Select Page

যখন ‘আন্তঃনগর’-এর দৃশ্যের ভেতর দিয়ে যাই

যখন ‘আন্তঃনগর’-এর দৃশ্যের ভেতর দিয়ে যাই

গৌতম কৈরি সিনেমার নাম দিয়েছেন ‘আন্তঃনগর’। বুড়িগঙ্গার আশপাশ ঘিরে তৈরি হওয়া গল্প আর তার রেখা বিভাজন আমাদের অন্তঃনগরের হাওয়া দিলেও গৌতম কৈরি ‘আন্তঃনগর’ নামেই গল্প বললেন চরকিতে৷

‘আন্তঃনগর’ তার গল্প শুরু করে ময়মনসিংহের এক ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতার মেয়ের সাথে মধ্যবিত্ত ঘরের এক ছেলের প্রেম শুরুর মধ্য দিয়ে। বড় তাড়াহুড়ো করে প্রেম হয়ে যায়, বোধহয় ঢাকা শহরের প্রেম না বলেই এইভাবে গল্পে ছাড় দেওয়া যায়। সেই দু’টো ভিন্ন ধর্মের ছেলেমেয়ে ময়মনসিংহে তাদের টিকে থাকা অসম্ভব চিন্তায় বাড়ি থেকে পালিয়ে পাড়ি জমায় ঢাকায়।

পরিচালক তারপর মনোযোগী হন ঢাকার দু’টো পরিবারের পাঁচজন মানুষের একটা আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করতে। যেখানে প্যারালালি নিঃসন্তান দম্পতির গল্প, সন্তান-সমেত দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মধ্য দিয়ে যাওয়া আরেকটা দম্পতির গল্প আর তার সাথে সেই পালিয়ে আসা ময়মনসিংহের প্রেমিকযুগলের গল্প। সেই সাথে আসে এক সিএনজিচালকের ছোট্টজীবনের আহ্লাদের চাওয়া-পাওয়ার গল্প। এসবকিছুকে টেনশন তৈরি করতে করতে একটা সময়ে এক সুতোয় বেঁধে ফেলা হয়, তাতে মনে হয় এই ঘটনার পরিণতিতে ওই ঘটনা; সে ঘটনারই রুপান্তর অন্য এক ঘটনা। গল্প ও চিত্রনাট্য গৌতমের তৈরি, পরিচালনাও করেছেন নিজে। গৌতম সচরাচর কম ভায়োলেন্ট গল্প বলেন, আশপাশের মানুষের জীবনধারার যে ফাংশন সেটাকে গুরুত্ব দিয়েই গল্প বলতে চান, আন্তঃনগরের শুরুর দিকটায় অন্তত সেটুকু বজায় রেখেছেন। শেষের দিকটায় বজায় রাখতে পেরেছেন কিনা সেটা বলার আগে ‘আন্তঃনগর’ এর একটা বিশেষ দিকের কথা সামনে আনতে হয়। তা হলো লোকেশান।

