Select Page

অনেস্ট রিভিউ: অগ্নি ২ – দ্য পেইন

অনেস্ট রিভিউ: অগ্নি ২ – দ্য পেইন

Agnee 2 mahia mahi ashish bidyarthiযৌথ প্রযোজনা। আহা! কত মধুর লাগে শুনতে! এক গাঞ্জার কলকিতে দুইজনা দুধার থেকে টানছে দেখতেই কত ভালো লাগে! আসল কথা হল কলকাতার সিনেমা তার বাজার হারাচ্ছে দক্ষিণী আর হিন্দি সিনেমার হাতে। দেব জিতের ভুগিচুগি সিনেমা আর তেমন চলেনা মনে হয় ঐখানে। তাই এবার উনারা নজর দিয়েছেন বাংলাদেশের বাজার দখল করতে। ইচ্ছে করছেনা কিছু লিখতে কারণ একটা রিভিউ লিখতে অনেক প্যারা। তারপরেও সেটা যদি আবার নেগেটিভ রিভিউ হয় তবে আরো ইচ্ছে করেনা। তবু লিখছি। কারণ হল ইফতেখার চৌধুরী নামে এক মোটা বুদ্ধির পরিচালকের কাছে বারবার মারা খাচ্ছি আমরা। যাক বাদ দেই। কিছু রিলেটিভ কথাবার্তায় আসি।

অগ্নি ২ সিনেমার বাজেট ছিলো ৭ কোটি টাকা। ওরে বাপ্পস! এত টাকা দিয়া কী বানাইলো? ভাই খালি ফাঁকা প্রশংসা আর আশা নিয়ে বসে থাকলে হয় নাকি? এই সিনেমায় কী আছে? কী নাই?

সবচাইতে বড় যে জিনিস, যে জিনিসটা দর্শকদের হলে কিছুটা আগ্রহ নিয়ে বসে থাকার ইন্ধন যোগায় সেই “গল্প/স্টোরি” একেবারেই নাই এই সিনেমায়। একেবারেই নাই। গোবরগণেশ চৌ এইদিকে খেয়ালই দেয়নি। আরে ব্যাটা! বাংলাদেশের মানুষ এখন অল্পস্বল্প হলেও পড়ালেখা জানা, সিনেমা বোঝে আর তুমি মামু বুঝলানা যে এদের গাঁটের পয়সা খরচ করিয়ে ভাংগাচোরা সিনেমাহলে নিয়ে গিয়ে সিনেমা দেখাবো অথচ এরা নাবুঝেই তোমাকে বাহবা তালি দিয়ে আসবে?!! অবশ্য তার পক্ষে এটা আশা করা অস্বাভাবিক কিছুনা। কারণ ভিরু শাহাস্ত্রাবুদ্ধের মতই বলা লাগে ‘ইহা আনইউজড ব্রেন। কাভি ইস্তেমালই নেহি কিয়ে!”

সিনেমার কাস্ট দেখেন। এক মাহি ছাড়া বাংলাদেশের আর কে আছে? ও হ্যাঁ সাইফুল ইসলাম ওরফে অমিত হাসান। তিনি ইন্টারপোলের অফিসার। থাই পুলিশকে ব্রিফিং দেন বাংলায়! আবার থাই পুলিশ আবার সেই বাংলা এক সেকেন্ডেরো কম সময়ে বুঝে যায়! এতদিন জানতাম অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ, এখন দেখি ইফতেকার চৌও পারেন! ভালো ভালো! সব সুপারহিউম্যান আসতেছেন খালি আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে।

কোন স্টোরি নাই এক “অগ্নি তোদের ধ্বংস করে দেবে! ধ্বংস!” শোনা লাগে, মাঝে মাঝে দুই তিনটা গান (এই একটা পার্টে সুস্থ মস্তিষ্কে কাজ করেছেন চৌধুরীসাহেব)।

টোটালি সি গ্রেডের সিনেমা। বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে কেবল মাত্র এই কারণে যেতে পারেন এই যৌথ প্রযোজনার ৭ কোটি টাকার সিনেমা। প্রথমটা তাও দেখা গেছে এইটা একেবারে অখাদ্য হয়েছে। আহা কত ট্যালেন্টেড পোলাপাইন প্রডিউসারের অভাবে কাজ শুরু করতে পারছেনা! যদি এরা এই ৭ কোটি পাইতো তবে আমরা অন্য কিছু দেখতে পাইতাম। সাহস করে বলেই ফেলি আমিই ৭ কোটি পাইলে অনেক যত্ন করে ভাল করে একটা মসলা সিনেমা বানাইতাম। কানে ধরলাম, আর কোনদিন ইফতেকার চৌ এর সিনেমা দেখতে আমি হলে যাচ্ছিনা। নম্বর দিলে এই সিনেমা পাবে ২/১০ আর পোস্টারখনাও চৌসাহেব ইন্সার্জেন্ট সিনেমা থেকে মেরে দিছেন। ব্রাভো! অল হেইল ৭ কোটি! অল হেইল! জয়েন্ট ভেনচার! অল হেইল চৌধুরীসাহেব!


Leave a reply