অনুদানের সিনেমা নিয়ে জালিয়াতি!
নির্মাণের শুরুতেই অভিযোগের মুখে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ‘হৃদিতা’। ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ছবিটি আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হবে। এ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন যাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার মো. মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমানের অভিযোগ, পরিচালকদ্বয়কে তিনি আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ অবলম্বনে ‘ড্রিমগার্ল’ ছবিটি নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ করিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী এফডিসিতে অধরা খান ও রোশানকে নিয়ে মহরত অনুষ্ঠান করেছিলেন। এখন ছবিটি তারা নিজেরাই প্রযোজক হিসেবে অনুদান নিয়েছেন তার অনুমতি ছাড়া।
কয়েক দিন রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘হৃদিতা’য় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন পূজা ও এবিএম সুমন। এ নিয়ে খবর প্রকাশের কয়েক দিন পর অভিযোগ জানালেন মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, গত বছরের ১৯ এপ্রিল যাদুকাঠি মিডিয়ার অফিসিয়াল প্যাডে আমরা আনিসুল হকের কাছ থেকে ‘হৃদিতা’ চলচ্চিত্রায়নের অনুমতি নিই। তারিখসহ তার স্বাক্ষর রয়েছে। সেখানে তারা কীভাবে অনুদানের আবেদন করে। এতে আমার প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। দুই পরিচালকের পেছনে টাকা গেছে। নায়ক নায়িকার সাইনিং মানি দিয়েছি। শুটিং প্রস্তুতি নেয়ার জন্যও আমার অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। সুতরাং অন্যায়ভাবে জালিয়াতি করে একটি গল্প প্রযোজকের নাম বদলে অনুদানের জন্য জমা দেয়া আইনের পরিপন্থি। বিষয়টি আমি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে লিখিত আকারে জানাব। এ নিয়ে আমি আইনি ব্যবস্থাও নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘হৃদিতা নিয়ে যেহেতু আমি লেখক থেকে ছবি বানানোর অনুমতি নিয়েছি তাই আমিই এটি নির্মাণ করব। শিগগিরই এ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি একজন প্রযোজকেই অনুমতি দিয়েছি, দ্বিতীয় কাউকে দিইনি। আমি জেনেছি ছবিটি অনুদান পেয়েছি, তখন মনে করেছি যাকে অনুমতি দিয়েছি তিনিই পেয়েছেন। নতুন করে কেউ ছবিটির প্রযোজক হলে সেটা আমার জানা নেই। আমার কাছে যদি আসে তাহলে আমি যাকে শুরুতে অনুমতি দিয়েছে সেই পাবে। যার অফিসিয়াল প্যাডে অনুমতি দিয়েছি সেই প্রযোজক যদি ছবি তৈরির মালিকানা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেন তাহলে সেখানেও সমর্থন থাকবে। কারণ আমি তাকেই অনুমতি দিয়েছি আমার উপন্যাস নিয়ে ছবি নির্মাণ করার।’
তবে এ নিয়ে ইস্পাহানি আরিফ জাহানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।