আমজাদ হোসেন : দুঃসাহসী এক পরিচালক
আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আজ প্রায় ৭ দশকে এসে ঠেকেছে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আজকের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আর ৭ দশক আগের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মাঝে অনেক অনেক ব্যবধান । একসময় এই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল সব রথি মহারথীদের পদচারনায় মুখর। যাদের কারণে পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম নেয়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি স্বাধীন দেশেও উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের সাথে সমানতালে এগিয়ে গিয়েছিল যা আজ শুধুই সোনালি স্মৃতি। আজ সেই সোনালি স্মৃতির পাতা থেকে এক জীবন্ত কিংবদন্তীর কথা আপনাদের বলবো যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি।
‘আমজাদ হোসেন’ নামটি আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে চিরদিনের জন্য লিখা রাখা হয়েছে গত শতাব্দিতেই। বাংলা চলচ্চিত্রের এক দিকপাল বা সেরা মহীরুহদের একজন এই আমজাদ হোসেন যিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপকার, গীতিকার, নাট্যকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শহরের উপকণ্ঠেই ছিল আমজাদ হোসেনের বাড়ী যা সেই সময়ের জামালপুর রেলস্টেশনের দুই মাইল দূর হতেই দেখা যেতো। তার দাদা বিশাল দোতলা সেই বাড়ীটি নির্মাণ করেছিলেন কিন্তু বাড়ীতে উঠার আগেই মারা যান। দাদা মারা যাওয়ার শোকে দাদি পাগল হয়ে যান। আমজাদ হোসেনের বাবা বিয়ের পর নতুন সেই বাড়ীটিতে উঠেন এবং সেখানেই আমজাদ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। এরপর একে একে সাত ভাইবোন শিশুবস্থায় সেই বাড়িটিতে মারা যায় এবং এরপর আরও আমজাদ হোসেনের বর্তমান তিন ভাইবোন জন্মগ্রহণ করেন।
মারা যাওয়া ছোট সাতভাইবোনের আদর আমজাদ হোসেন একাই পেয়েছিলেন শিশুকালে।কিশোর বেলা থেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন।ক্লাস থ্রিতে প্রথম ছড়া লিখেন যা প্রকাশিত হয়েছিল আজাদ পত্রিকায় শিশুদের পাতায়। ১৯৫৬ সালে মেট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে গোপনে কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকায় একটি কবিতা লিখে পাঠান। কবিতা প্রকাশের আগেই দেশ পত্রিকা থেকে সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমজাদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান যেখানে লিখা ছিল ‘’ ‘কল্যাণীয়েষু, পুনশ্চ. এই যে তুমি কেমন আছ, কী অবস্থায় আছ জানি না। তোমার কবিতা পেয়েছি। তোমার হাতে/কলমে সরস্বতীর আশীর্বাদ আছে। আমার এই পত্র পাওয়া মাত্রই তুমি কলিকাতায় চলিয়া আস। তোমার থাকা-খাওয়া-শিক্ষা সমস্ত কিছুর ভার আমার ওপরে। শুভেচ্ছান্তে সাগরময় ঘোষ। কিন্তু কলকাতায় যাওয়ার কথা কাউকে বলতে পারেননি ভয়ে। লিখা প্রকাশের পর কলেজে হইচই পড়ে যায়। কলেজের এক প্রফেসর আনন্দে কেঁদে ফেললেন আর বললেন ‘’ আমি সারাজীবন বসুমতি ও ভারতবর্ষে লিখেছি কিন্তু কোনদিন দেশ পত্রিকায় লিখিনি ,আমার ছাত্রের কবিতা দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘’
