আটকে যাচ্ছে ‘বর্ডার’
৯ সেপ্টেম্বর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সীমান্তবর্তী এলাকার কাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘বর্ডার’ সিনেমা আটকে যাচ্ছে সেন্সরে। সৈকত নাসিরের ছবিটির সেন্সর প্রদর্শনী ছিল গেল ২২ আগস্ট। কিন্তু বোর্ড সেন্সর ছাড়পত্র না দিয়ে সংশোধনী দিচ্ছে। কিছু দৃশ্যের রিশুটও হতে পারে।
সম্প্রতি সিনেমাটি দেখে ছাড়পত্র দেননি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা। তাদের কাছে ‘বর্ডার’ দেশের জন্য বিপজ্জনক মনে হয়েছে। সে জন্য এই সিনেমার ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনেমাটি দেখার পর।
সেন্সর বোর্ডের এক সদস্যের দাবি, সিনেমাটি ছাড়পত্র পেতে হলে দীর্ঘ সংশোধনী নিয়ে আসতে হবে। এই সিনেমায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে; দেখানো হয়েছে পুলিশ সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য দেশের সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে ঢুকে অবাধে অপরাধ করার সুযোগ দেওয়ার মতো গল্পও আছে।
আরেক সদস্য অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডে স্বরাষ্ট্র, আইন ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও ছবি দেখেন। এই ছবি দেখে তাঁরা অনেকগুলো জায়গায় অবজারভেশন দিয়েছেন। আমার কাছে ছবির বেশির ভাগ জায়গায় সমস্যা মনে হয়েছে। কিছুটা দেশের জন্য বিপজ্জনক মনে হয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো সেক্টরের গল্প যদি সিনেমার অংশবিশেষ হয়, অবশ্যই সেই সেক্টর সম্পর্কে গবেষণা করেই সিনেমার গল্পে তা উপস্থাপন জরুরি। ছবিতে পুলিশের ভূমিকার দিকটাও যথোপযুক্ত হয়নি।’
এদিকে পরিচালক সৈকত নাসির বলেন, ‘সোমবার ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা দেখেছেন। তারা সিদ্ধান্ত দেননি। সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য আমাকে জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা আছে ছবিতে। শুনেছি, এখন চেয়ারম্যান ছবিটি দেখবেন, তারপর সিদ্ধান্ত হবে।’
‘বর্ডার’ সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে জানা গেছে, দুই দেশের সীমানা দিয়ে বৈধভাবে পার হয় মানুষ, গরু ও নানান দ্রব্যাদি। তেমনই আবার হয় মাদকসহ নানান দ্রব্যাদির চোরাচালান। এই চোরাচালানকে ঘিরে গড়ে ওঠে বেশ কিছু গ্যাং। আবার তাদের মাঝে ঘটে নানা ঘাত, প্রতিঘাত, সংঘাত।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছে ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট।