অনিশ্চয়তায় শাবনূর-পপি-পূর্ণিমার একাধিক ছবি
দেশের শীর্ষ তিন নায়িকা শাবনূর, পপি এবং পূর্ণিমা নতুন ছবিতে কাজ করছেন না বেশ কিছুদিন।নানা জটিলতার কারণে কিছু ছবির কাজ হলেও ছবি মুক্তি পায়নি একাধিক চলচ্চিত্র।জানা গেছে,শুটিং শেষ না হওয়ার কারনে শাবনূরের তিনটি, পুর্নিমার দুটি এবং পপির দুটি চলচ্চিত্রের মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে আছে।
শাবনূর বড় পর্দায় সর্বশেষ উপস্থিত হয়েছিলেন ২০১৩ সালে কিছু আশা কিছু ভালোবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তারপর থেকে নতুন কোন চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করেন নি। তার অভিনীত ‘অবুঝ ভালবাসা’, ‘স্বপ্নের বিদেশ’ এবং ‘এমনই তো প্রেম হয়’ নামক তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ অনেকদিন যাবত শুরু হলেও বর্তমানে সেগুলোর মুক্তি অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ‘স্বপ্নের বিদেশ’ ছবির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান কোন কিছুই জানাতে পারেননি। এ ছবির লন্ডন প্রবাসী প্রযোজক এবং এ ছবির দ্বিতীয় নায়ক আড়ালে চলে গেছেন। ‘অবুঝ ভালবাসা’ ছবির প্রযোজক নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ছবিটির ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। তবে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এমনই তো প্রেম হয়’ ছবির বাকি কাজ শিগগিরই শেষ হবে বলে পরিচালক জানান।
পপির ছবি দুটি হলো ‘আদরের ভাই’ ও ‘বৃষ্টির চোখে আগুন’। এই ছবিগুলোর মুক্তি না পাওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারন জানা যায় নি।
পূর্ণিমা অভিনীত ছবি দুটি হলো মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ছায়াছবি’ ও ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘টু বি কন্টিনিউড’। পূর্ণিমা-আরিফিন শুভ জুটির ‘ছায়া-ছবি’ দীর্ঘদিন যাবৎ রহস্যজনক কারণে আলোর মুখ দেখছে না। আরেক ছবি ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘টু বি কন্টিনিউড’র কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এ ছবিতে পূর্ণিমার নায়ক তাহসান। এটি ছিল পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমিরও প্রথম ছবি। তিন বছরেও ছবিটি কেন শেষ হয়নি এ প্রশ্ন অনেকেরই।
তবে এই তিন নায়িকার মধ্যে একমাত্র পপিরই কিছু ছবি মুক্তির প্রতিক্ষায় আছে। এসব ছবির মধ্যে ‘পৌষ মাসের পিরিতি’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’, ‘দি ডিরেক্টর’ উল্লেখযোগ্য।দি ডিরেক্টর ইতোমধ্যেই সেন্সর সনদ পেয়েছে, শীঘ্রই ছবিটি মুক্তি পাবে। তবে, নতুন কোন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ না হলে এই তিন ছবির পর শাবনূর-পূর্ণিমার মত পপিও হারিয়ে যাবেন চলচ্চিত্রের বড় পর্দা থেকে।
সূত্র: মানবজমিন