১৯৫৯ সালের শেষের দিকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চা করা শুরু করলেন। নাটকের কাজের জন্য লাঞ্চ বাবদ দৈনিক ২০ টাকা করে পেতেন। সড়ক, সিটি ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন ওয়ান ও বিভিন্ন অফিস পাড়ার জন্য নাটক করতেন , জেলখানার কয়েদিদের জন্যও নাটক করেছিলেন । ঢাকা হলের এক বড় ভাই শওকত আলী বাড়ীতে যাবে তাই শুন্য ঘরটিতে আমজাদ হোসেন’কে কদিন থাকতে অনুরোধ করলেন। সেই ঘরে বসেই ভাষা আন্দোলনের উপর একটি নাটক লিখলেন যার নাম ‘ধারাপাত’। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর ইত্তেফাকে কভার ফিচার হয় যা নিয়ে চারিদিকে হইচই পরে গেলো। সৈয়দ শামসুল হকও সাপ্তাহিক চিত্রালিতে ‘ধারাপাত’ নাটকটির প্রশংসা করে ছোট্ট কলাম লিখেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম লোককথা নিয়ে নির্মিত ফোক ছবি রূপবানের পরিচালক সালাহউদ্দিন আমজাদ হোসেনকে ডেকে পাঠান। তিনি ধারাপাত নাটকের গল্পটি দিয়ে ছবি নির্মাণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অবশেষে সালাহউদ্দিন ‘ধারাপাত’ নামের ছবি নির্মাণ করেন এবং নায়ক হিসেবে সেখানে অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন। এ ছবির আগে মহিউদ্দিনের ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে আমজাদ হোসেন অভিনয় করে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন এরপর মোস্তাফিজের ‘হারানো সুর’-এও অভিনয় করেছিলেন কিন্তু ‘ধারাপাত’ ছবি দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। ‘ধারাপাত’-এর সফলতার পর জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ করা শুরু করেন । সেই সময় চিত্রনাট্য নাম লিখা না থাকলেও জহির রায়হানের অনেক ছবির ‘স্ক্রিপ্ট’ লিখেছিলেন আমজাদ হোসেন। চিত্রনাট্য নাম না আসায় একসময় জহির রায়হানের সাথে কাজ করা ছেড়ে দেন।
১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ‘জুলেখা’র মধ্য দিয়ে পরিচালক হয়ে আসেন। ছবি মুক্তির হিসাবে আমজাদ হোসেন হলেন আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির তালিকায় ৩০তম পরিচালক যে তালিকার ১নং স্থানটি দখল করে আছেন ‘মুখ ও মুখোশ’ এর পরিচালক আব্দুল জব্বার। এরপর জহির রায়হান প্রযোজিত ও মোস্তফা মেহমুদ, রহিম নেওয়াজ ও নুরুল হক বাচ্চু’র সাথে পরিচালনা করেন ‘দুইভাই’ ছবিটি।
১৯৬৯ সালে করাচি থেকে ফিরে জহির রায়হান আমজাদ হোসেনের সাথে আবার যুক্ত হলেন এবং দুজনে মিলে নির্মাণ করলেন ‘জীবন থেকে নেয়া’ নামের এক কালজয়ী ঐতিহাসিক ছবি যেখানে আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ঘটনাবলির এক দলিল হিসেবে ঠাই করে নিয়েছে। দৈনিক সমকালের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন “জীবন থেকে নেয়া’’ ছবিটি নিয়ে পেছনের কথা। শহীদ আসাদের রক্তমাখা জামা নিয়ে মিছিলে ছিলেন মাওলানা ভাসানি। সেই সময়ে আমজাদ হোসেনও ছিলেন। শহীদ আসাদের লাশ দাফন করার পর মাওলানা ভাসানি আমজাদ হোসেনের মাথায় হাত রেখে বললেন ‘’আসাদকে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি বানাতে হবে’’। সেই অনুযায়ী আমজাদ হোসেন অনেক খেটেখুটে একটা স্ক্রিপ্ট দাঁড় করালেন। চিওরায় কাজী জাফরের বাড়ীতে শুটিং হবে ঠিক হলো এবং মাওলানা ভাসানির বক্তৃতা দিয়ে শুটিং উদ্বোধন করবেন। কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন রাতে আসাদের পরিবার ডকুমেন্টারি বানাতে নিষেধ করলেন যা শুনে মাওলানা ভাসানি কষ্ট পেয়ে কেঁদে কেটে একাকার হয়ে আসাদের জন্য দুহাত তুলে দোয়া করলেন।
