Select Page

১৫০ পর্বের ওয়েব সিরিজ হয়ে যাচ্ছে ৮ পর্বের সিনেমা!

১৫০ পর্বের ওয়েব সিরিজ হয়ে যাচ্ছে ৮ পর্বের সিনেমা!

গত আগস্টে ডেইলি স্টার অনলাইনের একটি খবর ছিল এমন— ‘মাফিয়া’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে প্রথমবারের মতো অভিনয় করবেন অভিনেতা জাহিদ হাসান। এটি পরিচালনা করছেন চিত্রপরিচালক শাহীন সুমন।

সেখানে আরো বলা হয়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুর্ধর্ষ ব্যক্তিদের রহস্যময় জীবনযাপনের চিত্র ফুটে উঠবে এখানে। থাকবে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, নিষ্ঠুর ভালোবাসা, ক্ষমতার মোহ ও প্রতারণার গল্প। ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন দিল মোহাম্মদ। ১৫০ পর্বের এ সিরিজটির শুটিং শুরু হবে চলতি মাসেই।

এখন কালের কণ্ঠ দিচ্ছে অন্যরকম একটি খবর। যেখান থেকে মনে হতে পারে, ১৫০ পর্বের সিরিজটি ৮ পর্বের সিনেমায় রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাণাধীন ‘মাফিয়া’ ছবির টানা আটটি সিক্যুয়াল হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ‘মাফিয়া’, ‘মাফিয়া ২’ ও ‘মাফিয়া ৩’। ৪ ও ৫ নম্বর কিস্তির শুটিং শেষে আছে সম্পাদনার টেবিলে। চলছে পরের তিন কিস্তির শুটিংয়ের প্রস্তুতি। প্রথম তিন কিস্তির ছাড়পত্র পেলে সামনের বছরের শুরু থেকেই একেক করে ছবিগুলো পর্যায়ক্রমে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে।

প্রতি কিস্তিতেই মিশা সওদাগর, জাহিদ হাসান, আনিসুর রহমান মিলন, মাহিয়া মাহি, মামনুন ইমন, নাজিয়া হক অর্ষা, বিপাশা কবির, আঁচল, শ্যামল মওলা, শিবা শানুদের সঙ্গে যোগ হবেন নতুন তারকা অভিনয়শিল্পী। ছবিগুলোর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শাহীন সুমন ও তাঁর টিম। প্রতিটি কিস্তির পরিচালনায় আছেন টিমের একেকজন পরিচালক।

এ প্রসঙ্গে শাহীন সুমন বলেন, ‘ঢাকা শহরের মাফিয়া চক্রকে নিয়ে ছবিগুলোর গল্প। প্রথমে বুঝতে পারিনি গল্প এত বড় হবে। কিন্তু চরিত্রগুলো এমনভাবে বিস্তৃত হয়েছে যে সেগুলোকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য আট কিস্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। বড় বাজেটের এবং বড় আয়োজনে তৈরি হচ্ছে ছবির প্রতিটি কিস্তি। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের বড় তারকারা এখানে অভিনয় করছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার চাহিদামতো তারা শিডিউল দিয়েছেন। আশা করছি মারপিটের ছবি যারা পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে প্রত্যেকটি কিস্তিই ভালো লাগবে।’

‘মাফিয়া’ প্রযোজনা করছে শাপলা মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রযোজক অপূর্ব রানা। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমরা তিন কিস্তিতেই ছবিটি শেষ করতে চেয়েছিলাম। তিন কিস্তি একসঙ্গে দেখে আমাদের দারুণ লেগেছে। তবে তখনই মনে হয়েছে, এত বড় গল্প মাত্র তিন পর্বে শেষ করলে দর্শকের কাছে অনেক বিষয়ই পরিষ্কার করে ফুটিয়ে তোলা যাবে না। তাই পরে পর্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দেখছি, এটা একটা রেকর্ড হতে চলেছে—আটটি তো দূরের কথা, বাংলাদেশের কোনো ছবিরই দুটির বেশি সিক্যুয়াল হয়নি।’


মন্তব্য করুন