Select Page

হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা
অমিতাভ রেজা না পেলেও তানিম নূর অনুমতি পান যে কারণে

<div class="post-subheading">হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা</div>অমিতাভ রেজা না পেলেও তানিম নূর অনুমতি পান যে কারণে

২০২০-২১ অর্থ বছরে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাসের জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য জমা দেওয়ার আগেই হুমায়ূন পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছিলেন।

তানিম নূর, হুমায়ূন আহমেদ ও অমিতাভ রেজা চৌধুরী

কিন্তু পরবর্তীতে ‘আয়নাবাজি’ নির্মাতা জানান, ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ সিনেমাটি বানাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড এই চলচ্চিত্রের গল্পের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ এবং সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র মুক্তির পর এর আয়ে অংশিদারিত্ব চাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এর আগে ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ থেকে সিনেমা নির্মাণের অনুমতি পেয়েছিলেন ‘নিরন্তর’-খ্যাত আবু সাইয়ীদ। তিনি সেই অনুমতি অমিতাভ রেজার কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুমতি ছিল হুমায়ূনের জীবদ্দশায় এবং সাধারণত এ ধরনের অনুমতি মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, হুমায়ূন আহমেদের গল্পে সিনেমা-নাটক নির্মাণ কঠিন হয়ে গেছে। তবে, এবার হুমায়ূনের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমার অনুমতি পেয়েছেন তানিম নূর। ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।

এ দুটি ঘটনা নিয়ে টাইমস অব বাংলাদেশের কাছে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন হুমায়ূনপুত্র নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘কোনো লেখককের লেখা নিয়ে কিছু নির্মাণ করতে গেলে তো তার অনুমতি লাগবে। এখন যেহেতু লেখক বেঁচে নেই তাই পরিবারের অনুমতি লাগবে। আর পরিবার হিসেবে আমাদের কারও কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।’

অভিযোগ রয়েছে আপনারা নানান শর্ত দেন কিংবা বড় অঙ্কের টাকা চান কপিরাইট বাবদ। নুহাশ বলেন, ‘এ ব্যাপারটা একদমই সত্যি না। ব্যাপারটা যেটা হয়েছে, কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে আলাপ না করেই কাজ শুরু করে দিয়েছিল। আমাদের দেশে কপিরাইট ব্যাপারটা কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।’

অমিতাভ রেজার ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘উনি প্রথমে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ অনুদানে জমা দিবে। আমাদের কোনো আপত্তি আছে কিনা?’ আমরা আপত্তি নেই জানিয়েছিলাম। কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি ওনার কাজ সম্পর্কে জানি এবং আমার একটা কাজও হয়েছিল।’

নুহাশ হুমায়ূন

‘অনুদান পাওয়ার পর তিনি টাকা-পয়সার বিষয়টা বললো, এটা দিতে পারবে, এটা পারবে না। উনি আমাদের সঙ্গে ঠিকঠাক আলাপ না করেই পাবলিকলি একটা বক্তব্য দিলেন। এটা না দিলেও পারতেন। বড় অঙ্কের টাকা চাওয়ার যে ব্যাপারটা–সেটা আসলে এমন ছিল না’, বলেন নুহাশ।

ওনারা যদি অনুমতি প্রক্রিয়া কঠিন করেই রাখতেন তাহলে কীভাবে তানিম অনুমতি পেলেন, এমন প্রশ্ন রাখেন নুহাশ। তিনি বলেন, ‘তানিম নূর সরাসরি বলেছে সে এটা নির্মাণ করতে চায়, এ এ পারবে, এ এ পারবে না। তানিম স্ট্রেট ফরওয়ার্ড থাকায় বিষয়গুলো খুব সহজেই সমাধান হয়ে গেছে। কেউ যদি চায় বিষয়গুলোকে জটিল করবে, তাহলে জটিল করায় যায়।’

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে কপিরাইটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। এতে সদস্য হিসেবে আছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, সন্তানরা ও তার ভাই-বোনেরা।

এদিকে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘আয়না’ গল্পটি নিয়ে নাটক বানাতে চেয়েও পারেননি বলে জানান এ নির্মাতা অসংখ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা অভিনেতা ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি বেশকিছু দৃশ্য লিখে রেখেছিলামও। আমার বিশ্বাস আমি খারাপ পরিচালনা করতাম না। ভবিষ্যতে যদি অনুমতি পাই তাহলে বানাব।’


Leave a reply