গৌতম যে গল্পগুলো একত্রে বলতে চেয়েছেন সে গল্পগুলোর জন্য প্রয়োজন একটা স্থিতিশীল লোকেশান। সিনেমায় লোকেশান তো গুরুত্বপূর্ণ বটে, সময়কে স্বাক্ষী রাখতে হলে সে সময়কালের ইট-পাথর-কংক্রিটের ছাপ তো রাখতে হয়; গৌতম সেদিক থেকে সুন্দরভাবেই কাজটা ফুটাতে পেরেছেন। সিনেমার ক্যারেক্টারের ইকোনমিক্যাল ক্লাস ধরতেও লোকেশান আর সেট এর গুরুত্ব কম নয়, আদতে আমাদের চেনামুখগুলো, শোবিজের তারকারা গল্পের নায়জ হয়ে উঠেন ওইসব সেট আর লোকেশানের মধ্যকার সমীকরণেই। ময়মনসিংহের গৌরীপুর জংশন খুব সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ কয়েকটা রেল জংশন, যেখানে উন্নয়নের দানবীয় ছোঁয়ায় এখনো প্রাকৃতিক নির্যাস মিলিয়ে যায়নি। ময়মনসিংহের লোকেশানগুলো গোটা স্ক্রিনটাইমেই প্রাণবন্ত ছিলো। বাকিগল্পগুলো পুরান ঢাকা, বিশেষ করে সদরঘাট কেন্দ্রিক। সেসব গল্পেও পুরনো বাড়ি, কলোনী ধরণের ভাড়াবাসা, লোহার শিকের গেইট আর পলেস্তরা সবকিছুই যেন কথা বলে। কেবল কচুরিপানার পাশে লঞ্চে রেডিও, মদের বোতল আর চেয়ার টেবিলের সেটটুকু ছাড়া। গৌতম আন্তঃনগরে যে মাদক কারবারির গল্প বলছেন, যিনি আইনের বিশেষ ভয়ের মাঝে থেকেই কারবার চালান তার জন্য ওই সেট মানানসই নয়, না লাক্সারির দিক থেকে; না গল্পের যৌক্তিকতা থেকে। আগেই বলেছি সেট দারুণ। রোজিনার ঘরের রঙ, সাথে পুরনো দিনের বাংলা সিনেমার পোস্টার; শুভ ও তার মামার ঘরের সাদামাটা সেট, ঘরের পর্দা, মৌসুমীর ঘরের পুরনো খাট কিংবা ইলিয়াসের ঘরের মশার কয়েল; খুবই ন্যাচারাল উপস্থাপনা।

লোকেশানের সাথে সাথে সিনেমাটোগ্রাফির ব্যালান্সও ভালো। সিনেমাটোগ্রাফার রফিকুল ইসলামের কথা বলতেই হয়। তার ফ্রেমিং সেন্স, পর্দার মাঝখানে রোজিনা ও তার স্বামীকে রেখে এংগেল থেকে শট নেওয়া, পূর্ণিমার বিয়ের নাচের ছোট ছোট শটগুলো (যেন মনে হবে এসব শুভ তার ক্যামেরা দিয়ে ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতেই নিয়েছে), ইলিয়াসের সিএনজি দাঁড় করিয়ে ফুটপাতে বসে সিগারেট খাওয়া আর সেটা রাস্তার অন্য পাশ থেকে দুটো গাছের পাতার মাঝখানে শট নেওয়া এই শটগুলোর কথা বলতেই হয়। খুব বেশি ক্লোজ শট ব্যবহৃত হয়নি, রোজিনার ঘরে টাকা লুকানোর সময়ের হ্যান্ডহেল্ড শটে একটা টেনশন আপ্স এন্ড ডাউন্সের ব্যাপার ছিলো, ওটায় কিছুটা ক্লোজলি শট নেওয়া হয়েছে; আর বেশিরভাগ শটই লং শট। যা কিনা এ ধরণের গল্পের জন্য মানানসই। এর বাইরে সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলো মিডিওক্রিটি। সদরঘাট এবং ময়মনসিংহের গল্প নিয়ে কাজটা হলেও এখানে ড্রোন শটে চট্টগ্রামের দুই নং গেইটের লোকেশান দেখা গেছে৷ সম্ভবত পুরনো আর্কাইভ থেকেই ভিডিও নিয়ে কাজটা করেছেন সিনেমাকে এস্থেটিক করে তুলতে। আরো বেশ কিছু দৃশ্য নিয়েছেন অহেতুক, এটুকু না করেও গল্পটা দিব্যি বলে যাওয়া যেতো অথচ। যেমন ময়মনসিংহের চলন্ত ট্রেনের শট নিতে গিয়ে ফ্রেমে এক মহিলা ঢুকে যাওয়া যিনি আবার তাকিয়ে আছেন তাদের দিকেই। এইগুলো মেকিংয়ের খুবই মৌলিক ভূল।

এই সিনেমার সাউন্ড খুব আহামরি নয়। ফলির কাজে আরেকটু মনোযোগী হতে হতো। সাথে লোকেশানের সাউন্ড, বিশেষ করে নিউ মার্কেটের দোকানের সিন এর সাউন্ড, বিয়ের দৃশ্যের সাউন্ড সহ আরো অনেক জায়গাতেই একটা মিউট ভাইব ছিলো। এর ফলে গল্প যত স্মুথলি আগাচ্ছিলো, দর্শকের গল্পের ভেতর ঢুকে পড়াটা তত সহজ হচ্ছিলো না। তবে হ্যাঁ, মিউজিক সে জায়গায় অনেকখানিই সাহায্য করেছে। আগেই বলেছি, কৈরি এখানটায় একসাথে কয়েকটি গল্প বলেছেন; সে গল্পগুলোর প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা করে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাছাই করেছেন, মিউজিকের টিউনগুলো ভিন্ন, এবং গল্পের সাথে মিলিয়ে একইসাথে মিউজিকগুলো টেনশন তৈরি; ফানি ভাইব কিংবা ইউজুয়াল টিউনিং সবই দারুণ ভাবে হচ্ছিলো। ফলে শুনতে বিশেষ বেগ পোহাতে হচ্ছিলো না। সেই সাথে কোল্ড ডাবিং তো রয়েছেই। সাউন্ড ডিজাইনার ছিলেন শৈব তালুকদার। মিউজিকে জাহিদ নীরব গাটস দেখিয়েছেন গান সিলেকশনে। এই সিনেমার যে কয়টি গান, সবগুলোই সুন্দর। লিরিক্স হোক বা টিউন-কম্পোজিশন সবখানেই কৃতিত্বের সাথে পাশ মার্ক পাবে গানগুলো। ‘কি দেখাইলা বন্ধু তুমি, সুন্দর একখান আয়না’ গানটা দারুণ হয়েছে। ‘কেউ নেই, কেউ নেই’ গানটাও ভালো৷ ‘আন্তঃনগর’ র‍্যাপ মিউজিকটা ভালো হলেও প্রেজেন্টেশনের কারণে বিরক্তিকর ঠেকেছে। বিশেষ করে ইন্ট্রোতে এমন একটা গানের পরপরই প্রথম সিন এ যখন বিয়ের সেট এর সাউন্ড আর সিন আসলো তখন গানের ক্রেডিবিলিটি শূণ্যে মিলিয়ে গেছে।

ওটিটিতে শ্যামল মাওলা খুবই পরিচিত মুখ। বেশিরভাগ সময়েই তাকে এরোগেন্ট চরিত্রে হাজির করা হলেও ‘আন্তঃনগর’ এ ছিলেন একেবারেই ভিন্ন একটা চরিত্রে। ‘ইলিয়াস’ নামের এক সিএনজি ড্রাইভার, যার বাবা-মায়ের কবর নদী ভাঙ্গনে ভেসে যাচ্ছে; যে বিশেষভাবে, যার জীবনের বিশেষ চাওয়া-পাওয়া নেই; এই ধরণের চরিত্রের জন্য শ্যামলা মাওলা নতুন। কিন্তু ভালো অভিনয় তার। বিশেষ করে যখন বারবার তিনি রোজিনার জামাইয়ের কাজের প্রতিবাদ করতে চাইছিলেন কিন্তু বারবার তাকে ফিরে যেতে হচ্ছিলো। সেই সময়কার তার এক্সপ্রেশন দারুণ।

সোহেল মন্ডলের চরিত্রটা ইন্টারেস্টিং। একটা যুবক যার ইরেক্টাইল প্রবলেম, যে তার স্ত্রীকে ভালোবাসে কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারে না; খুব নিম্নবিত্ত যুবকদের মতোই যার ইগোটা সংসারের চেয়ে বড়; সোহেল মন্ডল এই চরিত্রে ভালো করেছেন।

