Select Page

আন্তর্জাতিক পরিবেশক পেল ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’

আন্তর্জাতিক পরিবেশক পেল ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’

প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেলস এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রে ডগস’ বিশ্ববাজারে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ মুক্তি ও প্রদর্শনীসংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করবে। এর আগে ২০-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কো-প্রডাকশন মার্কেট ফিল্ম বাজারের ভিউয়িং রুমে পিচিং ও রিকমেন্ডেশন সেকশনে অংশ নেয় ছবিটি। মূলত সেখানে ছবিটি দেখার পর স্ট্রে ডগসের প্রতিষ্ঠাতা নাথান ফিসার তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন। খবর বণিক বার্তা।

গুপী বাঘা প্রডাকশনের সহপ্রযোজনায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘খেলনা ছবি’র ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সামসুর রহমান আলভি, আহমেদ আদনান হাবিব, বিজন ইমতিয়াজ, এহসানুল হক বাবু ও মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

ভ্যারাইটিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক প্রযোজক বিজন ইমতিয়াজ বলেন,  ‘আমরা লাইভ ফ্রম ঢাকা নিয়ে অনেক আগে থেকে কাজ করছিলাম। এই প্রথম লুকানো অবস্থা থেকে বের হলাম আর কি। শুরু থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল দেশের সীমানা পেরিয়ে নিজেদের ছবির গল্প পুরো বিশ্বকে দেখানো। স্ট্রে ডগসের মতো প্রতিষ্ঠান ছবিটি বিশ্বময় করার যে দায়িত্ব নিল, এজন্য আমরা গর্বিত।’

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এদিকে সারা বিশ্বের দর্শকের কাছে যাওয়ার জন্য যে সুযোগ লাইভ ফ্রম ঢাকা পেয়েছে, তাকে এর নির্মাতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাদও তাদের দলের সদস্যদের জন্য বিশেষ অর্জন মনে করছেন বলে জানিয়েছেন।

স্ট্রে ডগস লাইভ ফ্রম ঢাকা নিয়ে যেসব দায়িত্ব পালন করবে, তা নিয়ে এর প্রযোজক আরিফ বলেন, ‘সাধারণত যেসব ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়নি, এ রকম ছবি এখানে আগতরা খোঁজ করেন। কিন্তু আমাদের ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হওয়া সত্ত্বেও ছবিটি স্ট্রে ডগসের প্রতিনিধির এতই ভালো লাগে যে, ছবিটি দেখার মাঝপথেই তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে আন্তর্জাতিক মুক্তির ব্যাপারে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত ছবিটিকে বাংলাদেশের বাইরে যেখানে যেখানে দেখানো সম্ভব, সেখানে দেখানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া কোন কোন অনলাইন প্লাটফর্মে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে, তাও তারা দেখাশোনা করবে। মোটকথা, বিশ্বচলচ্চিত্রের দর্শকের সামনে ছবিটি নিজের মহিমা নিয়ে হাজির হওয়ার সুযোগ পেল।’

‘স্ট্রে ডগস’-এর আগে অনুরাগ কাশ্যপের ‘দ্য ব্রোলার, ব্রিটিশ নির্মাতা ডেবোরাহ হেউডের পিন কশন, গোবিন্দ ভ্যান মায়েলসের ‘গাটল্যান্ড’ ইয়ান ল্যাগার্ডের ‘অল ইউ ক্যান ইট বুদ্ধ’ ও বেন রাসেলের ‘গুড লাক’সহ অসংখ্য ছবির আন্তর্জাতিক বিপণন ও পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করেছে।

এর আগে বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ এবং আবু সাইয়ীদের ‘কিত্তনখোলা’ আন্তর্জাতিক মার্কেটে বিশেষ করে ইউরোপে বাণিজ্যিকভাবে প্রবেশ করেছিল।


মন্তব্য করুন