‘আমাদের যৌথ প্রযোজনাগুলো নামে মাত্র’
‘আমাদের যৌথ প্রযোজনাগুলো নামে মাত্র যৌথ প্রযোজনা। কারণ একটাই এখানে কোনো সামঞ্জস্যতা নেই, কেউ না কেউ বঞ্চনার শিকার। যেখানে সামঞ্জস্যতা নেই সেখানে কি করে সেটাকে যৌথ প্রযোজনা বলা হয়। যতদিন দুই পক্ষের মধ্যে সামঞ্জস্যতা না আসে ততদিন যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের অবস্থা এ রকমই থাকবে।’ কথাগুলো তৌকীর আহমেদের।
১৯ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চতুর্থ সিনেমা ‘অজ্ঞাতনামা’। মঙ্গলবার হয়ে গেল সিনেমাটির প্রিমিয়ার। ওই সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব এ অভিনেতা ও নির্মাতা। ওই সময় যৌথ প্রযোজনা প্রসঙ্গে উপরের মন্তব্য করেন।
‘অজ্ঞাতনামা’ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি ইত্তেফাককে বলেন, “সবার আগে পরিচালক নিজে লক্ষ্য রাখেন গল্পের প্রতি। গল্পের গাঁথুনি ভালো হলে গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলে ধরতেও সুবিধা হয়। ‘অজ্ঞাতনামা’র ক্ষেত্রে সেদিকেই লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। প্রতিবছরই মানুষ প্রবাসে যাচ্ছেন কাজের সন্ধানে। কিন্তু সেখানে রয়েছে নানা অসঙ্গতি, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এই গল্প সবার জানা, কিন্তু বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা ছিল কঠিন। আর একটি চলচ্চিত্রের সাফল্যের জন্য শুধু গল্পটিই মুখ্য নয়, কাজ, অভিনয়, সঙ্গীতের বিষয়গুলোও জড়িত। ‘অজ্ঞাতনামা’র ক্ষেত্রেও এটা ব্যতিক্রম নয়। কাজ ভালো হলে সবাই সেটার যোগ্য কদর পাবে এটাই নিয়ম।
‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রটি যাদের কাছে পৌঁছানো দরকার তাদের কাছে কি ঠিকভাবে পৌঁছাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘পরিচালক তার ভাবনার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার পরিচালিত একটি গল্প দিয়ে পুরো সমাজ, একটি দেশকে হয়তো বদলানো সম্ভব নয়। পরিচালক ছবি নির্মাণ করেন, চলচ্চিত্রটির ডিস্ট্রিবিউশন করা তার কাজ নয়। যারা চলচ্চিত্রের ডিস্ট্রিবিউশন করেন তারা যদি বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের মতো এই ধরনের চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে ভাবেন, সেগুলোর মতো করে যদি প্রচার-প্রচারণা করেন তাহলে অবশ্যই সম্ভব। তবে হল সঙ্কটের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’