রুনা খানের যে অভিনয় তা ‘গহীন বালুচর’ থেকে ‘আন্তঃনগর’ অবধি, নতুন কিছু পাওয়া যায় নি। পরিচিত অভিব্যক্তি, একই মাপে ডায়ালগ ডেলিভারি, একই চাহনি; রুনা খান যে ‘রোজিনা’ চরিত্রে খারাপ করেছেন তা নয়। কিন্তু নতুনত্ব নেই, এ কথা বলতেই হয়।

‘আন্তঃনগর’ এর বড় প্রাপ্তি ‘মৌসুমী’ চরিত্রে শবনম ফারিয়ার অভিনয়। পার্লারে কাজ করা ‘মৌসুমী’ আদতে প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশি প্রতিটা মধ্যবিত্ত যুবতীর, যাদের কাছে জীবন নিয়ে বিশেষ চাওয়া-পাওয়া নেই, অথবা চাওয়া-পাওয়া থাকলেও একটা সময়ে সংসারের বাইরে তাদের আর পৃথিবী থাকে না। সে সংসারের পূর্ণতা হয়ে উঠে তার সন্তানপ্রাপ্তি। এই সন্তান প্রাপ্তির জন্যই মৌসুমীর সকল লড়াই। এই লড়াই তার হাজব্যান্ড, সোসাইটি; সবার বিপরীতে। শবনম ফারিয়ার মাথায় কাপড় দিয়ে ড্যানির সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময়ের যে লুক, ওটা একটা সিগ্নেচার লুক। বাংলাদেশি মেয়েদের এমনভাবে বেশ অনেকদিন ধরেই পর্দায় দেখা যাচ্ছিলো না। কৈরি বাহবা পেতে পারেন।

‘শুভ’ চরিত্রে নবাগত প্রান্তর দস্তিদার ভালো অভিনয় করেন নি। সাধু এবং চলিত ভাষার একটা দোটানা, এক্সাইটমেন্ট এর নামে ভাঁড়ামো এসবের কারণে তাকে স্ক্রিনে কিছুটা বিরক্তিকর লেগেছে। তবে শেষ দৃশ্য রক্তাক্ত অবস্থায় পূর্ণিমার ছবির দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য তাকে পাশমার্ক দিবে।

‘পূর্ণিমা’ চরিত্রে নিদ্রা দে নেহা বেশ দারুণ। নতুন হিসেবে এক্সপেক্টেশন না থাকলেও, তিনি যে বেশ প্রমিজিং অভিনেত্রী তা বুঝা গেছে তার অভিনয়ে।

ড্যানি চরিত্রে নাফিস আহমেদও ভালো কাজ করেছেন। নাফিস এবার বড়সড় চরিত্র ডিজার্ভ করেন। আশা করি মেকাররা তা নিয়ে ভাববেন।
বাকি জুনিয়র আর্টিস্টদের কাজও খারাপ ছিলো না, কেবল ব্রা কিনতে গিয়ে দোকানে হাসি হাসি মুখে দরদাম করা মেয়েটার অভিনয় বাজে ছিলো।

