Select Page

‘মাটির প্রজার দেশে’র পর ‌‘প্যারাডাইস’

‘মাটির প্রজার দেশে’র পর ‌‘প্যারাডাইস’

পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বিজন ও প্রযোজক আরিফুর রহমান

# ‘মাটির প্রজার দেশে’র পর নতুন সিনেমা ‘প্যারাডাইস’ নিয়ে এগুচ্ছেন পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বিজন ও প্রযোজক আরিফুর রহমান
#এ সিনেমার গল্পের খোঁজে তারা যান সেন্ট মার্টিন দ্বীপে
# ‘প্যারাডাইস’-এর সঙ্গী হয়েছেন সঙ্গী হয়েছেন প্রখ্যাত জার্মান প্রযোজক রোমান পল ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেজর ফিল্ম প্রডাকশন
# আগামী বছরের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং

‘মাটির প্রজার দেশে’ সফলভাবে নির্মাণের পর নির্মাতা ইমতিয়াজ বিজন  ও প্রযোজক আরিফুর রহমান নেমে পড়েন গল্পের সন্ধানে, ছুটে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যান সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। দেড় বছরের দীর্ঘ যাত্রায় এখানে তারা আবিষ্কার করেন তাদের কাঙ্ক্ষিত চরিত্র, গল্প আর নানা মুহূর্ত, যা দিয়ে সাজিয়ে ফেলেন দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্যারাডাইস’-এর পুরোদস্তুর গল্প।

বিজন-আরিফ জুটির দ্বিতীয় স্বপ্ন পূরণের সঙ্গী হয়েছেন প্রখ্যাত জার্মান প্রযোজক রোমান পল ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেজর ফিল্ম প্রডাকশন। প্রতিষ্ঠানটি আরিফ-বিজনদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুপী বাঘার সহপ্রযোজক হিসেবে ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্যারাডাইস প্রকল্পটির অর্থায়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবেশন-সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্ব পালন করবে।

এ নিয়ে চলতি বছরের আগস্টে দুই প্রতিষ্ঠান নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আগামী বছরের শেষের দিকে চলচ্চিত্রটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

জার্মানভিত্তিক রেজর ফিল্ম সৌদি আরবের প্রথম নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা হাইফা আল মনসুরের বহুল আলোচিত ছবি ‘ওয়াজদা’র (২০১২) প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া অস্কার মনোনীত ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী ছবি ‘ওয়ালটস উইথ বশির, চলতি বছর কানে প্রদর্শিত রফিকি ও ২০১৪ সালে কাপলান নামেও একটি আলোচিত ছবির প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বিষয়টি নিয়ে গুপী বাঘার প্রযোজক আরিফুর রহমান বলেন, “গত বছর আমরা সাদের ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ নিয়ে গোয়া ফিল্ম বাজারে গিয়েছিলাম। এ সময় ‘প্যারাডাইস’ প্রকল্পের একটি সিনোপসিস সঙ্গে নিয়ে যাই। মূলত এখানেই রোমান পলের সঙ্গে আমাদের পরিচয় এবং আমরা তার কাছে প্রকল্পটির বিষয়ে জানাই। তিনিও প্রকল্পটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।”

প্রকল্পটি নিয়ে গত বছর লোকার্নোতে গিয়েছিলেন, সেখানে প্রকল্পটির অগ্রগতি কেমন ছিল? “প্রযোজক হিসেবে গত বছর লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ওপেন ডোরস ল্যাব’ বিভাগে নির্বাচিত হয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন এ প্রকল্পও সঙ্গে নিয়ে যাই। এরপর তা প্রকাশ করা হয় লোকার্নোর ক্যাটালগে। ঘটনাক্রমে আমাদের অজ্ঞাতে প্রযোজক রোমান পলই লোকার্নোর ক্যাটালগে প্রকল্পটি নিয়ে খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি লোকার্নোর ডিরেক্টর সোফি বোরডেনকে বিষয়টি জানান। মূলত সোফি বোরডেনই আমাকে তখন জানান, প্রকল্পটি নিয়ে ওপেন ডোরস ল্যাবের কর্মশালার প্রথম দিনেই পল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর যথারীতি আমার আর বিজনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়। পরে জার্মানিতে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর তিনি জানিয়ে দেন, প্যারাডাইসের সহপ্রযোজক হিসেবে তিনি ও তার রেজর ফিল্ম থাকছেন।”

এদিকে রোমান পল বলেন, ‘আমরা খুবই মুগ্ধ হয়েছি এ প্রকল্পের নির্মাতা ও প্রযোজকের সাহস দেখে এবং তাদের শিল্পমান সমৃদ্ধ গল্পের সারাংশ পড়ে। ‘এ প্রকল্প নিয়ে সামনে এগোনো খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। এটি বাংলাদেশ ও পুরো বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা রেজর ফিল্ম থেকে ঐতিহ্যগতভাবে সেসব বিষয়ের সঙ্গেই যুক্ত হই, যেগুলোর বৈশ্বিক একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে।’

সূত্র : বণিক বার্তা


মন্তব্য করুন