মুখ খুললেন ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন চলচ্চিত্র ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ বেশি কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের খবর হয়ে আসছে। কিন্তু খোদ নির্মাতাই ছিলেন নিশ্চুপ। মূলত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে এতো আলোচনা।
এবার সবকিছু ফেসবুকেই পরিস্কার করলেন ফারুকী। রবিবার দিবাগত রাতে এ স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন—
‘দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে কিছু বলাটা ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুই দিনে পত্র পত্রিকায় নানা লেখা বেরিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও লিখা হচ্ছে। কেউ কেউ ষড়যন্ত্র তত্ত্বও খুঁজেছেন। যাই হোক আমার ভাষ্য এখানে লিখে দিলাম।
এক. ছবিটার নাম এখন পর্যন্ত “নো ল্যান্ডস ম্যান”, নো ম্যানস ল্যান্ড না।
দুই. ছবিটা কেবল মাত্র বাংলাদেশী বা বাংলা ভাষার ছবি না। ভাষা হিসাবে এখানে প্রধানত থাকছে ইংরেজী, তারপর হিন্দি, উর্দু, এবং বাংলা। ছবির গল্পে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আমেরিকা, ও অষ্ট্রেলিয়া থাকলেও এটা মুলত সমসাময়িক বিশ্ব বাস্তবতার ছবি। আর এটা যেহেতু কেবলমাত্র বাংলা ভাষার এবং বাংলাদেশের গল্প এটা না, ফলে বিষয়টাকে উর্বর মস্তিষ্কের চিন্তা দিয়ে “আবারো বাংলা ছবিতে ভারতীয় অভিনেতা” টাইপ কিছু না ভাবা ভালো।
তিন. ছবিতে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী থাকলে আমি আনন্দিত হবো। সে ছবিটা করতে তার আন্তরিক আগ্রহের কথা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছে, সেই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে অফিসিয়ালি আমরা বিষয়টা পরিষ্কার করবো কিছু দিনের মধ্যে। একটু সাসপেন্স নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অভিনেত্রীর প্রসঙ্গে বলতে চাই নওয়াজুদ্দিনের (প্রেস রিপোর্ট অনুসারে) বিপরীতে একজন আমেরিকান এবং একটা বিশেষ চরিত্রে বাংলাদেশের একজন কাস্ট থাকবে। তাদের নাম আমরা কয়দিন পর জানবো।
চার. সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। ফারুকীকে হাত করতে এটা ভারতের চাল। নইলে আনন্দবাজার পত্রিকা এইরকম প্রশংসা করে? আমার ইনবক্সেও এই তত্ত্ব এসেছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই “গেট এ লাইফ, ম্যান”!
শেষে, সবার কাছে দোয়া চাই যেনো কাজটা ঠিকঠাক করতে পারি। যত বড় প্রজেক্ট তত বড় হ্যাপা। সবাই দোয়া করলে নিশ্চয়ই পারবো হ্যাপা সামলে একটা ভালো কিছু করতে। আমি জানি একটা গ্লোবাল প্রজেক্ট সামলানো সহজ না।
কিন্তু আমাদের তো স্বপ্ন দেখতে হবে, পরিধি বাড়াতে হবে, ছড়িয়ে পড়তে হবে।
কারণ আমরা যদি না জাগি তো..।’
ফারুকী আরো জানান, চলচ্চিত্রটি ফিল্ম বাজার ও এপিএসএ-এমপিএ ফিল্ম ফান্ড জিতেছে।