‘আন্তঃনগর’ সিনেমা হিসেবে আমাদের বর্তমান ওটিটিতে যে কর্পোরেট থ্রিলারের জয়জয়কার চলছে সেখানে গিয়ে দর্শককে কিছুটা স্বস্তির সুবাস দেয়। সিনেমার ডিউরেশন এগুনোর সাথে সাথে দর্শক ভাবতে পারে এ যেন আমাদের সেই পুরনো দিনের ড্রয়িংরুমে বসে টিভিতে দেখা মধ্যবিত্ত গল্পগুলোর রুপান্তর। সে গল্পগুলোয় কোথাও না কোথাও নিজেদেরও রিলেট করা যায়। দর্শক তখন কিছুটা থিতু হয়ে গল্পটাকে উপভোগ করতে চাইবেন, কিন্তু সেখানে দেখা যাবে ভিন্ন ধর্মের দু’টো মানুষের প্রেম এর নামে পরিচালক একটা চর্বিত চর্বনই হাজির করাচ্ছেন। এ ধরণের গল্প বর্তমান সময়ে আর ফাংশন করছে না। হ্যাঁ, কৈরি এখানটায় ‘ক্ষমতার’ একটা বোঝাপড়া দাঁড় করিয়েছেন বৈকি; কিন্তু স্ন্যাপচ্যাট আর ইন্সটাগ্রামের এই সময়ে এ ধরণের প্রেম; পালিয়ে যাওয়া আর ধরা পড়ার যে গল্পটা পোর্ট্রে করেছেন তা রিলেটেবল নয়। এখনকার সময়ের প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রায়োরিটির জায়গায় পরিবর্তন এসেছে সিকিভাগ।

যৌক্তিকতার বিচার না বসালে কেবল দৃশ্য হিসেবে সেসব মনোজ্ঞ, দর্শক যদি সে হিসেবেও এগিয়ে যান গল্পের সাথে তখনো বেশ কয়েকবারই ভ্রূ কুঁচকে যেতে হবে আরবান টোনে ডায়ালগ ডেলিভারি দিতে গিয়ে আমাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের স্ট্রাগল দৃশ্যমান হয়ে উঠবে বলে। ফলে তারা এমন এক ভাষায় কথা বলছেন যেটা না চলিত, না আঞ্চলিক; আমরা যেভাবে কথা বলি না। দেখা যাবে টয়লেটে মৌসুমীর রক্তের জায়গায় খুবই মেকি একটা রঙ, দর্শকের প্রশ্ন জাগবে ইলিয়াসের মতো একটা নিরুপদ্রব চরিত্রের সাথে মাদক কারবারির পুরনো যোগসূত্র আসার যুক্তি কী? খুব সাদামাটা প্রশ্নেই উত্তরেই শুভর মামার ‘ইভেস্টিগেটিভ অফিসারদের মতো কথা বলছিস কেন?’ অথবা মৌসুমীর ঘরে দরজা এবং জানালা থেকে স্পষ্ট বাতির আলো দৃশ্যমান হওয়ার পরেও তার স্বামীকে ‘তুমি অন্ধকারে বসে কী করতেস?’ ধরণের অদ্ভুত প্রশ্ন এসবকিছু থাকার পরেও ‘আন্তঃনগর’ এর চিত্রনাট্যকে বিরক্তিকর বলা যায় না।

বিশেষ করে এই সিনেমায় উত্থান, চরম মুহুর্ত, পতন এসব কিছু নেই৷ এখানে কৈরি সমানভাবেই এবং পরিমাণমতোই একটা দুঃখের বর্ণনা দিয়ে গেছেন। সচরাচর আমরা যে সুন্দর সময় থেকে খারাপ সময়ের দিকে টান নেওয়ার গল্প দেখে অভ্যস্ত ‘আন্তঃনগর’ সেখানে কিছুটা ভিন্নতা আনে। ‘আন্তঃনগর’ দেখায় আমাদের জীবনে দুঃখ নতুন কিছু নয়। এই দুঃখকে সাথে নিয়েই আমরা নতুন ঝামেলায় জড়াই। এই প্রেজেন্টেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই গুরুত্বকে সামনে না এনে কৈরি সিনেমার শেষে যে ভায়োলেন্সের পথ বেছে নিলেন, রক্তারক্তির পরিচিত ওটিটি বাবল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেন না তার জন্য কাকে দায় দেওয়া যায়? দর্শককে নাকি পরিচালকের দর্শকদের চাহিদার বাইরে না যেতে চাওয়াকে?


Leave a reply