Select Page

সূর্য দীঘল বাড়ী-র চৌত্রিশ বছর

সূর্য দীঘল বাড়ী-র চৌত্রিশ বছর

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সূর্য দীঘল বাড়ী একটি উজ্জ্বল নাম। সাহিত্যিক আবু ইসহাক মোট তিনটি উপন্যাস লিখেছিলেন, বলা হয় সূর্য দীঘল বাড়ী তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন কর্মী মসিহউদ্দিন শাকের এবং শেখ নিয়ামত আলী যৌথভাবে এই উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপ দেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ১৯৭৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্র মুক্তি লাভ করে। চৌত্রিশ বছর বাদে বাংলা মুভি ডেটাবেজ সূর্য দীঘল বাড়ী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পুনরায় দর্শকের সামনে উপস্থিত করার প্রয়াস পায়। সূর্য দীঘল বাড়ী-র চৌত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলা মুভি ডেটাবেজ এর বিশেষ আয়োজন।

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মানের পূর্বেই সূর্য দীঘল বাড়ী ইতিহাসের অংশ হয়। প্রায় তিন বছর নির্মান প্রক্রিয়া শেষে যে চলচ্চিত্র মুক্তি পায় তা শিল্প হিসেবে নন্দিত এবং সাফল্য অর্জন করতে পারলেও ব্যবসায়িকভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। সমকালীন বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের বিপরীতে এই চলচ্চিত্র ‘আর্ট ফিল্ম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। প্রথম অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের পথ ধরে পরবর্তীতে প্রায় সকল অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রই ব্যবসায়িক ব্যর্থতার উদাহরণ স্থাপন করেছে এবং হয়তো এই ধারাবাহিকতাই অনুদানের চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকশ্রেণির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করেছে। অনুদানের চলচ্চিত্রের পরিণতি যাই হোক না কেন, এ ধরনের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার যে প্রবণতা তার জন্য বোধহয় সূর্য দীঘল বাড়ী-কেই ধন্যবাদ জানাতে হয়। দেশে বিদেশে একাধিক ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই শুধু করেনি সূর্য দীঘল বাড়ী, পুরস্কারও জয় করে এনেছে। সূর্য দীঘল বাড়ী-র এই বিষয়গুলোকেই পাঠকের সামনে উপস্থিত করতে আগ্রহী বাংলা মুভি ডেটাবেজ আর সে উদ্দেশ্যে এই বিশেষ আয়োজনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকছে।

সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের পাতা তৈরী

বিএমডিবি টিম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে পূর্ণাঙ্গভাবে সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের তথ্যাবলী তুলে ধরতে। চলচ্চিত্রের কলাকুশলী এবং অন্যান্য তথ্যাবলী ছাড়াও ট্রিভিয়া পাতায় চলচ্চিত্র নির্মান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে।

কলাকুশলীদের ব্যক্তি পাতা তৈরী

সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের নির্মানের সাথে জড়িতদের ব্যক্তিগত পাতা তৈরীর ব্যাপারে বিএমডিবি তার সীমিত সামর্থ্যে চেষ্টা চালিয়েছে। নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের এবং শেখ নিয়ামত আলী, অভিনেতা অভিনেত্রীর তালিকায় ডলি আনোয়ার, রওশন জামিল, কেরামত মাওলা, এটিএম শামসুজ্জামান, সৈয়দ হাসান ইমাম, ইলোরা গহর, সৈয়দ আখতার আলী এবং কলাকুশলীর তালিকায় চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেনের তথ্যপূর্ণ ব্যক্তি পাতা তৈরী করা হয়েছে।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চলচ্চিত্র সমালোচনা

কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ‘চলচ্চিত্র পত্র’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের সমালোচনা লিখেছিলেন। বাংলা মুভি ডেটাবেজের উদ্যোগে সেই সমালোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুনরায় তুলে ধরা হয়েছে এখানে।

স্মৃতিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলচ্চিত্র সমালোচনা

চলচ্চিত্র নির্মানের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ে খুটিনাটি বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ভালো মন্দ উপস্থাপন করে প্রথম যে সমালোচনাটি প্রকাশিত হয় সেটি লিখেছিলেন স্মৃতিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের চৌত্রিশ বছর পূর্তিতে সেই সমালোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হয়েছে এখানে।

দর্শকের দৃষ্টিতে সূর্য দীঘল বাড়ী

চলচ্চিত্র মুক্তির প্রায় ত্রিশ বছর পরে সূর্য দীঘল বাড়ী দর্শন শেষে একজন দর্শক এবং ব্লগার তার মন্তব্য লিখেছেন বাংলা মুভি ডেটাবেজ এর জন্য। ব্লগের শিরোনাম – সূর্য দীঘল বাড়ীতে বোকা পিপড়েঁর দল

বাংলা মুভি ডেটাবেজ আশা করে – বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অত্যন্ত সুপরিচিত এই চলচ্চিত্রকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য তেজোদীপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে আসবে, হাজারো সূর্য দীঘল বাড়ী-র মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে।


মন্তব্য করুন