৭ ছবিকে প্রদর্শন অযোগ্য ঘোষণা
গত একমাসে ৭টি ছবিকে প্রদর্শনের অযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। বোর্ডের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড ছবিগুলোর নির্মাণশৈলী, কাহিনী, গানসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুর্বলতার কথা বিবেচনা করে এসব ছবি প্রদর্শনের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বোর্ডের পরিদর্শক কবির জানান।
দৈনিক কালের কণ্ঠ জানায়, অযোগ্য ঘোষিত ছবিগুলো হলো কালাম কায়সারের ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, আকাশ আচার্য্যর ‘আকমল আলীর সংসার’, আবুল হোসেন খোকনের ‘প্রেম যে করে সে জানে’, এফ জাহাঙ্গীরের ‘অশান্ত মেয়ে’, এ আর মুকুল নেত্রবাদীর ‘শাদী’, সাজ্জাদুর রহমান বাদলের ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট‘ ও নজরুল ইসলাম খানের ‘রানা প্লাজা‘।
এসব ছবিতে অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, সাইমন, পরী মণিসহ আরো অনেকে। এ বিষয়ে ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ ছবির অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডকে আমি বরাবরই সম্মান করি। তবে আমার ছবিটিকে কেন বোর্ডের সদস্যরা প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করলেন জানি না। আগে দেখেছি কোনো ছবির অসংগতি ধরা পড়লে কিছু দৃশ্য কর্তন সাপেক্ষে প্রদর্শনের অনুমোদন দেওয়া হতো। অথচ এখন প্রদর্শনের অযোগ্য বলা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’
‘রানা প্লাজা’ ছবির নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে বাতিল ঘোষণা করে শুধু ছবিকেই নয়, একজন নির্মাতার মন ভেঙে দিয়েছে। আমি নিখুঁত একটি ছবি বানিয়েছি। অথচ ছবিটিকে আলোর মুখ দেখতে দিল না।’
সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্যই দেশীয় ছবিগুলো এভাবে ঢালাও ব্যান্ড করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশীয় ছবির সংকট দেখা দেবে এবং হল মালিকরা উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির চেষ্টা চালাবেন।
তবে বাতিল বলে ঘোষণা করলেও এসব ছবি নিয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান বোর্ডের পরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘২৯ দিনের মধ্যে আপিল করলে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের (মন্ত্রিপরিষদের সচিব) তত্ত্বাবধানে সাত সদস্যের একটি বোর্ড ছবিগুলো পুনরায় দেখবেন। তাঁরা যদি ছবিগুলো প্রদর্শনের যোগ্য মনে করেন কিংবা শর্ত সাপেক্ষে প্রদর্শনের অনুমতি দেন, তাহলে হয়তো ছবিগুলো হলে প্রদর্শন করা যাবে। কিন্তু তারাও যদি প্রদর্শনের অযোগ্য বলে রায় দেন, তবে আর প্রদর্শন করা যাবে না।’