Select Page

‘অস্তিত্ব’ দর্শকরা যা বলছেন

‘অস্তিত্ব’ দর্শকরা যা বলছেন

ostitito

অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অস্তিত্ব’ মুক্তি পেল শুক্রবার। আরিফিন শুভনুসরাত ইমরোজ তিশার সিনেমাটি দেখতে দর্শকের ভিড় ছিল লক্ষনীয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে ইতিবাচক মন্তব্য। গল্প, নির্মাণ ও অভিনয়ের পাশাপাশি অনেকে সিনেমাটির মূল মেসেজ নিয়ে কথা বলেছেন। আসুন তেমন কিছু মন্তব্যের অংশ বিশেষ দেখে নিই—

হাফিজ আল মামুন লিখেছেন, ‘অনন্য মামুন উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। উনার সেরা কাজ এটি। শুভর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। উনি যে পরিশ্রম করেন চরিত্রের জন্য তা উনার অভিনয় দেখলে ভালই বোঝা যায়। তিশা মাস্টারক্লাস অভিনেত্রী। উনি তার প্রমান রেখেছেন পুরো সিনেমাজুড়েই।’

ধ্রুব শিহাবের মতে, ‘বাংলা সিনেমা এতোটা ভালো হতে পারে এই মুভিটা না দেখলে বুঝতাম না।…. ফ্যামিলি নিয়ে দেখার মতো একটা সিনেমা, যদি হলের পরিবেশ ভালো থাকে। আর মুভির লাস্ট অংশের ব্যাপারে না বলে পারতেছি না। যারা একটু আবেগী, তাদের চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে কষ্ট হবে।’

ইমতিয়াজ শামীম লিখেছেন, ‘একটা সিম্পল কাহিনীকে কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় তার উদাহরণ এই ছবি। এক কথায় মন জুডানো ছবি, গান, লোকেশন, অ্যাক্টিং দুর্দান্ত! আরিফিন শুভ সম্ভবত তার বেস্ট এক্টিং এই সিনেমাতে করেছেন।’

নাজমুল হাসান মজুমদার এভাবে লিখেছেন, ‘কিছু হৃদয় ছুঁয়ে দেয় ভালোবাসার অস্ফুট স্পর্শ। সেই হৃদয়গুলোর মানুষেরা একটু বিশেষ রকমের হয়, তাদের মাঝে কিছু বিশেষ সত্তা থাকে। “পরী” অস্ফুট স্পর্শ ছড়িয়ে দেয়া সেই বিশেষ কেউ। যারা একটু অন্যরকম, একটু আলাদা সবার থেকে। আধো আধো শব্দ উচ্চারণে যে পরীর দেখা পর্দায় মেলে, সেই পরীই “তিশা”। নিজেকে কতটা গল্পের ভেতরে নিয়ে অভিনয়ের জন্যে প্রস্তুত করতে পারে একজন মানুষ অভিনেত্রী তিশা তাই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। একজন অভিনেত্রী যখন নায়িকা হন তার থেকে এ রকম চরিত্রের দারুণ সংমিশ্রণের অভিব্যক্তি আশা করা মোটেই অমূলক মনে হয়না এবং পরিচালক অনন্য মামুন নায়িকা তিশাকে পরী চরিত্রে মাধ্যমে গল্পের যে আবেশ সৃষ্টি করেছেন তা প্রথমে একটা ঘোরের আবেশ তৈরি করবে। আর বাকি অংশ সেই আবেশের মাঝে বিচরণ করাবে।

কিছু মানুষ সেই বিশেষ হৃদয়ের কাছে হাত বাড়িয়ে দেয় ভালোবাসার স্পর্শ বেঁধে। আরেফিন শুভ সেই মানুষদের একজন। যে মানুষ অন্যভাবে ভাবে। অভিনেতা থেকে নায়ক হয়ে ওঠা মানুষ।’

শাহিবুল আলমের ভাষায়, ‘মুভির থিমটা ছিল টাচি। অটিস্টিক বা স্পেশাল চাইল্ডদের বিশেষ প্রতিভা থাকে এইটা অনেক পিতা-মাতারই ঠিকমত চোখে পড়ে না। আর পড়লেও নানা রকম ঝামেলার কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। এর ফলে ঠিকমত পরিচর্যার অভাবে প্রতিভাগুলো প্রস্ফুটিত হয় না। এই মুভিতে এই মেসেজটাই দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যে এদেরকে যদি প্রপার নার্সিং করা যায় তাহলে এরা শুধু পরিবার না দেশের জন্যেও গৌরব বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এরাও হয়ে উঠতে পারে দেশের সম্পদ।’

সিনেমার দুর্বল দিক নিয়ে বলেন, ‘এককথায় বললে যা বলব তা হলো গল্পটা সরলরৈখিক। তেমন কোন টুইস্ট নাই। এমন একটা থিমের উপর আরও স্ট্রং গল্প এবং স্টোরি টেলিংটা আরও ফাস্ট এবং ড্রামাটিক হইলে পুরাই সোনায় সোহাগা হইত।’

সিনেমাটি দেখেই এক লাইনে মন্তব্য করেন আবদুল্লাহ আল মানি। মন্তব্যটা এমন, ‘অনন্য মামুন হতাশ করল। সকালের ঘুমটা নষ্ট করে দিলো। কপাল ভালো সিনেপ্লেক্স এ দেখি নাই।’ পরে অবশ্য ‘পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা’ নামে লেখা পোস্ট করেন।


Leave a reply