আসাদের জন্য তৈরি করা স্ক্রিপ্টটা রেখে দিলেন যা পরবর্তীতে ‘’জীবন থেকে নেয়া’’ ছবিতে কাজে লাগালেন। “জীবন থেকে নেয়া’’র গল্প আমজাদ হোসেনের লিখা যা তিনি লিখেছিলেন জহির রায়হানের চাওয়া অনুযায়ী সে সম্পর্কে বলেছিলেন, “এফডিসির পরিচালক সমিতির প্রতিদিনের আড্ডায় একদিন এসে হাজির জহির রায়হান। আমাকে বললেন, আমার জন্য একটা গল্প লিখে দাও। গল্পের শুরুতে দেখা যাবে একটি মেয়ে আরেকটি মেয়েকে নিজ হাতে গ্লাসে করে দুধ খাইয়ে দিচ্ছে। আর গল্পের শেষে এরাই একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দেবে। গল্পে একটা যুদ্ধ থাকবে-চাবি নিয়ে। বাড়ির কর্তা হবে নারী, আর তার স্বামী থাকবে ঘরজামাই ধরনের। আমি তো গল্প শুনে চিন্তায় পড়ে গেলাম। সারা রাত ভেবে গল্প লেখা শুরু করলাম এভাবে-দুই বোনের গল্প, বড় বোন পিছু পিছু ছুটছে দুধভাতের থালা নিয়ে। আবার গল্পের প্রয়োজনে দুই বোনকে এক বাড়িতে বিয়ে না দিলে চাবি নিয়ে খেলাটা জমবে না। এভাবেই গল্প করতে করতে তৈরি হয় ‘জীবন থেকে নেয়া।” এভাবেই আমজাদ হোসেন জড়িত হয়ে গেলেন আমাদের ইতিহাসের অন্যতম প্রামাণ্য দলিল ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবিটির সাথে যেখানে তুলে ধরা হয়েছিল সেই সময়ের দেশের প্রকৃতবস্থা।
তাঁর নির্মিত ‘ভাত দে’ ছবিটি দেখে সিনেমা হলে সেই সময় বহু দর্শকদের কাঁদতে দেখেছিলাম। ছবিটির গল্পটি ছিল -জরি একজন গরীব বাউল শিল্পীর মেয়ে। যে কিনা ছোটবেলায় অভাবের কারনে মাকে হারায়, অন্ধ বাউল বাবাকে নিয়ে ছোট বেলা থেকেই যার সংগ্রামী ও অতি অভাব অনটনের সংসার। জরি যখন বড় হয় একদিন তাঁর বাবাও দুমুঠো ভাত যোগাড় করতে গিয়ে মারা যায়। এরপর থেকে সহায় সম্বলহীন এক অসহায় দরিদ্র ‘জরি’র অতি করুন কাহিনীর একটি সফল চিত্ররূপ ‘ভাত দে’। ছবিটির স্ক্রিপ্ট টানা একমাস ঢাকা ক্লাবের একটি নির্জন কক্ষে বসে নির্মাণ করেছিলেন। ঢাকার অনেক সাংবাদিকদের সামনে মানিকগঞ্জের নদীর পাড়ে প্রথম দিন শুটিং হয়েছিল। আমজাদ হোসেন স্পটটি এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যে একটি ভাঙাচোরা বাড়ি, পাশে বাঁশঝাড়। বাড়িটির চালে বাঁশের আগা বাতাস হলেই বাড়ি খায়। সেখানে অভাগিনী বেশে শাবানা বাস করবেন। কিন্তু শাবানা যখন শট দিচ্ছিলেন তখন তার পড়নে ইস্ত্রি করা শাড়ি ছিল যা একেবারে ভিখারি গোছের চরিত্রের সঙ্গে মানাচ্ছিলনা তারপর মানিকগঞ্জের এক গরিব মহিলার একটি শাড়ি জোগাড় করে শুটিংটি করতে হয়েছিল।
আমজাদ হোসেনের নির্মিত দুই পয়সার আলতা ও ভাত দে ছবির জন্য শাবানা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও গ্রামের পটভূমি নিয়ে ‘নয়নমণি’ ছবির কাহিনী তৈরি করেছেন পরিচালক আমজাদ হোসেন। এ ছবিতে প্রেম-ভালোবাসাকে পরিচালক খুব সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এ ক্ষেত্রে অনেকটাই সফল হয়েছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নয়নমণি’ দেখে তখন অনেকেই নয়ন জুড়িয়েছিলেন। ছবিটিতে ফারুক-ববিতার প্রেম সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। এ ছবির পর এক জনপ্রিয় জুটিতে পরিণত হয়েছিল তারা দু’জন। ……এভাবে প্রতিটি ছবিতে আমজাদ হোসেন দর্শকদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছিলেন আর নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য এক উচ্চতায় ।
