‘রিমেক’ বলতে কী বুঝালেন শাকিব খান?

সাধারণত ‘রিমেক’ বলতে বুঝায় মূল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সিনেমা নির্মাণ। যা সারাবিশ্বে অহরহ হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এর চল খুব বেশি নেই। তাই ওইসব ছবিকে ‘নকল’ই বলে থাকেন দর্শক।

ঈদুল আজহায় মুক্তি প্রতিক্ষীত শাকিব খানের ‘ক্যাপ্টেন খান’ নিয়েও এমন আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নায়ক বলেছেন এটি ‘রিমেক’। আর রিমেক বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তাও স্পষ্ট নয়।

সমকাল অনলাইনকে শাকিব বলেন, ‘ক্যাপ্টেন খান কোন নকল ছবি নয়। তবে এটা রিমেক ছবি। একটি তামিল ছবির গল্প বেজ করে ক্যাপ্টেন খান নির্মাণ করা হয়েছে। রিমেক আর নকলের সংজ্ঞা কিন্তু এক নয়। চার পাঁচটা ছবির গল্পকে একসঙ্গে করে ক্যাপ্টেন খান তৈরি হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘রিমেক ছবিও কিন্তু অনেক সময় আসল ছবিকে ছাড়িয়ে যায়। আপনারা সালমান শাহ’র কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির কথাই ধরুন। সে ছবিটিও কিন্তু রিমেক । অথচ আসল ছবির চেয়ে সালমান শাহ’র ছবিই কিন্তু বেশি ভালো হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ক্যাপ্টেন খান রিমেক হলেও ওয়াজেদ আলী সুমন আসল ছবির চেয়ে ভালো বানিয়েছেন। ছবিটির আয়োজনও ভালো ছিল। দর্শকরা হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই বোঝতে পারবেন।’

বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢালিউড পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল তামিল ছবির অনুকরণে তৈরি হচ্ছে ‌‌‘ক্যাপ্টেন খান’। বৃহস্পতিবার  ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ হয়। ট্রেলার প্রকাশের পর গুঞ্জনই সত্য হয়ে ধরা দেয়।

২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ‘আনজান (তেলেগু- সিকান্দার)’ ছবি থেকে নির্মিত হয়েছে ‘ক্যাপ্টেন খান’। তামিল ছবিতে অভিনয় করেছেন সুরিয়া। আর ক্যাপ্টেন খান ছবিতে তার জায়গায় শাকিব খান।

ট্রেলারে দেখা যায়, ভাইকে খুঁজতে শহরে আসেন এক যুবক। তার ভাইয়ের নাম ক্যাপ্টেন। নামটি নিতেই কেউ একজন  প্রতিবাদ করে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নয়, ক্যাপ্টেন খান’ বল।

তামিল ছবি আনজান ছবিতেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য। সে ছবিতেও দেখা যায় ভাইকে খুঁজতে মুম্বাই আসেন এক যুবক। ভাইয়ের নাম ‌‘রাজু’। এ নাম বলতেই একজন বলে উঠেন, ‘রাজু’ নয়, বল ‘রাজু ভাই’।

এ ছবির মাধ্যেমে এ ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর  একসঙ্গে কাজ করেছেন মিশা সওদাগর ও শাকিব খান। ছবিটি প্রযোজনা করেছে শান্ত এন্টারপ্রাইজ। এতে শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে রয়েছেন বুবলি।