Select Page

মাস্টারপিস ফ্যামিলি ড্রামা

মাস্টারপিস ফ্যামিলি ড্রামা

পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি – এই ঘর এই সংসার
পরিচালক – মালেক অাফসারী
অভিনয় – সালমান শাহ, বৃষ্টি, অালীরাজ, তমালিকা, বুলবুল অাহমেদ, রোজী অাফসারী, দিলদার, খলিল, নাসির খান প্রমুখ।
উল্লেখযোগ্য গান – অামাদের ছোট নদী, নারীর কারণে, সুখ সুখ সুখিয়া, তেঁতুলপাতা।
মুক্তি – ৫ এপ্রিল ১৯৯৬

যৌথ পরিবার থেকে একক পরিবারের চিন্তা যেদিন থেকে মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে সেদিন থেকেই পরিবারের ভেতর ভাঙন ধরা শুরু হয়েছে। নিজের একটা অালাদা সংসার কে না চায়? একটা সংসার সেখানে নিজের অালাদা স্বাধীনতা থাকবে, নিজের স্বামী, সন্তান থাকবে, নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখা, ভবিষ্যত ভাবা এসব কে না চায়! এটা চলে অাসে মানুষের ভেতর কারণ প্রকৃতি এই প্রয়োজনটা ঠিক করে দিয়েছে। যৌথ পরিবার থেকে একক পরিবারের ভাঙন ধরতে ধরতে মাঝখান থেকে যা ঘটে যে মানুষগুলোর সাথে শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো পার করা হয় তাদের সাথে কারণে-অকারণে দূরত্ব তৈরি হয়। প্রয়োজন, অভাব, চাহিদা এ শব্দগুলো এক একটা বাস্তব সত্য হয়ে অাসে। তখন মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, বিবেক, নৈতিকতা এ মানবিক শব্দগুলো কাঁদে একা একা। কেউ এগুলো ধরে রাখে কেউ বা হারায়। একটা পরিবারের ভাঙাগড়ার চিরন্তন সত্যতা নিয়ে ছবি ‘এই ঘর এই সংসার।’

পরিচালক মালেক অাফসারী বিভিন্ন ধরনের ছবি নির্মাণ করেছেন। অ্যাকশনের জন্য তাঁর অালাদা গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও ফ্যামিলি ড্রামা, রোমান্টিক, ফোক এ ধরনের সিনেমাও তাঁর অাছে। ‘এই ঘর এই সংসার’ ফ্যামিলি ড্রামা-র দিক থেকে অাদর্শ। একদমই অালাদা ঘরানার মালেক অাফসারী-কে চেনা যায় ছবিটিতে। প্রযোজক ছিলেন অভিনেতা খলিল। তিনি এক প্রকার চ্যালেন্জ নিয়েই ছবিটি নির্মাণের তাগিদ দেন পরিচালককে। এক সিনেমায় রোমাঞ্চ, স্যাডনেস, ফ্যামিলি সেন্টিমেন্ট, কমেডি, সিরিয়াসনেস সব অাছে পরিমিতভাবে।

যৌথ পরিবারটি হাসিখুশিতে ভরা ছিল। মা-বাবা ছোটবেলায় চলে যাওয়াতে সালমান শাহ ও অালীরাজ দুই ভাইকে সন্তানের মতো লালন পালন করে বোন-দুলাভাই রোজী অাফসারী ও বুলবুল অাহমেদ। তাদের সংসারটি সুখী ছিল তাই তারা গাইতে পেরেছিল-‘অামাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’ গান। গানের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সুখী জীবনটি দেখা যায়। অালীরাজের বিয়ে দেয়া হয় তমালিকার সাথে। তমালিকা সংসারে অাসার পরেই অাস্তে অাস্তে ঘুনের অাভাস মেলে। এর মধ্যে সালমান কলেজে বৃষ্টিকে অনেক লোকের সামনে চুমু খায়। সেটাকে পুঁজি করে বৃষ্টির বাবা খলিল সালমান ও বৃষ্টির বিয়ের জন্য তাদের বাড়ি চলে অাসে। বিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়েই যায় যদিও সালমান প্রথমে রাজি ছিল না। বোনের সম্মান রাখতে রাজি হয়। খলিলের এ বিয়ে দেবার পেছনে সৎ উদ্দেশ্য ছিল সেটা পরে বোঝা যায়। দুই ভাইয়ের বিয়ের পরেই সাংসারিক চাহিদাগুলো সামনে চলে অাসে। চাহিদার কারণে অফিসিয়াল বিষয় বাসা পর্যন্ত গড়ায়। এভাবে তমালিকার মাধ্যমে একটা সুখী পরিবারে প্রথম পেরেক ঠোকা হয়। অালীরাজ প্রভাবিত হতে থাকে তমালিকা ও তার শ্বাশুড়ির মাধ্যমে যদিও শ্বাশুড়ি তমালিকাকে মাঝে মাঝে শাসন করত। সালমানের পরিবর্তন অাসে বৃষ্টির জন্যই। তার বেকারত্ব থেকে কর্মঠ হবার সময় অাসে। স্বপ্ন একসময় পূরণ হলেও মানুষের জীবনের সব স্বপ্ন যেমন মানুষের পূরণ হয় না সালমানেরও হয়নি। ভাঙনের চূড়ান্ত রূপ থেকেই পারিবারিক জীবনের একটা বাস্তব অাখ্যান হয়ে ওঠে সিনেমাটি।

