মানুষ কেন বিরক্ত ঠিক বুঝতে পারছি না: ‘মুজিব’ ট্রেলারের সমালোচনা প্রসঙ্গে শ্যাম বেনেগাল
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’র ট্রেলার প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। তার-ই জবাব দিয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে এই নির্মাতা বলেন, এখনও কেউ সিনেমাটি দেখেননি। মাত্র তো ৯০ সেকেন্ডের একটি ট্রেলার এসেছে। তা দেখে আপনি পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। এই মুহূর্তে আপনি শুধু ট্রেলার নিয়ে কথা বলতে পারেন।
বায়োপিকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। কিন্তু তার কণ্ঠ ও অভিনয়ে হতাশ হয়েছেন দর্শক। পাশাপাশি এর ভিজ্যুয়াল এফেক্টস (ভিএফএক্স) তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির নির্মাতা বলেন, মানুষ কেন বিরক্ত আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। শুনেছি তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কান চলচ্চিত্র উৎসবে এর উপস্থাপনা বেশ ভালো ছিল।
শ্যাম বেনেগাল আরও বলেন, ‘নানা মন্তব্য এসেছে বলে আমি শুনেছি। তারা কেন বিরক্ত তা অনুমান করা আমার পক্ষে খুব কঠিন। সোমবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি আবার আমি দেখব। কানে ট্রেলারের উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল। সেখানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও তাদের দূত উপস্থিত ছিলেন। কী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে তা আমি জানতে চাই।’
ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে শ্যাম বেনেগালের কাজের অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও সত্যজিৎ রায়কে নিয়েও তিনি সিনেমা নির্মাণ করেছেন।
‘মুজিব’ সিনেমার সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই বাংলাদেশের জানিয়ে এর নির্মাতা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলার উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে, এটা নিয়ে তারা (বাংলাদেশিরা) গর্ব অনুভব করে। সিনেমাতে এসবই আছে। এ কারণে আমি শুধু বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়েছিলাম; কারণ তারা মুজিবকে অনেক কাছ থেকে অনুভব করবে।’
এর আগে ২০১০ সালে ‘ওয়েল ডান আব্বা’ সিনেমাটি ছিল শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত শেষ ফিচার ফিল্ম। এর আগে বেশ কিছু বিখ্যাত ছবি নির্মাণ করেন তিনি। ৮৭ বছর বয়সী এই নির্মাতা এরই মধ্যে পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার।