![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
শাকিবের ছবি মুক্তি পায় কলকাতায়, ব্যবসার খবর বাংলাদেশে
আড়াই বছর ধরে শাকিব খান অভিনীত যৌথ প্রযোজনা ও ভারতীয় লগ্নির বেশ কিছু সিনেমা পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। সেখানকার স্থানীয় পত্রিকায় বাংলাদেশি নায়কের সিনেমার ব্যবসার খবর পাওয়া যায় না। অন্যদিকে ভারতের ব্যবসা নিয়ে খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। অনেকের ধারণা, এ ধরনের খবর বাংলাদেশের সিনে বাজারে প্রভাব ফেলে।
দুই বছর ধরে দেশি পত্রিকাগুলো প্রচার করে আসছে, ভারতে জমিয়ে ব্যবসা করছে শাকিবের সিনেমা। কিন্তু বছর শেষে প্রযোজকদের সংগঠনের হিসেবে দেখা যায় ফ্লপ। সম্প্রতি ‘চালবাজ’ও চলেনি কলকাতায়। অথচ বাংলাদেশে প্রচার করা হয়েছে সিনেমাটি সেখানে হিট।
ঈদে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ‘ভাইজান এলো রে’। সেই দেশের পত্রিকায় সিনেমাটির ব্যবসায়িক কোনো ফলাফল প্রকাশ না হলেও বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে হিট! জিতকেও নাকি ঠেক্কা দিয়েছে।
তবে ঈদের আগে ভাইজান এলো’রে বাংলাদেশে মুক্তি দেয়ার সবরকম চেষ্টাই চালায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ ছবি নির্মাণে অন্যতম লক্ষ্য ছিল ঈদে বাংলাদেশের বাজার ধরা। আগের দুই বছরও এমনটা দেখা গেছে। তবে সম্প্রতি ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, পূজা ও পয়লা বৈশাখের সময় যৌথ প্রযোজনার ছবি ছাড়া উপমহাদেশের ছবি আমদানি, প্রদর্শন ও বিতরণ না করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ।
ফলে এদেশে থমকে যায় ভাইজান এলো’রের মুক্তি। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮০ টি প্রেক্ষাগৃহে নাকি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে জিৎ ও বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত ‘সুলতান’ ছবিটি দারুণ ব্যবসা করছে বলে জানা যায়। তাছাড়াও ‘জিৎ’ এই নামটির কারণে পাগলের মতো একটা বড় শ্রেণি প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করে বলেও শোনা যায়।
অপরদিকে এসকে মুভিজ ছবিটিকে হিট তকমা দিলেও কলকাতার গণমাধ্যমগুলোতে মুক্তির পর একরত্তিও লেখা হচ্ছে না ‘ভাইজান এলো’রে কিংবা শাকিব খানকে নিয়ে। ফলে শুধু এসকে মুভিজ ও কলকাতার স্থানীয় প্রতিনিধির বক্তব্যের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। এছাড়াও শাকিবকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে কলকাতার স্থানীয় বাংলা গণমাধ্যমগুলোকে।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেন, কলকাতায় ‘ভাইজান এলো রে’র এত এত পোস্টার চোখে পড়েছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ছিলেন।
সম্ভব জিৎ বা সালমান খানের পোস্টারগুলো নজরে আসেনি নায়কের। অথবা বলতে চান, বাংলাদেশে ভারতীয় নায়কদের সিনেমা হরে দরে মুক্তি পাক!
এবার পড়ুন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ভাইজান এলো রে’র রিভিউ-
“জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের চতুর্থ ছবি ‘ভাইজান এল রে’ দেখতে গিয়ে মনে হল, গল্পের প্রথমভাগটা অতটা বড় না হলেও চলত। বরং, পায়েল আর শাকিবের অপ্রয়োজনীয় রোম্যান্সের গান বাদ দিলে চিত্রনাট্যে খানিকটা ভারসাম্য আসত। বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এই ছবি মূলত অ্যাকশন কমেডি, যাকে অঘোষিতভাবে ডেভিড ধাওয়ানের বিখ্যাত ছবি ‘জুড়য়া’র বাংলা রিমেক বলা যেতে পারে। তবে একটু অন্যরকম!
গল্পের মধ্যে সেরকম নতুনত্ব কিছু নেই। জন্মের পর হারিয়ে যাওয়া দুই যমজ ভাই… এক ভাই আজান (শাকিব) গরিবের ঘরে মানুষ এবং ডাকাবুকো। আর এক ভাই উজান (শাকিব) জমিদারের বাড়িতে জামাইবাবুর হাতে অত্যাচারিত হয়ে জুবুথুবু। তারপর সম্পূর্ণ এন্টারটেনমেন্ট প্যাকেজ! পরিচালক স্ক্রিপ্টে বিশেষ টুইস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেননি।
গতে বাঁধা স্ক্রিপ্টের সঙ্গে শাকিব খান, শ্রাবন্তী, পায়েলের গ্ল্যামার কোশেন্ট মিশিয়ে একটা এমন ছবি বানিয়েছেন, যেটা দেখতে গেলে মাথা খাটানোর বিশেষ দরকার নেই। তবে হ্যাঁ, এই ছবিতে অন্তত সমস্ত সুতোকে একটা জায়গায় বাঁধার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। তাতে অন্তত ছবির শেষে ‘ওটা কেন এমন হল’ টাইপের প্রশ্ন মাথায় আসবে না।
কিন্তু ওই… চিত্রনাট্যের দুর্বলতার পাশাপাশি সংলাপের জোরও তেমন নেই। ফলে কোথাও নিজে থেকেই হাসি পায়, কোথাও আবার জোর করে হাসতে হয়! অভিনয়ে শাকিব খান যথাযথ। তবে খুব একটা নতুনত্ব কিছু পাওয়া যায়নি তার অভিনয়ে। হিয়া (শ্রাবন্তী) বা রুনার (পায়েল) বিশেষ কিছু করার ছিল না। শ্রাবন্তী তবুও ভালো। কিন্তু পায়েলের জোর করে ‘স’-এর উচ্চারণটা বরং বেশ বিরক্তিকরই লেগেছে। অভিনয়ের কথা যদি বলতে হয় তবে ভিলেনের চরিত্রে শান্তিলাল বেশ দাপুটে অভিনয় করেছেন। বাকিরা কেউই তেমন উল্লেখযোগ্য নন। আলাদা করে বলতে হয় রজতাভ দত্তর কথা। তিনি ভালো। কিন্তু নায়িকার বাবার চরিত্রে সেই এক কমিক রোলের গণ্ডিটা থেকে তিনি এবার একটু বেরিয়ে আসতেই পারেন!”
কালের কণ্ঠ থেকে অনুপ্রাণিত