এক ছবিতে অনেক জরুরি বিষয় পরিচালক তুলে ধরেছেন। সেগুলো অালাদা অালাদা ব্যাখ্যার দাবিদার..

* পারিবারিক বন্ধন – পরিবার মানুষের সর্বশেষ অাশ্রয়। যতকিছুই ঘটুক পরিবারের কাছেই ফিরে অাসতে হয়। ‘অামাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুপরিচিত কবিতার এ লাইনটি গানে ব্যবহৃত হয়েছে পারিকারিক বন্ধন তুলে ধরতে। বুলবুল অাহমেদ, রোজী অাফসারী, সালমান শাহ, অালীরাজ চারজন একসাথে গানটা যখন গায় সবার পারিবারিক সেন্টিমেন্ট একসাথে উঠে অাসে। সবাই সবাইকে ভালোবাসে। সালমান, অালীরাজের মুখে -‘তোমাদের মায়াভরা স্নেহের স্বভাব/ বুঝতে দেয় নি মা বাবার অভাব’ এ লাইন দুটি বোন-দুলাভাইয়ের অবদান তুলে ধরে। অন্যদিকে বুলবুল ও রোজী তাদের স্বপ্নের কথা জানায়।

* স্বার্থপরতা – নিজের সংসারকে যৌথ থেকে অালাদা করতে যখন প্রয়োজন বোধ করে তমালিকা তখনই ভাঙনটা শুরু হয়। টাকার সিন্দুকের চাবিটা ব্যবহার করে নিজের অংশটুকু অাদায় করার পরামর্শ দেয় অালীরাজকে। অালীরাজ মাথা নিচু করে বোনের সামনে যায় চাবি হাতে। পরিস্থিতির শিকার অালীরাজ কিন্তু সূক্ষ্মভাবে সেখানে অাছে স্বার্থপরতা।

* অাত্মসম্মানবোধ – অাত্মসম্মানবোধের একটা দারুণ উদাহরণ তুলে ধরে খলিল ও বুলবুল অাহমেদ। খলিল চায় সালমান ও বৃষ্টির বিয়ে দিয়ে তাদের সংসারী করতে। পাশাপাশি সালমানকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতেও অাড়াল থেকে চেষ্টা করে। সালমানের বিয়ের অাগে খলিল তাকে চ্যালেন্জ করে বলেছিল-‘তোমাকে যদি ছাড়ি তাহলে অামি একটা বেকুব।’ সেই জিদটা পূরণ করতে এত অায়োজন কিন্তু সেটা ছিল পজেটিভ। অন্যদিকে বুলবুল অাহমেদ যখন অালীরাজের সাথে তর্ক করছিল দুই ভাইয়ের সম্পত্তির টাকা বণ্টনে তখন তমালিকা নাক গলায়। বুলবুল কথা বললে জানায় সেটা তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার। তখন অালীরাজকে বুঝিয়ে দিতে বুলবুল রোজীকে বলে সেখান থেকে চলে যেতে। রোজী প্রশ্ন করলে চড় মারে বুলবুল। অালীরাজ কথা বললে বুলবুল জানায়-‘এটা অামাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার।’ দারুণ ছিল।

* শ্রদ্ধা ও বিবেক – মৌলিক যে গুণগুলো পারিবারিক সেন্টিমেন্টকে তুলে ধরে তার মধ্যে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ইত্যাদির পাশাপাশি নিজের বিবেককে কাজে লাগানোর প্রয়োজন থাকে। টাকা বণ্টনের জন্য সিন্দুকের কাছে চাবি রাখা থাকবে জানায় বুলবুল ও রোজী। সালমান বিষয়টা মানতে পারে না। তার সহজ অনুভূতি এতদিন সব বোন-দুলাভাই দেখে অাসছে অাজকে কেন এসব দেখতে হবে। তারপর তাদের সামনে বসে বলে-‘ভাড়া যদি দিতেই হয় তবে অামাদের ছোট থেকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছ তার ভাড়া দিতে হবে। কি দিয়ে দেব রে অাপা, বুক চিরে কলিজাটা বের করে দেই!’ এ মর্মস্পর্শী সংলাপেই পরিবারের সেন্টিমেন্ট উঠে অাসে। বুক চিরে কলিজা বের করে সবাই যদি দেখতে পারত কলিজাতেও জং ধরে গেছে তবে কেউ পরিবারে ভাঙন ধরানোর বিন্দুমাত্র সাহসও পেত না।

