Select Page

‘আব্দুল্লাহ’ সুপারহিট হলেও ১০ লাখ টাকা দিলদারকে দেননি প্রযোজক

‘আব্দুল্লাহ’ সুপারহিট হলেও ১০ লাখ টাকা দিলদারকে দেননি প্রযোজক

দিলদারকে নায়ক করে তোজাম্মেল হক বকুল নির্মাণ করেন ‘আব্দুল্লাহ’। কথা ছিল সিনেমা হিট হলে অভিনেতা ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন। কিন্তু সেই কথা রাখেননি প্রযোজক বা পরিচালক।

সোমবার দিলদারের মৃত্যুদিবস। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মারা যান তিনি। এই দিন প্রয়াতের বড় মেয়ে দন্তচিকিৎসক মাসুমা আক্তার রুমার বরাত দিয়ে খবরটি ছাপে প্রথম আলো

‘আব্দুল্লাহ’ ছবির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছবির প্রযোজকের সঙ্গে বাবার চুক্তি হয়েছিল, যদি ছবিটি সিনেমা হলে চলে তাহলে তাঁরা বাবাকে ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দেবেন, ব্যর্থ হলে কোনো টাকা পাবেন না। কারণ নায়ক হিসেবে বাবাকে নিয়ে প্রযোজক ঝুঁকি নিচ্ছেন। বাবাও রাজি হন। পরে “আব্দুল্লাহ” ছবিটি হিট হলেও বাবা ছবির পারিশ্রমিক পাননি। এখন কে টাকা দিল না–দিল, এগুলো নিয়ে আমাদের আর কোনো দাবি দাওয়া নেই।’

মাসুমা আক্তার রুমা আরও জানান, এই অভিনেতা মারা যাওয়ার সময় বিভিন্ন প্রযোজকের কাছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। পরিবারের দুঃসময়ে এই টাকা তাঁরা পাননি।

তিনি বলেন, ‘বাবা কখনো কারও কাছে এক-দুবারের বেশি টাকা চাইতেন না। এ জন্য তিনি বেশির ভাগ সময় পারিশ্রমিক অগ্রিম নিয়ে নিতেন। কিন্তু অনেক সময় পরিচিত, কাছের প্রযোজকদের কাছে অগ্রিম টাকা চাইতেন না। এভাবে বাবার পাওনা ৮০ লাখ টাকা জমা হয়েছে। ওই সময় প্রযোজকদের কাছ থেকে বাবার পাওয়া ৩৫ লাখ টাকার চেক বাসায় ছিল, সেই টাকাও ওই সময় আমরা পাইনি।’

দিলদারের মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। এদিকে এক মামার নামও ছিল দেলোয়ার হোসেন। তাই চলচ্চিত্রে আসার আগে ভাবলেন, নামটা বদলে ফেলবেন। সবার সম্মতিতে রাখলেন দিলদার হোসেন। বদলে যাওয়া এই নামেই তিনি ঠাঁই করে নেন দর্শক হৃদয়ে। এই অভিনেতা ১৯৪৫ সালে চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।


Leave a reply