Select Page

সার্ভারে একশ প্রেক্ষাগৃহ

সার্ভারে একশ প্রেক্ষাগৃহ

123আধুনিক প্রযুক্তিতে ছবি প্রর্দশনে আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে একশটি প্রেক্ষাগৃহ। নভেম্বর থেকে এই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সার্ভারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এই কার্যক্রমে তারা ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সাহায্য নিচ্ছেন।

একটি সংবাদ মাধ্যমকে প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দীন জানান,পাইরেসি বন্ধে প্রয়োজন সার্ভারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। বিশ্বের উন্নত দেশ এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও এ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাইরেসি নির্মূল সম্ভব হয়েছে।

২০১১ সাল পর্যন্ত এনালগ পদ্ধতিতে আমাদের দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শন হওয়ায় পাইরেসি রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ২০১১ সালের শেষদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়া উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ডিজিটাল প্রজেক্টর স্থাপন করলেও সিডি বা পেনড্রাইভের মাধ্যমে এই প্রজেক্টরে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকায় পাইরেসি থেকে মুক্ত হওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যবস্থার প্রবর্তনে ডিজিটাল প্রজেক্টর প্রয়োজন হয়।

মিয়া আলাউদ্দীন জানান, এ অবস্থার অবসানে সার্ভার পদ্ধতির ডিজিটাল প্রজেক্টর চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিল প্রদর্শক সমিতি। এ পদ্ধতির প্রজেক্টর আমদানিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বা জাপান থেকে এই প্রজেক্টর কিনতে গেলে খরচ বেশি পড়ে। তাই সামর্থ্যের মধ্যে ভারত থেকেই তা আমদানি করা সহজ। ফলে মুম্বাইয়ের ইউফো কোম্পানি থেকে এই প্রজেক্টর ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউফো কোম্পানির কর্মকর্তারা তিন ধরনের প্রজেকশন মেশিন নিয়ে ঢাকায় আসেন এবং ১৪ সেপ্টেম্বর পদ্মা প্রেক্ষাগৃহে এই মেশিন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। এসব মেশিনের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বার্কো এবং জাপানের প্যানাসনিক প্রজেক্টর। এ মেশিনগুলো মুম্বাইয়ের ইউফো কোম্পানি অ্যাসেম্বল করছে। ফলে এর ক্রয়ক্ষমতা সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

মেশিনগুলোর পরীক্ষার সময় শীর্ষস্থানীয় প্রযোজক ও প্রদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের কাছে নভেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করার মতো ১০০ প্রজেক্টর রেডি আছে।

মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নভেম্বরে ১০০ প্রেক্ষাগৃহে এই মেশিন স্থাপন করা হবে এবং সার্ভারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন পদ্ধতির যাত্রা শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা বাড়বে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


মন্তব্য করুন