* প্রশাসন ও অসৎ লোক – প্রশাসনের দুর্নীতির চিত্র ফ্যামিলি ড্রামার মধ্যে দেখানো হয়। নাসির খান ঘুষখোর তার সহযোগী দিলদার। তাদের প্ররোচনায় অালীরাজ প্রভাবিত হয়। প্রথমে অালীরাজ রাজি ছিল না। পরে নাসির খান হাত করে তমালিকাকে। দামি শাড়ি উপহার দেয়। তমালিকা নাসির খানের সংলাপ নিজে শিখে ফেলে-‘মুরুব্বিরা যা বলে বুদ্ধিমানরা সে মতোই চলে’। বুদ্ধিমানের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তমালিকা প্রভাবিত হবার পর অালীরাজ বাধ্য হয় ঘুষের টাকা নিতে কারণ ঘরে তখন অশান্তি। তমালিকার টাকা চাই-ই চাই। অতঃপর নৈতিকতা বিসর্জন।

* নারী দর্শন – একই সংসারে তিনজর তিনরকম নারী। রোজী অাফসারী, বৃষ্টি তমালিকা। রোজী সংসারের বন্ধন টিকিয়ে রাখতে সাধনা করে, নিজে মরে যাবার অাগে সালমানকে জানিয়ে যায় বুলবুলকে দেখার জন্য কারণ সে নিজের জন্য সারাজীবন কিছুই ভাবেনি। বৃষ্টি সালমানকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে প্রথমে কঠোর ব্যবহার করে। বিয়ের পর নিজের স্বামীর উপার্জন ছাড়া খাবে না জানায়। কথার চোটে সালমান যায় কাজ করতে। সাধারণ শ্রমিকের মতো পিচ ঢালাই, কামারের কাজ করে বাড়ির সবার জন্য একটা করে জিনিস কিনে অানে। বৃষ্টির জন্য খাবার অানে। বোন, দুলাভাই, ভাই, ভাবী সবাইকে উপহার দিয়ে দোয়া নেবার পর বৃষ্টির খাবারটা রেখে বলে-‘এ বাড়িতে কুকুর বেড়ালকেও কেউ না খাইয়ে রাখে না। এখানে রইল ইচ্ছে হলে যেন খেয়ে নেয়।’ সালমান চলে যাবার পর বৃষ্টি তৃপ্তি নিয়ে খায় ঐ খাবার অার সুখের অানন্দে তখন গান হয় ‘সুখ সুখ সুখিয়া।’

রোজীর মৃত্যুর পর তাকে বাড়ি অানা হলে পুলিশের গুলিতে অাহত অালীরাজ বাড়িতে ঢুকে বোনের লাশ দেখে কাঁদে। সালমান যে শাড়ি কিনেছিল বোনের জন্য সেটা দিয়ে জড়িয়ে অাছে বোন। তমালিকাকে দেখিয়ে মৃত বোনকে বলে-‘তুই তো একটা নারী অথচ নারীতে নারীতে কত তফাত।’ শাড়িটি হাতে নিয়ে তমালিকাকে বলে-‘নেবে না? কী সুন্দর শাড়ি!’ নারীতে নারীতে এ তফাতগুলো সংসারে ভাঙনের নেপথ্যের কারণ যেমন তুলে ধরে তেমনি স্যাক্রিফাইসিং সাবজেক্টও তুলে ধরে। সালমানের কাজের সন্ধানে বের হবার সময় রাস্তার কলে পানি খাওয়া, শক্ত কাজ করার মুহূর্তে সুবীর নন্দীর কণ্ঠের গানটিতে নারীর দর্শন উঠে অাসে-‘নারীর কারণে সবই হয় নারীর কারণে/পুরুষ বড় হয় জগতে নারীর কারণে/ধ্বংস অাবার হয় দেখো ঐ নারীর কারণে/নারীর কারণে হয়রে নারীর কারণে।’ গানের দর্শন সিনেমায় পরিষ্কার। যে পুরুষ বড় হয়েছে সে সালমান তাকে বড় করেছে যে নারী সে বৃষ্টি। বুলবুল অাহমেদকে বড় করে তুলে ধরেছে রোজী অাফসারী তার মৃত্যুর সময়। যে পুরুষ ধ্বংস হয়েছে সে অালীরাজ অার যে নারী ধ্বংস করেছে সে তমালিকা। অসাধারণ গান ও তার উপস্থাপন।

