Select Page

সুপারস্টার হওয়ার দৌড়ে সিয়ামকে এগিয়ে দেবে ‘শান’

সুপারস্টার হওয়ার দৌড়ে সিয়ামকে এগিয়ে দেবে ‘শান’

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে এই সময়ে সুপারস্টার হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা নাম সিয়াম আহমেদ। অল্প সময়ে মাঝে ডেডিকেশন, দক্ষতা এবং নজরকাড়া স্ক্রিন প্রেজেন্স দিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে হাজির করছেন তিনি। গৎবাঁধা বা গতানুগতিক চরিত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি নিজেকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ৭ জানুয়ারি সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘শান’। এম রাহিমের পরিচালনায় এই কপ অ্যাকশন সিনেমার ট্রেলার, গান ও শিল্পীদের লুক নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তুলেছে।

এই প্রথম পুলিশ অফিসার হিসেবে বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। এর আগে প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন ২’ তে গ্রামের এক প্রাণবন্ত তরুণ, ‘দহন’ সিনেমায় সন্ত্রাসী, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিতে ৫২ সালের প্রেক্ষাপটে ভাষার দাবিতে সাহসী যুবক, ‘বিশ্বসুন্দরী’তে নিজেকে খুঁজে বেড়ানো এক আধুনিক যুবক, ওয়েব সিরিজ ‘মরীচিকা’য় নির্ভীক পুলিশ অফিসার ও সাম্প্রতিক ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমায় বাবার সঙ্গে অধিকার নিয়ে লড়াই করা নতুন প্রজন্মের তরুণ— প্রতিটি সিনেমাতে ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। এটা সত্য প্রতিটি সিনেমাই বক্স অফিসে তোলপাড় করেছে বা হিসাব পালটে দিয়েছে তা নয়, তবে অভিনেতা হিসেবে সিয়াম নিজের দক্ষতার জানান দিয়ে গেছেন বরাবরই।

বড় ক্যানভাসের ‘শান’-েএর গল্প মানব পাচারের মতো স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে। ট্রেলারে রীতিমতো চমকে দেয় সিয়াম আহমেদের লুক এবং পাওয়া যায় দক্ষ অভিনয়ের ঝলক। সঙ্গে পূজা চেরির সঙ্গে তার রসায়নও বাড়তি আগ্রহ জাগায়।

ব্যক্তি জীবনে ব্যারিস্টার সিয়াম আহমেদ অনেক সিনেমার অফার পেলেও স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তারপরও হাত ভর্তি সিনেমা তার। ভিন্ন ভিন্ন পরিসরের চরিত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। মডেলিং, নাটক থেকে এখন বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করা তরুণ অভিনেতা সামনে হাজির হচ্ছেন ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘দামাল’, ‘ইত্তেফাক’, ‘রাস্তা’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘অন্তর্জাল’, ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘বায়োপিক’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’সহ ভিন্নধর্মী গল্পে ব্যতিক্রমী চরিত্র নিয়ে।

সম্প্রতি জানা গেছে অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার ‘শান’ সিনেমার ক্ল্যাইমেক্সের জন্য একটা জঙ্গলের ২/৩ বিঘা অংশজুড়ে ১৫টির মতো ঘর, ল্যাব সহ আরও অনেক কিছু নির্মাণ করে বেশ বড় আয়োজনে শুটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এন্ডিং ক্লাইমেক্স দৃশ্য তৈরি করতেই ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখেরও বেশি— এমন দাবিও করা হচ্ছে। ট্রেলার দেখে যা বোঝা গেছে, ফাইট সিনেও পুলিশ অফিসার রূপে সিয়াম আহমেদ মানিয়ে গেছেন বেশ ভালোভাবেই। বাকিটা জানা যাবে সিনেমা মুক্তির পর।

এতো ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার জন্য শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া এবং সেটা পর্দায় শতভাগ তুলে ধরা নিয়ে সিয়াম আহমেদ জানান, আমি কখনোই চাপ নিয়ে কাজ করি না। আমি নিজেকে কখনো পৃথিবীর সেরা অভিনেতা মনে করি না, এমনকি এই তুলনাতেই আমি বিশ্বাসী না। কিছু দর্শক আমাকে পছন্দ করেছেন, আমার কাজ দেখতে আসেন সেই ভালোবাসা থেকেই কাজ করি। কাজের প্রতি বিশ্বাস রেখে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছি। একটা কাজের রেসপন্সটা দেখার জন্যই তো আমাদের কাজ করা।
রেসপন্স দেখে দর্শক ভালো বলেন কিংবা কোথায় ভালো করা যেত সেটাও জানান। যেন পরবর্তী কাজে সেই অপূর্ণতা পূরণ করতে খুশি মনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি। এই মনোভাব রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।

নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে প্রতিনিয়ত ভাঙার যে অবিরাম প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সিয়াম আহমেদ তাতে এটুকু বলা যায় যে, একজন পরিপূর্ণ অভিনেতা হিসেবে সামনের দিনে তিনি আলো ছড়াবেন নিজস্বতা দিয়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবে নিজেকে কতদূর নিয়ে যান সেটাই দেখবার বিষয়।


মন্তব্য করুন