আবারও জাতীয় পুরস্কারে শাকিব-জয়া-ফেরদৌস-তিশা
ডিসেম্বর ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষিত হবে। কিছুদিন আগে এই বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, এক বা একাধিকবার পুরস্কার পাওয়া চার অভিনেতা-অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। তারা হলেন শাকিব খান, জয়া আহসান, ফেরদৌস ও নুসরাত ইমরোজ তিশা।
২০১৭ সালের ‘সত্তা’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার সম্মান পাচ্ছেন শাকিব খান। এর আগে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ (২০১০), ‘খোদার পরে মা’ (২০১২) এবং ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ (২০১৫) ছবির জন্য সেরা অভিনেতার জাতীয় সম্মান পান তিনি।
জয়া আহসান ২০১৮ সালের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন ‘দেবী’ ছবির জন্য। এর আগে ‘গেরিলা’ (২০১১), ‘চোরাবালি’ (২০১২) এবং ‘জিরো ডিগ্রি’ (২০১৫) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন জয়া। ২০১৮ সালের সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন ফেরদৌস। ‘পুত্র’ ছবির জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ (১৯৯৮), ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৩), ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ (২০১১) এবং ‘এক কাপ চা’ (২০১৪) এর জন্য ফেরদৌস জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেতা হন। ২০১৭ সালের ‘হালদা’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এর আগে ২০১৬ সালে ‘অস্তিত্ব’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হন তিশা।
৪২ ও ৪৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা ইতিমধ্যে জুরিবোর্ড তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মানে দুই বছরের পুরস্কার পৃথকভাবে একসঙ্গে দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের জন্য আজীবন সম্মাননার তালিকায় আছেন অভিনেত্রী সুচন্দা ও অভিনেতা আলমগীর। আর ২০১৭ সালের আজীবন সম্মাননার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান ও চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমানের নাম।
এদিকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র চলচ্চিত্রকার বলছেন, শোনা যাচ্ছে বছরে একজন করে জাতীয় সম্মাননা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে কিন্তু চলচ্চিত্রকারদের অনেকেই একসঙ্গে দুজন করে দেওয়ার পক্ষে। কারণ প্রচুর সিনিয়র চলচ্চিত্রকার রয়েছেন, যারা এখন জীবনের প্রায় শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবছর যদি একজনকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় তাহলে অনেকে জীবদ্দশায় এই সম্মাননা নাও পেতে পারেন। এর আগে যেহেতু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ববিতা ও ফারুককে যৌথভাবে আজীবন সম্মননা দেওয়া হয়েছে সেহেতু এখনো অন্যদের দেওয়া যেতে পারে। আর যৌথভাবে দিলেই চলচ্চিত্রে অবদান রাখা সিনিয়র চলচ্চিত্রকাররা বেঁচে থাকতে নিজ হাতে সারা জীবনের কাজের সম্মান পেতে পারেন। সরকারের কাছে এমন জোর দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্রকাররা।
২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ এবং ২০১৮ সালের জন্য ‘দেবী’ ছবি দুটি সেরা ছবির সম্মান পেতে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২০১৭ সালের সেরা চিত্র পরিচালক হিসেবে বদরুল আনাম সৌদ ‘গহীন বালুচর’ ছবিটির জন্য পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। অন্যদিকে, ‘পোড়ামন টু’, ‘দহন’, ‘দেবী’, ‘কমলা রকেট’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘পুত্র’, ‘জান্নাত’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘সত্তা’, ‘হালদা’, ‘গহীন বালুচর’ ছবিগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে।