আবদুল জব্বার খানের ছেলের আক্ষেপ
আবদুল জব্বার খান ১৯৫৩ সালে নির্মাণ করেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’। ১৯৯৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। তার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সোমবার এফডিসিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আক্ষেপ প্রকাশ করেন সেজো ছেলে নওশের হায়াত খান। খবর মানবজমিন।
তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, “মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণের পরও বাবা প্রায় ৪০ বছর বেঁচেছিলেন। তার জীবদ্দশায় তার হাতে কোনো জাতীয় পুরস্কার, একুশে পদক তুলে দেয়া হয়নি। রাষ্ট্রের এ নিয়তি তিনি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার মনে অনেক কষ্ট ছিল। শুধু তাই না, আজ তার প্রয়াণ দিবসে প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পী সমিতি কর্তৃক আয়োজন করা উচিত ছিল এ অনুষ্ঠানের।”
জব্বার খানের পরিবারের উদ্যোগ স্মরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্রকার সি. বি. জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুস সামাদ খোকন, পরিচালক সমিতির সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চিত্র প্রযোজক-পরিচালক খুরশিদ আলম খসরু, চিত্রপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী, চিত্রপরিচালক এসএ হক অলিক।
অনুষ্ঠানে সোহানুর রহমান সোহান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আবদুল জব্বার খান সে সময় চলচ্চিত্র নিয়ে না ভাবলে হয়তো আমাদের মতো অসংখ্য পরিচালক নিজের নাম নিয়ে গৌরব করতে পারতেন না। আমাদেরই নিজ উদ্যোগে তার স্মরণে অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল। আগামীতে এটা আমরা মিস করতে চাই না।’
মোহাম্মদ হোসেন জেমী বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস আজ মুছে যাচ্ছে। প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীদের উচিত ছিল তার মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার। আজ আমাদের ব্যর্থতার কারণে তাদের পরিবারের লোকজন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।’
আরও উপস্থিত ছিলেন আবদুল জব্বার খানের আট সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে ইসমত হায়াত খান, ছোট ছেলে জহির হায়াত খান ও ছোট মেয়ে মালা খুররম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চিত্রপরিচালক শাহীন মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে আবদুল জব্বার খানের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল ৬ দিনব্যাপী আবদুল জব্বার খানের জন্মশতবর্ষ উৎসব আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা হবে।