* একটা গাড়ি ও পরিবার – ‘এক গাড়িতে পরিবারের সবাই রবে’ সালমান এ স্বপ্ন যখন সত্যি করার অায়োজন করছিল তখনই সব পাল্টে যায়। গাড়ি কেনার পর কে কোথায় বসবে সে স্বপ্ন দেখেছিল সালমান। কিন্তু পথের মধ্যেই হিশাবটা পাল্টে যায়। বোনের মৃত্যু অার দুলাভাইয়ের রাজপথে স্ত্রীকে বাঁচানোর অার্তনাদ তার জন্য যে অপেক্ষা করছে তা কে জানত! গাড়িতে মৃত বোনকে ওঠারো হলো, দুলাভাইও উঠল। তার অাগে পুলিশের গুলিতে অাহত অালীরাজ নিজেকে বাঁচাতে ঐ গাড়িতেই পেছনে লকারে উঠেছে। যে গাড়ি সুখী পরিবারকে নিয়ে চলতে চেয়েছিল সেখানে বেদনাই হলো শেষ বাস্তবতা।

এ অায়োজনগুলো স্তরে স্তরে অসাধারণ অাবেগ, যুক্তি, ভালোবাসা, হাসি, কান্নাতে পরিচালক উপস্থাপন করেছেন। সাথে অাছে সালমান শাহ, বৃষ্টি, অালীরাজ, তমালিকা, বুলবুল অাহমেদ, রোজী অাফসারী, খলিল, নাসির খান সবগুলো চরিত্রের অসাধারণ বাস্তবসম্মত অভিনয়। পরিচালক অাদায় করে নিয়েছেন। সালমানের অভিনয় তাঁর নিজের সহজাত গুণে হাসায়, কাঁদায়। ‘বুক চিরে কলিজাটা বের করে দেই’ এ সংলাপের ডেলিভারি সালমান যেভাবে দেয় ওটা কেবল সালমানের জন্যই সৃষ্টি করা সংলাপ হয়ে যায়। চরিত্রকে শাসন করে দাপুটে পারফরম্যান্স করে গেছে পুরো সিনেমায়। ডানপিটে, বেকার, স্বামী, অাত্মনির্ভরশীল, বিবেকবান ভাই এরকম অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে সালমানের চরিত্রটির বৈচিত্র্য ছিল। বুলবুল অাহমেদ, রোজী তাদের সেরা অভিনয় করেছে নিজেদের মতো। অালীরাজের চরিত্রটি কঠিন ছিল। রোজীর সামনে চাবি হাতে অালীরাজের দাঁড়ানোর মুহূর্তটি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমার অন্যতম সেরা দৃশ্য। খলিল ছিল কমেডি চরিত্র। বৃষ্টির সাথে সালমানের বিয়ে দেবার জন্য অাসে সালমানের বাড়িতে। এসে চারদিক দেখে ঘুর ঘুর করে। সবাই তাকে দেখে অবাক হয়। বুলবুুল অাহমেদ জানতে চাইলেও কিছু বলে না তখন অালীরাজ বলে ‘উনি সম্ভবত বাংলা জানেন না, হিন্দিতে বলো।’ বুলবুল তখন বলে-‘অাপ কন হ্যায়?’ খলিল বাড়িতে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাঁধায় তার পিএস জলহস্তিনীকে দিয়ে। সালমান-বৃষ্টির সাফল্য দেখে দূরবীন থেকে দেখে অার মজা করে। নাসির খান অসৎ দুর্নীতিগ্রস্ত চরিত্রে দুর্দান্ত। দিলদার ছিল অবাক করা চরিত্র। অন্য সিনেমাগুলোর অ্যাজ ইউজুয়্যাল কমেডিয়ানের বাইরে দিলদার এ সিনেমাতে ছিল নাসির খানের সহযোগী নেগেটিভ রোলে। পরিচালক মালেক অাফসারী দিলদারকে দিয়ে অালাদা চমক দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে মাল্টিস্টারার সিনেমা করেছেন।

পরিবার ও এর বাস্তবতা তার সাথে বাইরের নানা প্রভাব, স্বপ্ন, স্বপ্নভঙ্গ ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো শিক্ষণীয়ভাবে ‘এই ঘর এই সংসার’ ছবিতে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। নির্মাতার সিরিয়াসনেস অার শিল্পীদের অভিনয়সমৃদ্ধ কাজে সিনেমাটি কমার্শিয়ালি মাস্টারপিস হয়েছে। অমর নায়ক সালমান শাহ-র ছবি বাছাই করতে গেলে দর্শকভক্তরা অনায়াসে এ ছবিকে বাছাই করে অন্যতম সেরার তালিকায়।


মন্তব্য করুন