‘আদিম’ মুক্তির আগে সিক্যুয়েল ‘হাজত’, শুটিং শেষ করলেন যুবরাজ শামীম
গত বছর গণ অর্থায়নে ‘আদিম’ নামে নিজের প্রথম সিনেমার কাজ শেষ করেন যুবরাজ শামীম। যেখানে বস্তির অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজ নিজ চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটির কাজ একদম শেষ ধাপে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রিলিজের পরিকল্পনা রয়েছে।
আর করোনাকালেই সেই ছবির সিক্যুয়াল ‘হাজত’-এর দৃশ্যায়ন শেষ করণেন যুবরাজ। তিনি জানান, সিক্যুয়েল বলা হলেও দুটো সিনেমা পুরোপুরি ভিন্ন। মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আর সেই অপরাধের গল্প নিয়েই ‘আদিম’ নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ করার পর অপরাধীর মানসিক অবস্থার চিত্রায়ন ‘হাজত’।
সাদেক একটি ভয়ংকর অপরাধ করে। সেই ঘটনা সম্পর্কে আশপাশের কেউ জানে না। সেই হিসেবে স্বাভাবিক জীবন পার হওয়ার কথা সাদেকের। কিন্তু অন্তর্গত অপরাধবোধ নতুন এক যন্ত্রণার জন্ম দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির নানা উপায় খুঁজতে থাকে সে। এভাবে নিজের গল্প ও চিত্রনাট্যে ‘হাজত’ নির্মাণ করছেন যুবরাজ শামীম। সাদেকের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন বাদশা, দুলাল, সোহাগী ও স্বপন। যৌথভাবে চিত্রগ্রহণে আছেন আনন্দ সরকার ও যুবরাজ শামীম।
নির্মাতা জানান, ‘হাজত’ মূলত অপরাধবোধের গল্প। এই সিনেমার প্রধান চরিত্র অপরাধ করে বাইরের হাজত থেকে পার পেলেও বন্দী হয় নিজের হাজতে। তাই সিনেমাটির নাম ‘হাজত’ রাখা হয়েছে।
প্রতি শেয়ার ৫০০০ টাকা করে, সর্বমোট ১২০টি শেয়ার বিক্রি করে ‘আদিম’ নির্মাণ করেন যুবরাজ শামীম। নতুন সিনেমাটি নিয়ে বলেন, “আমার কাছের কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা এবং এক বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে সিনেমাটির শুটিং করেছি। সেই অর্থে ‘হাজত’ও গণ অর্থায়নের সিনেমা।”
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ১৬ দিন শুটিং শেষে ‘হাজত’-এর ক্যামেরার কাজ শেষ হয়েছে। এখন সম্পাদনায় যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
যুবরাজ বলেন, “আমরা শুটিং করার ক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেইনটেইন করেছি। তাছাড়া ‘হাজত’ মূলত একটি চরিত্রকে প্রাধান্য দিয়ে লেখা গল্প, সঙ্গে কয়েকটি দৃশ্যে কয়েকজন সাপোর্টিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর আমাদের চারজনের ছোট শুটিং ইউনিট ছিল। তাই খুব বেশি জটিলতার সম্মুখীন হইনি।”