অপু বিশ্বাসের প্রথম
অপু বিশ্বাস জীবনের কিছু প্রথম ঘটনা জানিয়েছেন সমকাল পত্রিকায়। বিএমডিবি পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রথম এফডিসি দর্শন
বিশ্বনাথ বিশ্বাস ছিলেন আমার প্রিয় কাকা। তিন বছর আগে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। প্রায়ই তিনি ব্যবসার কাজে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসতেন। সাত-আট বছর বয়সে এফডিসিতে নিয়ে যাওয়ার বায়না ধরেছিলাম তার কাছে। খুব সম্ভবত সালমান শাহ ও মৌসুমীর ‘দেনমোহর’ ছবিটির দৃশ্যধারণ হচ্ছিল সেদিন। ইউনিটের লোকজনের ধাক্কা খেয়েছিলেন কাকা। এ ক্ষোভে আমাকেও চড় মেরেছিলেন তিনি!
প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দেখা চলচ্চিত্র
আমার প্রিয় অভিনেত্রী কবরী। ম্যাডামের অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে। প্রেক্ষাগৃহে প্রথমবার তার ছবিই দেখেছিলাম। ছবিটি ছিল ‘ময়নামতির সংসার’। ছোটবেলায় বিশ্বনাথ কাকার সঙ্গেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে প্রথম ছবি দেখা।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র
এসএসসি পরীক্ষার পরপরই অভিনয় করি আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে। এটাই আমার অভিনীত প্রথম ছবি। এতে শাবনূরের বান্ধবীর চরিত্রে দেখা গেছে আমাকে।
প্রথম নায়ক
প্রথম চলচ্চিত্র ‘কাল সকালে’ হলেও আমার প্রথম নায়ক শাকিব খান। ‘কোটি টাকার কাবিন’-এ তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলাম। ছবিটির প্রথম দিনের একটি রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। পরিচালক এফআই মানিক আমার কথা ভেবে দৃশ্যটি পাল্টে ফেলেছিলেন! কথা ছিল দৌড়ে এসে আমি শাকিবকে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলব; কিন্তু দৃশ্য পাল্টানোর পর শাকিবকেই এ কাজ করতে হয়েছিল!
প্রথম পুরস্কার
আমি ছোটবেলা থেকেই নৃত্যচর্চা করি। নেচে বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছি। প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্তি হয়েছিল তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়। আমার জীবনে প্রথম পুরস্কার ছিল একটি বাটি আর গ্গ্নাস। এগুলো এখনও আমার সংগ্রহে আছে। অনেক যত্ন করে তুলে রেখেছি পুরস্কারগুলো।
প্রথম বিদেশ ভ্রমণ
পারিবারিক সূত্রে ছোটবেলা থেকেই ভারতে যাওয়া-আসা আছে। এ ছাড়া ব্যাংকক ভ্রমণের কথা মনে পড়ে। কয়েক বছর আগে একটি চলচ্চিত্রের কাজে শাকিব ও রেসিসহ ব্যাংকক গিয়েছিলাম। ভারতযাত্রা বাদ দিলে এটিই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। সেই স্মৃতি এখনও চোখে লেগে আছে।
বিরতির পর প্রথম ছবি
প্রায় ছয় মাস পর আমি চলচ্চিত্রে ফিরেছি। এবার নতুনভাবে হাজির হবো দর্শকের সামনে। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির মাধ্যমে আবার আমার ব্যস্ততা শুরু হলো।
সুত্র: সমকাল