Select Page

সত্যি ৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছেন শরিফুল রাজ?

সত্যি ৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছেন শরিফুল রাজ?

 ‘নোলক’ সিনেমায় ৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন শাকিব খান। এমন কথা বলেও পরে প্রযোজক প্রচারণা বলে চালিয়ে দেন। তবে শাকিবের পারিশ্রমিক যা-ই হোক, তা যে আকাশছোঁয়া সন্দেহ নেই। কয়েক দিন আগে তেমন দর হাঁকিয়ে আলোচনায় ছিলেন শরিফুল রাজ। আসলেই কী ৩০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন তিনি?

চলতি বছরে পরপর দুটি তুমুল হিট ও একটা মাঝারি মানের সাফল্য পেয়েছেন বড়পর্দায়। এ ছাড়া ওটিটির জন্য নির্মিত গুণিন ও নেটওয়ার্কের বাইরে প্রশংসা পেয়েছে। প্রশংসা পেয়েছেন রাজও। তবে এই সব সিনেমার কোনোটিই বাজেটের বিচারে এক কোটি নয়। বড়জোর ৩০ লাখের দ্বিগুণ। আবার ১২-১৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রিতে প্রযোজক পান ৩ কোটি টাকার মতো। সে ক্ষেত্রে এই অঙ্কের পারিশ্রমিক যৌক্তিক কিনা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে উচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে রাজের যুক্তিও ভেবে দেখারই মতো!

রাজ প্রতি ছবিতেই ৩০ লাখ টাকা হাঁকছেন; খবরটি গণমাধ্যম থেকে শুরু করে ফেসবুকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপ ছড়িয়ে এফডিসি পাড়ায় আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে। চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই  রাজের এই পরিমাণ পারিশ্রমিক চাওয়াটা বাড়াবাড়ি বলছেন। এরই মধ্যে কাজী হায়াৎ, বদিউল আলম খোকন, সোহানুর রহমান সোহানদের মতো পরিচালকেরা এই পরিমাণ পারিশ্রমিক চাওয়া নিয়ে রাজের সমালোচনা করেছেন।

তবে এ খবর নিজে ছড়িয়েছেন বলতে নারাজ রাজ। উল্টো প্রথম আলোর কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, এসব ঘটনা কারা ছড়াচ্ছেন?

তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো গণমাধ্যমে আমার পারিশ্রমিকের কথা বলিনি। আমার মুখ থেকে কি এই পরিশ্রমিকের কথা কেউ শুনেছেন? পারিশ্রমিকটা আমার কাছে একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি যে প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব, তাদের সঙ্গে আমার পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হবে, কথা হয়। এটি বাইরে কারো সঙ্গে শেয়ার করার বিষয় নয়। তা ছাড়া আমি নিজ থেকে তো এ ধরনের কথা কাউকে বলিনি। অথচ বেশ কয়েক দিন ধরে এটি নিয়ে হইচই হচ্ছে। বড় ইস্যু বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে। এটি নিয়ে ইস্যু বানিয়ে কার এতে লাভ?’

রাজের পারিশ্রমিকের বিষয় নিয়ে এর আগে সংবাদ প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউন ও চ্যানেল আই অনলাইন। দুটো সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্নের জবাবে উচ্চ পারিশ্রমিক চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি। তবে সরাসরি ‘৩০ লাখ টাকা’ বলেননি।

এই অভিনেতা কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন বলা হচ্ছে, সিনেমায় দর্শক ফিরেছেন, ভালো সিনেমা তৈরি হচ্ছে। প্রযোজক লাভের মুখ দেখছেন। তাহলে শিল্পীরও তো পারিশ্রমিক বাড়া উচিত। ঠিক কি না? ২০১৬ সালে আমি সিনেমা শুরু করেছি। ছয় বছর পরে এসে কি সেই আগের পারিশ্রমিকেই কাজ করব?  আগের সেই পরিবেশ পরিস্থিতি তো নেই এখন। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। তাহলে কীভাবে একজন শিল্পী তার নিজের জীবনযাপন ও পরিবারের ব্যয় বহন করবেন।’

৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক ধরে একজন শিল্পী হিসেবে তাকে নানা জায়গায়, নানা মহলে ছোট করা হচ্ছে, হাস্যরসের পাত্র বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন রাজ। বলেন, ‘যদি আজ পারিশ্রমিক বেশি হওয়ার খবরটি বলিউড, টালিউডে ঘটত, তাহলে সেখানকার শিল্পীদের অ্যাপ্রিশিয়েট করা হতো। আর আমাদের এখানে উল্টোটা। শিল্পীদের ছোট করা হয়। দুঃখজনক এটি।’

শরিফুল রাজের ‘কাজল রেখা’ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। ‘দেওয়ালের দেশ’ নামে আরেকটি ছবির শুটিং শেষের পথে। অনেকগুলো চিত্রনাট্য হাতে আছে। চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন ছবির কাজ শুরু হতে পারে।


মন্তব্য করুন