Select Page

বিশ্বব্যাপী বিক্রয় প্রতিনিধি পেল ‘রেহানা মরিয়ম নূর’

বিশ্বব্যাপী বিক্রয় প্রতিনিধি পেল ‘রেহানা মরিয়ম নূর’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে অফিশিয়াল সিলেকশন পাওয়া আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে নতুন একটি খবর এলো। ছবিটি বিশ্বব্যাপী সেলস এজেন্ট বা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে পেয়েছে বার্লিন ভিত্তিত ফিল্মস বুটিককে।

চলচ্চিত্র বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে এক খবর জানানো হয়। সেখানে ছবির টাইটেল হিসেবে বলা হচ্ছে ‘রেহানা’।

সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন সিঙ্গাপুরের জেরেমি চুয়া। তিনি এর আগে কানে নির্বাচিত ‘আ ইয়োলো বার্ড’ ছবিটি প্রযোজনা করেন। এ ছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে প্রশংসিত কিছু ছবি।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রেহানা মরিয়ম নূরকে ঘিরে এ ছবির গল্প। যেখানে রেহানা একজন মা, মেয়ে, বোন ও শিক্ষক হিসেবে জটিল জীবন যাপন করেন। এর মধ্যে এক সন্ধ্যায় কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় রেহানা একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হন। এরপর থেকে তিনি এক ছাত্রীর পক্ষে সহকর্মী শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

একই সময়ে তার ছয় বছরের মেয়ের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে রূঢ় আচরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় অনড় রেহানা তথাকথিত নিয়মের বাইরে থেকেই সেই ছাত্রী ও নিজ সন্তানের ন্যায়বিচারের জন্য লড়তে থাকেন।

এ বিষয়ে সাদ বলছিলেন, একটি বড় পরিবারে তার বেড়ে উঠা, যেখানে বড় তিন বোন ছিল। যারা তাকে ও তার চিন্তা প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, ‘রেহানা’ তিন বোনের প্রভাবেরই ফল।

আরও বলেন, “রেহানাকে নিয়ে লিখতে শুরু করি সম্ভবত সে রকম একটা জায়গা থেকেই। একটু একটু করে রেহানাকে নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করি। তার ভেতরের ক্ষোভ আর অবিশ্বাস নিয়ে ভাবি। তার ভেতরের জটিলতা এবং স্ববিরোধী আচরণ বোঝার চেষ্টা করি। রেহানা কী চায় এবং কেন চায়, এটা নিয়ে লিখতে লিখতে ক্রমে আরও প্রশ্ন বের হয়ে আসতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ওই প্রশ্নগুলোই আমাকে ছবিটা করতে অনুপ্রাণিত করে।”

এ দিকে সাদ সম্পর্কে ফিল্মস বুটিকের সিওও গাবর গ্রেইনার বলছিলেন, সাদ অডিওভিজুয়াল আউটপুটে দক্ষ খুবই বিরল এক অসাধারণ প্রতিভা। অসামান্য এই ছবিতে বাংলাদেশের আধুনিক সময়ের জীবন ও নারীর প্রতি সহিংসতাকে আকর্ষণীয়, চিন্তাশীল ও হৃদয় বিদারকভাবে তুলে ধরেছেন। চমৎকার চিত্রগ্রহণ, সহজবোধ্যতা বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে। আর আন্তর্জাতিক দর্শকের সঙ্গে সাদের শিল্পকীর্তি তুলে ধরতে পেরে তারা গর্বিত।

বিক্রয় সংস্থা ফিল্মস বুটিক নিজেদের সম্পর্কে বলছে, তারা মূলত বিতরণের জন্য সারা বিশ্বের নতুন চিন্তার সিনেমাগুলো বেছে নেয়। বছরে তাদের লাইন-আপে যুক্ত হয় মাত্র ১০-১৫টির মতো ছবি। চলচ্চিত্রকে শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচনা করে স্বল্পসংখ্যা হাই প্রোফাইল টাইটেল বেছে নেয় তারা। এর জন্য বরাবরই বেছে নেয় নতুন প্রতিভাদের।

 


মন্তব্য করুন