অনন্য মামুনও খেপে গেলেন!
আরিফিন শুভ অভিনীত ‘সাপলুডু‘ মুক্তির পর এই নায়কের ওপর অনেকেই খেপেছেন। মনে হতে পারে, ছবিটি মুক্তি না পেলেই ভালো হতো! মালেক আফসারী ও শামীম আহমেদ রনির পর তাকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনন্য মামুন। যদিও শুভ’র ‘অস্তিত্ব‘ ছবির নির্মাতা নাম উল্লেখ করেননি।
অনন্য মামুন ফেসবুকে বৃহস্পতিবার লেখেন, ‘সত্য না বলে থাকতে পারছি না.সবার সিনেমা সুপার হিট হবে সেটাই আমাদের চাওয়া .কিন্তু যখন আমরা পাবলিসিটির নামে ফ্লপ সিনেমাকে হিট বানিয়ে দেই তখন কিন্তু সবার ক্ষতি হয়.সেই সিনেমার শিল্পীরা দ্বিগুণ সম্মানী দাবি করে. প্রযোজকরা মনে করে তার হিট সিনেমার টাকা অফিসের লোকজন বা হল মালিক টাকা মেরে দিয়েছে. আমার মত যে শিল্পী যে পরিমান সিনেমার ওপেনিং সেল দিতে পারবে.তার সম্মানী তেমনই হওয়া উচিত..’
এই স্ট্যাটাস অনেকে শেয়ার করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন যে সব নির্মাতা একের পর এক ফ্লপ সিনেমা তৈরি করছেন তাদের পারিশ্রমিক কত হতে পারে?
সম্প্রতি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে আরিফিন শুভ বলেন, হয়ত ‘সাপলুডু’র সাফল্যের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘শাহেনশাহ’ ছবির মুক্তি।
এই কথায় খেপে গিয়ে ‘শাহেনশাহ’র পরিচালক রনি ফেসবুকে লেখেন, “এক অতি উচ্চ মাত্রার জ্ঞানী নায়ককে বলতে শুনলাম, তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে দর্শকের জোয়ারের ঠেলায়, ধাক্কায়, দুঃখে নাকি ‘শাহেনশাহ’ পিছিয়ে গেছে। প্রবাদ শুনছিলাম একটা, ‘পাগলের সুখ মনে মন’। আজ উনার দুল দুল দুলুনি বক্তব্য শুনে প্রবাদের বাস্তব উদাহরণ পেলাম।”
তিনি আরও লেখেন, “ছবি মুক্তির মাত্র তিন দিন পার হতে না হতেই যে ছবির সিনেপ্লেক্স ছাড়া অন্য হলে টর্চ জ্বেলে দর্শক খুঁজতে হচ্ছে, সেখানে উনার গলাবাজি আমাকে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে। জনাব অতি পণ্ডিত নায়কের ছবি ভালো যাক, আমিও চাই সবার সব ভালো ছবিই ভালো যাক। কারণ, সেটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য ভালো। আর অতি শেষে বলি পণ্ডিত মশাইকে, শুধু সিনেপ্লেক্স, যমুনা আর বলাকায় চক্কর কেটে মিডিয়াতে হেলেদুলে ইন্টারভিউ না দিয়ে, অন্যান্য হলগুলাতেও একটু যান। আর প্লিজ, সাথে একটা ভালো টর্চ বা হারিকেন নিতে ভুলবেন না।”
এছাড়া টিভি সাক্ষাৎকারে শুভ বলেন, পরিবেশ ভালো না হওয়ার কারণে ‘সাপলুডু’ দেখতে প্রত্যাশা অনুযায়ী মানুষ সিনেমা হলে আসছে না।
এর জবাবে মালেক আফসারি লেখেন, “পাসওয়ার্ড প্রথম সপ্তাহে ২০৪ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ২১২টি হলে হাউসফুল হলো কি করে? জয় হোক শাকিবিয়ানদের। তারা সিনেমা হলের পরিবেশ দেখতে যায় না। তারা একটি ভালো ছবি দেখতে যায়।”
রনি-আফসারীর প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ‘সাপলুডু’ পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “সাপলুডুর পরের সপ্তাহে এটার আসার কথা ছিল। সাপলুডুর যে ফিডব্যাক হয়তো এজন্য তারা মুক্তি দিচ্ছে না।এই দুটো বাক্য নিয়ে আমাদের সম্মানিত দুজন গুণী ও শ্রদ্ধাভাজন পরিচালক যেভাবে ভুল বুঝেছেন তা দেখে ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুব অবাক হয়েছি। আমি ভেবেছিলাম কথাটি হয়তো তারা সাধারণ মানুষ যেভাবে নিয়েছে সেভাবে নিবে না। তারা তাদের প্রজ্ঞা, মনন ও ধীবুদ্ধি বলে কথার ইনার মিনিং টা বুঝতে পারবে। সাপলুডু ভালো চলছে দেখে সেটা যেন আরো ভালোভাবে চলতে পারে এজন্য শাহেনশাহ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, ঠিক এটা মিন করেই শুভ কথাটি বলেছিল। আমার সাথে আলাপচারিতায় শুভ আমাকে সেটাই বলল। কিন্তু কিছু মিডিয়া এবং ফ্যানদের দৌরাত্বে আমাদের সম্মানিত ও আমার শ্রদ্ধাভাজন পরিচালকদ্বয় তা ভুল ভাবে নিলেন। আশা করছি তারা ব্যাপারটি ভুল ভাবে নিবেন না। শাকিব খান এখনো এদেশের সব থেকে বড় স্টার। তার নিজেকে প্রমানের কিছু নেই, তার নামেই সিনেমা চলে। সেখানে তার সিনেমা অন্য কারো ভয়ে পিছাবে এটা সম্পুর্ণ অবাস্তব। রনি শাকিব খানের সাথে এতো ভালোভালো কাজ উপহার দিয়েছেন, আফসারি চাচা ও আমাকে সাপলুডুর আগে উৎসাহ দিয়েছেন। বলেছেন তোমরা আসো, কাজ কর, ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিয়ে যাও। তাদের দেখেই আমার এ পথে চলার সাহস পাওয়া। আশা করছি এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। মিস ইন্টারপ্রিট করার জন্য আসলে কাকে দায়ী করা হবে সেটাও বুঝতে পারছি না, তাই নিজের অনুভূতি ব্যাক্ত করলাম সবার সামনে।সবার হাত ধরে চলচ্চিত্র এগিয়ে যাক।”