা করেও ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির সিদ্ধান্তে অনড় চলচ্চিত্র আমদানিকারক ও প্রদর্শক সমিতি। প্রদর্শনের জন্য নিয়ে আসা ‘ওয়ান্টেড’, ‘তারে জামিন পার’ সহ মোট চারটি ছবি এখন হজরত শাহজালাল রহ: বিমানবন্দরে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে। বিমানবন্দর থেকে ছাড় পেলে সেন্সরে যাবে চলচ্চিত্রগুলো। এরপর দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ছবিগুলো প্রদর্শনের কথা ভাবছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।

আমরা যারা বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, আমরা মনে করি এখন আমাদের দেশের চলচ্চিত্র রুগ্ন দশা থেকে মাত্র উঠছে। তাই এখনই ভারতের হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশে প্রচারে আমাদের বাংলাদেশের চলচ্চিত্র হুমকির মুখে পড়বে। তাছাড়া বর্তমান সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে। আর শিল্প আমদানী-রপ্তানী করার নিয়মানুযায়ী বিদেশ থেকে সিনেমা আমদানি করতে হলে, সম সংখ্যক সিনেমা রপ্তানীও করতে হয়। ভারত থেকে চারটি হিন্দি সিনেমা আমদানি হচ্ছে, আমাদের কয়টা সিনেমা রপ্তানি হয়েছে? একটাও না। তাহলে কিভাবে আমাদের দেশে ভারতের হিন্দি সিনেমা প্রদর্শিত হয়?

ভারতীয় চলচ্চিত্রের আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার উদ্দেশ্যে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হচ্ছে ‘বাঁচাও বাংলাদেশী চলচ্চিত্র’ আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন হিসেবে সকল ধরনের প্রোফাইল ছবি এবং সকল ধরনের কভার ফটো (ব্যক্তি, গ্রুপ, পেইজ) পরিবর্তন করে একই ধরনের ছবি ব্যবহার করা হবে। এই নীরব আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হল –

১. বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানী, অসম আদান-প্রদানের প্রতিবাদে এই আন্দোলন।
২. আগামী ২৩ আগস্ট ২০১৩ তারিখ থেকে ৩১ আগস্ট ২০১৩ পর্যন্ত প্রোফাইল ছবি ও কভার ফটো অপরিবর্তিত থাকবে।
৩. আমাদের এই প্রতিবাদ শুধু বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রক্ষার জন্য, সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন শুধুই অনলাইনে চলবে। বাহিরের আন্দোলনে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি না। বাহিরের আন্দোলনে যোগদান যার যার ইচ্ছা ও আগ্রহের উপর নির্ভর করবে।

আনোদলনে অংশ  নিতে ফেসবুক প্রোফাইল ছবি  ও কভার ছবি পেতে পোস্টটির সঙ্গে নিচের লিংকটি জুড়ে দেয়া হয়।

http://www.mediafire.com/download/6ugt5gqug29sopy/Bachao+BD+Film.zip


মন্তব্য করুন