Select Page

সাত মাস প্রতীক্ষা শেষে গ্রিন কার্ড নিয়েই দেশে ফিরছেন শাকিব খান

সাত মাস প্রতীক্ষা শেষে গ্রিন কার্ড নিয়েই দেশে ফিরছেন শাকিব খান

গত বছরের শেষ দিকে গুঞ্জন ওঠে শাকিব খান আমেরিকায় স্থায়ী হচ্ছেন। তখন তিনি বলেন, এটি সত্য নয়। এও জানালেন, এমন ভিত্তিহীন খবরে তার দর্শকরা যেন বিব্রত না হয়

গ্রিন কার্ড পেতে আমেরিকায় টানা সাত মাস কাটিয়ে দিলেন শাকিব খান। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শাকিবের। হাতে পেয়েছেন দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি।

শাকিবের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে খবরটি জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, শাকিব গ্রিন কার্ড আরও আগেই পেয়েছেন। তবে প্রিন্ট আকারে যে কার্ড তার হাতে আসার কথা, সেটাও সম্প্রতি পেয়ে গেছেন। 

গত বছরের নভেম্বরে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছিলেন শাকিব। গিয়েই গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সেটার শর্তস্বরূপ টানা সাত মাস নিউইয়র্কে বসবাস করেছেন। এমনকি গত রোজার ঈদও তিনি সেখানে উদযাপন করেছেন।

এদিকে শোনা যাচ্ছে, সপ্তাহ খানেক পরই দেশে ফিরছেন শাকিব খান। আগামী ৬ জুলাই তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঢাকায় পৌঁছাবেন ৮ জুলাই। কোরবানির ঈদটা পরিবারকে নিয়েই উদযাপন করবেন তিনি।

তবে খুব বেশিদিন দেশে থাকবেন না শাকিব। কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি একটি সিনেমা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। ‘রাজকুমার’ নামের সেই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আবার উড়াল দেবেন মার্কিন মুলুকে। এই সিনেমায় তার নায়িকা যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টনি কফি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ।

গত বছরের শেষ দিকে গুঞ্জন ওঠে শাকিব আমেরিকায় স্থায়ী হচ্ছেন। তখন তিনি চ্যানেল আইকে বলেন, এটি সত্য নয়। এও জানালেন, এমন ভিত্তিহীন খবরে তার দর্শকরা যেন বিব্রত না হয়। বললেন, আমার এখানে স্থায়ী বসবাসের কথা উঠছে কেন? আমি তো চাইলে আগামী মাসেই দেশে ফিরতে পারি। দেশান্তরী হওয়ার মতো কিছু তো ঘটে নাই। আমি এখানে কাজের মধ্যে আছি। যারা বড় আয়োজনে সিনেমা বানায় তারা বোঝে প্রি-প্রোডাকশনে কত মাস লাগে! আমেরিকার মতো দেশে আমি প্রথম সিনেমা করতে যাচ্ছি, সবকিছু গোছাতে গোছাতে তো আমার দিনরাত পার হয়ে যাচ্ছে।

শাকিব খান বলেন, আমেরিকার ‘গ্রিন কার্ড’ দেশটির সরকার সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সেলেব্রেটিদের দিয়ে থাকে। এই সম্মানটা সবাইকে দেয়া হয় না। যাদের দেয় তারা সম্মানিত হয়ে গ্রহণ করেন। আর কোভিডের আগে দেশে থাকতে অন্য প্রক্রিয়ায় আমার গ্রিন কার্ড ঠিক হয়ে ছিল। তার মানে তো এই না যে আমি আমার দেশ ছেড়ে দিচ্ছি। এখানে এসে শুধু গ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল। এজন্য তো বছরের পর বছর থাকতে হয় না। বাংলাদেশের অনেক টপ মোস্ট সেলেব্রেটি আগে থেকে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে বাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। বলিউডের বহু সেলেব্রেটিদের ‘গ্রিন কার্ড’ করা। এছাড়া দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে তাদের বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই আছে। কিন্তু তারা ইন্ডিয়াতে বসবাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে আমার এটা নিয়ে কথা উঠছে কেন? কিছু মানুষ সবসময় অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।


মন্তব্য করুন