আমজাদ হোসেন শুধু একজন কাহিনীকার, প্রযোজক,চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকই নন। তিনি একজন অসাধারন গীতিকারও যার লিখা অসংখ্য কালজয়ী হৃদয় ছোঁয়া গান আছে। আছেন আমার মোক্তার, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিলো না , চুল ধইরো না খোঁপা খুলে যাবে গো , একবার যদি কেউ ভালোবাসতো , বাবা বলে গেলো আর কোনদিন গান করোনা, এমন তো প্রেম হয় , কত কাঁদলাম কত সাধলাম, চিনেছি তোমারে আকারে প্রকারে, গাছের একটা পাতা ঝরলে কাছের একটা মানুষ মরলে, তিলে তিলে মইরা যামু তবু তোরে ডাকবো না…সহ আরও অনেক গান যা আমাদের চলচ্চিত্রের গানের ভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। তাঁর গানের কথায় ও সুরে মাটির গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়।
শুধু চলচ্চিত্রই নয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন গুণী নাট্যনির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবেও আছে আমজাদ হোসেনের সুনাম। ৮০র দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের নাটক বলতে ছিল আমজাদ হোসেনের লিখা,পরিচালনায় ও অভিনয়ে ‘’জব্বার আলী’’ নাটকটি। যা সেইসময়ে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। আমজাদ হোসেন নিজেই জব্বার আলী চরিত্রটি অভিনয় করতেন।
সবশেষে এইটুকু বলতে হয় একজন আমজাদ হোসেন’কে স্বল্প পরিসরে সবটুকু সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কারণ আমজাদ হোসেন হলেন একটি ‘বটবৃক্ষ’ যার ছায়ায় আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতি হয়েছিল। আমজাদ হোসেন আমাদের যা দিয়েছেন তাঁর তুলনায় এই দেশ, দেশের মানুষ তাঁকে কিছু দিতে পারেনি। কয়েকটি চলচিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার ছাড়া এই আমজাদ হোসেনকে আমরা আর কিছুই দিতে পারেনি যা আমাদের নির্মম দৈন্যতা ছাড়া কিছুই নয়। একজন আমজাদ হোসেন আজ জীবিত অথচ নতুন নতুন চলচ্চিত্র তৈরি করেন না, সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন যা আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন চলচ্চিত্রপ্রেমী হিসেবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই সিংহপুরুষকে জানাই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দোয়া করি আমজাদ হোসেন যেন আরও অনেকদিন বেঁচে থাকেন,সুস্থ থাকেন। সবশেষে আমজাদ হোসেন সম্পর্কে চিত্রনায়ক ফারুকের মতো করে বলতে হয় ‘একজন আমজাদ হোসেন আমাদের বাঙালি জাতির অহংকার, আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব, প্রবীণ শিল্পীদের অহংকার। একজন আমজাদ হোসেন নিজেই একটি ইন্ডাস্ট্রি, যাকে নিয়ে নতুন প্রজন্ম গবেষণা করলে হয়তো নিজেদের মেধার বিকাশে তা কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন। সৃষ্টিশীল এ মানুষটি চলচ্চিত্রের জন্য কতটা গৌরবের তা সত্যিই অকল্পনীয়।’
তথ্যসুত্র : দৈনিক ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক চিত্রালি, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর
পোস্টার সংগ্রহ ও কৃতজ্ঞতা : শানু ভাই