আতিকুল হক চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনারে
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সদ্য প্রয়াত খ্যাতিমান নাট্যকার আতিকুল হক চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছে।
এখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় ও দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের সামনে তার শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সকালে এ বরেণ্য নাট্যকারের মরদেহ তার শেষ কর্মস্থল ‘একুশে টিভি’ ভবনের সামনে রাখা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল পৌনে ১১টার দিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শেষ নামাজে জানাজার পর বিকেলে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
আতিকুল হক চৌধুরী সোমবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। স্ত্রী জোহরা বেগম, ছেলে ড. এনামুল হক চৌধুরী ও মেয়ে আসফিয়া বেগম নেহারসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন তিনি।
‘দূরবিন দিয়ে দেখুন’, ‘নীলনকশার সন্ধানে’, ‘সুখের উপমা’, ‘বাবার কলম কোথায়’সহ অসংখ্য সৃষ্টিশীল নাটকের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
১৯৩১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আতিকুল হক চৌধুরীর জন্ম। ১৯৬০ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
বিটিভিতে কমর্রত অবস্থায় দেশবাসীকে অসংখ্য নাটক উপহার দেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালর নাট্যকলা বিভাগেও তিনি ১১ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
বাংলা একাডেমী পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ উল্লেখযোগ্য বেশকিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সূত্র: সমকাল